দ্বাদশ অধ্যায় : অল্টারনেটিং কারেন্ট, এসএসসি (ভোকেশনাল) প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। অল্টারনেটিং কারেন্ট কী? (What is alternating current?)

উত্তরঃ যে কারেন্টের মান ও দিক সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে সার্কিটে প্রবাহিত হয়, তাকে এসি বা অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে।

প্রশ্ন-২। অল্টারনেটিং কারেন্টের বৈশিষ্ট্য কী কী?

উত্তরঃ অল্টারনেটিং কারেন্টের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে দেয়া হলো—

(১) এর কোনো পজেটিভ ও নেগেটিভ তার নেই;

(২) এটির সাইকেল আছে;

(৩) এর ফেজ পার্থক্য আছে;

(৪) অল্টারনেটিং কারেন্ট সাইন তরঙ্গ উৎপন্ন করে থাকে;

(৫) এর মান ও ঠিক সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।

প্রশ্ন-৩। সাইকেল কাকে বলে?

উত্তরঃ একটি পরিবাহী একটি উত্তর মেরু ও একটি দক্ষিণ মেরুর মাঝখানে বৃত্তাকারে একটি পথ একবার অতিক্রম করে তবে একটি ভোল্টেজ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এ তরঙ্গটিকে সাইকেল বা সাইন তরঙ্গ বলে।

প্রশ্ন-৪। ফ্রিকুয়েন্সি কী?

উত্তরঃ এক সেকেন্ড সময়ে যতগুলো সাইকেল সম্পন্ন হয় তাকে ফ্রিকুয়েন্সি বলে। একে f দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটির একক হার্টজ বা সাইকেল/সেকেন্ড। f = 1/t হার্টজ।

প্রশ্ন-৫। টাইম পিরিয়ড কাকে বলে?

উত্তরঃ এক সাইকেল সম্পন্ন হতে যে সময়ের প্রয়োজন হয় তাকে পিরিয়ড অথবা টাইম পিরিয়ড বলে। একে t দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটির একক সেকেন্ড। t = 1/f সেকেন্ড।

প্রশ্ন-৬। অল্টারনেশন কাকে বলে?

উত্তরঃ ভোল্টেজ তরঙ্গটির অর্ধেক অংশকে অল্টারনেশন বলে।

প্রশ্ন-৭। অল্টারনেটিং কারেন্ট (AC) ও ডাইরেক্ট কারেন্ট (DC) এর মধ্যে পার্থক্য লিখ।

উত্তরঃ অল্টারনেটিং কারেন্ট (AC) ও ডাইরেক্ট কারেন্ট (DC) এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নে দেওয়া হলো—

অল্টারনেটিং কারেন্ট

 

  • যে কারেন্টের মান ও দিক সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে সার্কিটে প্রবাহিত করানো যায় তাকে অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে।
  • এসিতে সাইকেল বিদ্যমান।
  • এতে ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা যায়।
  • এসিতে ফেজ পার্থক্য থাকে।

ডাইরেক্ট কারেন্ট

 

  • যে কারেন্টের মান ও দিক সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অপরিবর্তিত রেখে সার্কিটে প্রবাহিত করানো যায় তাকে ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে।
  • ডিসিতে সাইকেল থাকে না।
  • এতে ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা যায় না।
  • ডিসিতে ফেজ পার্থক্য থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *