ঘাসফড়িং কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ পৃথিবীর সবখানে সবুজ শস্য ক্ষেতে, সবজির বাগানে কিংবা সবুজ ঘাসে ঢাকা উন্মুক্ত প্রান্তরে ঘাসফড়িং একাকী বা দলবদ্ধ বাস করে।
ঘাসফড়িং কোন শ্রেণির (class) প্রাণী এবং কেন?
উত্তরঃ ঘাসফড়িং-এর শ্রেণির নাম Insecta; কারণ- ১। দেহ তিন অংশে বিভক্ত— মস্তক, বক্ষ ও উদর। ২। তিন জোড়া পা বিদ্যমান। ৩। রেচন অঙ্গ মালপিজিয়ান নালিকা।
পুঞ্জাক্ষি ও ওমাটিডিয়া কী?
উত্তরঃ ঘাসফড়িং-এর মস্তকের উভয় দিকে পৃষ্ঠ-পার্শ্বদেশে, ১ ম খন্ডকে একজোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে। এরা অবৃন্তক এবং মস্তকের এক বিরাট অংশ দখল করে থাকে। দৃষ্টিশক্তির দিক থেকে এরা যেকোন আর্থ্রোপড অপেক্ষা উন্নত। সম্ভবত এরা রঙিন বস্তুও সঠিকভাবে দেখতে পায়। গঠনগত ও কার্যকারিতার দিক থেকে ঘাসফড়িং-এর পুঞ্জাক্ষি আরশোলা, চিংড়ি প্রভৃতি আর্থ্রোপোড প্রাণীর মতো। অসংখ্য ওমাটিডিয়া (omma tidia)-এর সমন্বয়ে এককটি পুঞ্জাক্ষি গঠিত হয়। ওমাটিডিয়াই পুঞ্জাক্ষির গঠন ও কাজের একক।
ওসেলি কাকে বলে?
উত্তরঃ ঘাসফড়িং-এর দুটি পুঞ্জাক্ষির মাঝখানে তিনটি সরলাক্ষি বা ওসেলি থাকে। প্রতিটি ওসেলাস পুরু, স্বচ্ছ কিউটিকল নির্মিত লেন্স ও একগুচ্ছ আলোক সংবেদী কোষ নিয়ে গঠিত। প্রতিটি কোষ রঞ্জক পদার্থ সমৃদ্ধ। ওসেলাসের তলদেশে মস্তিষ্কে গমনকারী স্নায়ুতন্ত্র অবস্থিত। ওসেলির প্রকৃত কাজ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট জানা যায়নি।
অ্যান্টেনা বা শুঙ্গ কী?
উত্তরঃ ঘাসফড়িং-এর পুঞ্জাক্ষির সামনে, মাথার দুপাশে দুটি লম্বা অ্যান্টেনা প্রসারিত থাকে। অ্যান্টেনাদুটি সামনে রেখে চলাফেরা করে এবং ইচ্ছামত এদেরকে নাড়াতে পারে। এদুটি নাড়িয়ে এরা স্পর্শ, ঘ্রাণ ও শব্দতরঙ্গ অনুভব করে।