Modal Ad Example
পড়াশোনা

নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

1 min read
প্রশ্ন-১। আকাইদ কাকে বলে?
উত্তরঃ ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকে আকাইদ বলে।
 
প্রশ্ন-২। খতমে নবুয়ত’ অর্থ কি?

উত্তরঃ খতমে নবুয়ত অর্থ নবুয়তের সমাপ্তি।

প্রশ্ন-৩। ‘রাউফুন’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘রাউফুন’ শব্দের অর্থ- অতিশয় দয়াবান, পরম দয়ালু, অতি স্নেহশীল।

প্রশ্ন-৪। ‘জান্নাত’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ জান্নাত শব্দের অর্থ বাগান, উদ্যান, আবৃত স্থান।

প্রশ্ন-৫। আখিরাত শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ আখিরাত শব্দের অর্থ পরকাল।

প্রশ্ন-৬। ‘আল্লাহু মুহাইমিনুন’ এর অর্থ কী?

উত্তরঃ আল্লাহু মুহাইমিনুন অর্থ আল্লাহ আশ্রয়দাতা, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষণাবেক্ষণকারী ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৭। সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতের নাম কী?

উত্তরঃ সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতের নাম হলো জান্নাতুল ফিরদাউস।

প্রশ্ন-৮। আল আসমাউল হুসনা কি?

উত্তরঃ আল আসমাউল হুসনা হলো আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহ।

প্রশ্ন-৯। প্রসিদ্ধ ফেরেশতা কয়জন?

উত্তরঃ প্রসিদ্ধ ফেরেশতা চারজন। তারা হলেন— ১. হযরত জিব্রাইল (আ.), ২. হযরত মিকাইল (আ.), ৩. হযরত আজরাইল (আ.) এবং ৪. হযরত ইসরাফিল (আ.)।

প্রশ্ন-১০। ইসলামের প্রধান ভিত্তি কী?

উত্তরঃ ইসলামের প্রধান ভিত্তি হলো আকাইদ।

প্রশ্ন-১১। ইমান কী?

উত্তরঃ ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাসই হলো ইমান।

প্রশ্ন-১২। আল্লাহ তায়ালার কয়টি গুণবাচক নাম রয়েছে?

উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে।

প্রশ্ন-১৩। ‘সাইয়্যেদুল মুরসালিন’ কে?

উত্তরঃ ‘সাইয়্যেদুল মুরসালিন’ হলেন হযরত মুহাম্মদ (স.)।

প্রশ্ন-১৪। শাফাআত কাকে বলে?

উত্তরঃ কিয়ামতের দিন কল্যাণ ও ক্ষমার জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে নবি-রাসুলগণের সুপারিশ করাকে শাফাআত বলে।

প্রশ্ন-১৫। মুমিন কাকে বলে?

উত্তরঃ যিনি ইমানের মৌলিক বিষয়সমূহ মুখে স্বীকার, অন্তরে বিশ্বাস এবং সে অনুযায়ী আমল করেন তাকে মুমিন বলে।

প্রশ্ন-১৬। নৈতিকতা কী?

উত্তরঃ কাজে-কর্মে, কথা-বার্তায়, নীতি ও আদর্শের অনুসরণই হলো নৈতিকতা।

প্রশ্ন-১৭। বারযাখ কী?

উত্তরঃ মানুষের মৃত্যু থেকে কিয়ামত বা পুনরুত্থান পর্যন্ত সময় হলো বারযাখ।

প্রশ্ন-১৮। কিয়ামত কাকে বলে?

উত্তরঃ ইসলামি পরিভাষায় মানুষের দুনিয়ার জীবনের কৃতকর্মের বিচারের উদ্দেশ্যে যেদিন তাদেরকে কবর থেকে উঠিয়ে মহান আল্লাহর সামনে হাজির করা হবে, সেদিনকে কিয়ামত বলে।

প্রশ্ন-১৯। ইদগাম কাকে বলে?

উত্তরঃ নুন সাকিন বা তানবিনের পর ইদগামের ছয়টি হরফ থেকে কোনো একটি হরফ থাকলে নুন সাকিন বা তানবিনের সাথে ঐ হরফকে সন্ধি করে মিলিয়ে পড়াকে ইদগাম বলে।

প্রশ্ন-২০। নিফাক কী?

উত্তরঃ মুখে ইমানের স্বীকার কিন্তু অন্তরে অবিশ্বাস করাই হলো নিফাক।

প্রশ্ন-২১। রিসালাত কী?

উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালার বাণী, আদেশ-নিষেধ মানুষের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্বই হলো রিসালাত।

প্রশ্ন-২২। কিয়ামত ও দুনিয়ার জীবনের মধ্যবর্তী পর্যায়কে কী বলে?

উত্তরঃ কিয়ামত ও দুনিয়ার জীবনের মধ্যবর্তী পর্যায়কে বারযাখ বলে।

প্রশ্ন-২৩। বাংলা ভাষায় আখিরাতকে কী বলা হয়?

 

উত্তরঃ বাংলা ভাষায় আখিরাতকে বলা হয় পরকাল।

তাকদিরে বিশ্বাস প্রয়োজন কেন?

উত্তরঃ ইমানের মৌলিক বিষয়গুলোর অন্যতম একটি হওয়ায় তাকদিরে বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। তাকদিরে অবিশ্বাস করলে পূর্ণাঙ্গ মুমিন হওয়া যায় না। মানুষের তাকদির বা ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক একমাত্র আল্লাহ। ভালো-মন্দ সব আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। তাই সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে। এ ধরনের বিশ্বাসই হলো তাকদিরে বিশ্বাস। এটি অবিশ্বাস করা কুফরের অন্তর্ভুক্ত। তাই তাকদিরে বিশ্বাস করতে হবে।
 
‘সালাত নামক চাবি ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সালাত নামক চাবি ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। উক্তিটি মহানবি (স.) এর হাদিসের প্রতিফলন, যাতে সালাতের গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
সালাত ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে দ্বিতীয়। তাই সালাতের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহানবি (স.) বলেছেন, সালাত বেহেশতের চাবি। অর্থাৎ সালাত আদায় ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আলোচ্য উক্তিটিতে এ কথাই প্রতিফলিত হয়েছে।
‘আর প্রত্যেক জাতির জন্য পথপ্রদর্শক রয়েছে’ — ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ‘আর প্রত্যেক জাতির জন্য পথ প্রদর্শক রয়েছে’ –মন্তব্যটি যথার্থ।
মহান আল্লাহ মানবজাতির হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। তাঁরা মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করতেন। তাঁরা সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায় শিক্ষা দিতেন। কোন পথে চললে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করবে তা দেখিয়ে দিতেন। এভাবে পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে প্রত্যেক জাতির জন্য আল্লাহ তায়ালা নবি-রাসুল বা পথ প্রদর্শক পাঠিয়েছেন।
তাওহিদ বিশ্বাস করা প্রয়োজন কেন?

উত্তরঃ তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। মহান আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করার নামই হলো তাওহিদ।

তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানুষ ইমান ও ইসলামে প্রবেশ করে। মানবজাতির হিদায়াতের জন্য দুনিয়াতে অনেক নবি-রাসুল আগমন করেছেন। তাঁরা সকলেই তাওহিদের দিকে মানুষকে আহবান করেছেন। তাঁদের সকলের দাওয়াতের মূল বাণী ছিল “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই।’ এমন কোনো নবি ছিলেন না যিনি তাওহিদের কথা বলেন নি। বরং সকল নবি-রাসুলই তাওহিদের শিক্ষা প্রচার করেছেন। ইসলামের সকল বিধি বিধান তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাওহিদের পরিপন্থী কোনো বিধান ইসলামে নেই। সালাত, যাকাত, সাওম, হজ – সকল ইবাদতই এক আল্লাহর জন্য করতে হয়। কোনো কিছু চাইতে হলেও এক আল্লাহর নিকট চাইতে হয়। এটাই ইসলামের শিক্ষা। অতএব, ইসলামে তাওহিদের গুরুত্ব অপরিসীম।

তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়াতে ও আখিরাতে সফলতা এনে দেয়। কেননা তাওহিদ মানুষকে আল্লাহর পরিচয় দান করে। তাওহিদে বিশ্বাসীগণ শুধু আল্লাহ তায়ালার সামনে মাথা নত করে।

তাওহিদে বা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস মানুষকে এক জাতিত্ব বোধ এনে দেয়। ফলে মানুষ পরস্পর ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধ হয়।

‘দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র’- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ আখিরাত হলো পরকাল। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলা হয়। আখিরাত হলো মানুষের অনন্ত জীবন। এটি চিরস্থায়ী। পক্ষান্তরে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। বস্তুত দুনিয়ার জীবন হলো আখিরাতের প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্র বলা হয়েছে।

“দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র।” (প্রবাদ)

মানুষ শস্যক্ষেত্রে যেরূপ চাষাবাদ করে, বীজ বপন করে, যেভাবে পরিচর্যা করে; ঠিক সেইরূপই ফল লাভ করে। যদি কোনো ব্যক্তি তার শস্যক্ষেত্রের পরিচর্যা না করে তবে সে ভালো ফসল লাভ করে না। তদ্রুপ দুনিয়ার কাজকর্মের প্রতিদান আখিরাতে দেওয়া হবে। দুনিয়াতে ভালো কাজ করলে আখিরাতে মানুষ পুরস্কৃত হবে। আর মন্দ কাজ করলে শাস্তি ভোগ করবে।

আল্লাহ পাকের ৫টি গুণবাচক নাম অর্থসহ লেখ।

উত্তরঃ আল্লাহ পাকের ৫টি গুণবাচক নাম অর্থসহ উল্লেখ করা হলোঃ

১. আল্লাহু খালিক

খালিক অর্থ সৃষ্টিকর্তা বা স্রষ্টা।

সুতরাং আমরা এ নাম থেকে বুঝতে পারি, এ বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা হলেন মহান আল্লাহ।

২. আল্লাহু মালিক

মালিক অর্থ অধিকারী।

আল্লাহ তায়ালা সকল কিছুর মালিক। তিনি আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা, নদী-সাগর সবকিছুর অধিপতি। সকল কিছুই তার নির্দেশে পরিচালিত হয়। কোনো কিছুই তার আদেশ লঙ্ঘন করে না। পৃথিবীতে বড় ছোট সকল বস্তুই তাঁর মালিকানার অন্তর্ভূক্ত।

৩. আল্লাহু করিম

করিম আরবি শব্দ। এর অর্থ দয়াময়, মহানুভব, উদার ইত্যাদি।

আল্লাহ তায়ালা অতীব মহান, করুণাময়।উদারতা, দয়া, মায়া, স্নেহ, সহনশীলতা, ঔদার্য, ক্ষমা ইত্যাদি গুণাবলি তাঁর সত্তায় বিদ্যমান রয়েছে।

৪. আল্লাহু আলিম

আলিম আরবি শব্দ। এর অর্থ সর্বজ্ঞ অর্থাৎ যিনি সবকিছু জানেন বা যিনি সকল জ্ঞানের অধিকারী।

আল্লাহ তায়ালা হলেন আলিম। তিনি সকল জ্ঞানের আধার, তাঁর আসমান-জমিনের সবকিছুর খবরই জানেন। আমাদের সকল কথাবার্তা, কাজকর্ম তিনি জানেন। এমনকি আমরা অন্তরে যা চিন্তা করি তিনি সেগুলোও জানেন। আমরা যা কল্পনা করি বা স্বপ্ন দেখি সেগুলোও তাঁর জানার বাইরে নয়।

৫. আল্লাহু হাকিম

হাকিম আরবি শব্দ। এর অর্থ প্রজ্ঞাময়, হিকমতের অধিকারী, সুবিজ্ঞ, সুনিপুণ কর্মদক্ষ।

মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম হিসেবে হাকিম অর্থ আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়, সুদক্ষ, সুনিপুণ ও হিকমতের মালিক।

3.3/5 - (13 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x