চতুর্থ অধ্যায় : ওয়ার্ড প্রসেসিং, ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

ওপেন অফিস রাইটার দিয়ে কী ধরনের কাজ করা যায়?

উত্তর : লেখালেখির কাজ।

ডকুমেন্ট ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

উত্তর : ওয়ার্ড প্রসেসরে তৈরিকৃত ডকুমেন্টকে সুষ্ঠু ও ব্যবহার উপযোগী করে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাকেই ডকুমেন্ট ব্যবস্থাপনা বলে।

ডকুমেন্ট সম্পাদনা কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একটি ডকুমেন্টর ভুল-ভ্রান্তিগুলো ঠিক করা হয় সে কাজটিকে ডকুমেন্ট সম্পাদনা বলে।

ডকুমেন্ট ফরম্যাটিং কাকে বলে?

উত্তর : ডকুমেন্ট তৈরি ও সম্পাদনার পর হালকা সাজিয়ে-গুছিয়ে সুন্দর করে নেওয়াকে ডকুমেন্ট ফরম্যাটিং বলে।

ডকুমেন্টের অ্যালাইনমেন্ট কাকে বলে?

উত্তর : কোনো ডকুমেন্টের প্যারাগ্রাফ মার্জিনের কোন দিকে মিশে থাকবে তা যার দ্বারা নির্ধারণ করা যায় সেটাকে ডকুমেন্টের অ্যালাইনমেন্ট বলে।

ওয়ার্ড প্রসেসিং বলতে কী বুঝ? কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারের নাম লেখ।

উত্তর : ওয়ার্ড অর্থ শব্দ আর প্রসেসিং অর্থ প্রক্রিয়াকরণ। তাই ওয়ার্ড প্রসেসিং হলো শব্দ প্রক্রিয়াকরণ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ওয়ার্ড প্রসেসিং বলতে বোঝায় সকল প্রকার লেখালেখি, ছবি, ক্লিপ-আর্ট যোগ, সম্পাদনা ইত্যাদি। ওয়ার্ড প্রসেসিং একটি অ্যাপ্লিকেশান সফটওয়্যার। বর্তমানে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার চালু আছে। জনপ্রিয় কয়েকটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার হলো—

১. মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

২. এ্যাপল আই ওয়ার্কস

৩. ওপেন অফিস রাইটার

৪. আটলান্টিস ওয়ার্ড প্রসেসর

৫. নোট প্যাড।

লেখালেখির কাজের জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো কয় ভাগে ভাগ করা হয়? উদাহরণসহ লেখ।

উত্তর : লেখালেখির কাজের জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলোকে আমরা সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।

 

  • বাণিজ্যিক সফটওয়্যার : মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট ওয়ার্কস, নোট প্যাড, পেইজেস ইত্যাদি।
  • বিনা মূল্যের মুক্ত বা ওপেন সোর্স সফটওয়্যার : ওপেন অফিস রাইটার, ইজি ওয়ার্ড, কে ওয়ার্ড, ওয়ার্ড প্যাড ইত্যাদি।

 

হাতে লেখালেখি বা টাইপ রাইটারের সাথে ওয়ার্ড প্রসেসরের পার্থক্য লেখ।

উত্তর : সাধারণত হাতে লেখালেখি বা টাইপ রাইটারের সাথে ওয়ার্ড প্রসেসরের মূল পার্থক্য হলো, ওয়ার্ড প্রসেসরে সহজে এডিটিং বা পরিবর্তন করা যায়। টাইপ রাইটারে কিছু একটা লেখার পর ভুল হলে তা শুদ্ধ করতে আবার পুরোটা শুরু থেকে টাইপ করতে হয়। হাতের লেখায় কাটাকাটি করে আবার তা লেখা হয়। কিন্তু ওয়ার্ড প্রসেসরে ভুল হলে সহজেই তা এডিট করা যায়। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখা ফাইল যতো দিন ইচ্ছা সংরক্ষণ করে রাখা যায়। হাতে লেখা কাগজ সংরক্ষণ করা খুব সহজ নয়। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখালেখি করে একটা ফাইল হিসেবে হার্ডড্রাইভে রেখে দেওয়া যায়। দরকার হলে একটা পেনড্রাইভে বা সিডিতে কপি করে রাখা যায়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ওয়ার্ড প্রসেসর এর গুরুত্ব আলোচনা কর।

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ওয়ার্ড প্রসেসর এর গুরুত্ব—

১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে ওয়ার্ড প্রসেসর অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। লেখালেখি, রিপোর্টিং, গবেষণা পত্র প্রভৃতিতে ওয়ার্ড প্রসেসর গুরুত্বপূর্ণ।

২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে সহায়ক বই পত্র, ম্যাগাজিন প্রভৃতি প্রকাশে ওয়ার্ড প্রসেসর এর বিকল্প নেই।

৩. বর্তমানে আইসিটি ব্যবহার করে ওয়ার্ড প্রসেসর এর মাধ্যমে যেকোনো বই, প্রতিবেদন, গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি অনেকদিন সংরক্ষণ ও আদান-প্রদান করা হচ্ছে।

৪. তথ্যকে ডিজিটাল উপায়ে উপস্থাপন ও সংরক্ষণের কাজে ওয়ার্ড প্রসেসর এর অবদান অনেক।

ওয়ার্ড প্রসেসর কী? ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে কী কী করা যায়?

উত্তর : লেখালেখি করতে হলে শব্দ বা ওয়ার্ড লিখতে হয়। সুন্দর করে লিখতে হলে শব্দগুলো সাজাতে হয়, যা এক ধরনের প্রক্রিয়া-যাকে ইংরেজিতে প্রসেসিং বলে। আর এই দুটি মিলে হয় ওয়ার্ড প্রসেসিং। যে সফটওয়্যার ওয়ার্ড প্রসেসিং করে সেটা হচ্ছে ওয়ার্ড প্রসেসর। ওয়ার্ড প্রসেসরে শব্দগুলোকে সুন্দর করে সাজানো যায়। ওয়ার্ড প্রসেসরে এডিটিং করা যায়। এডিটিং এর সময় পুরাতন অংশ বাদ দিয়ে নতুন অংশ সংযোজন করা যায়। ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে কোনো লেখা সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। এটি ব্যবহার করে লিখার সময় লিখিত বিষয় সম্পর্কে খুটিনাটি জানা যায় ইত্যাদি।

কম্পিউটারে কীভাবে পুরোনো ফাইল খুলতে হয়?

উত্তর : কম্পিউটারে পুরোনো ফাইল খুলতে হলে যা করতে হবে তা হলো-

 

  • কম্পিউটার থেকে মাইক্রোসফট অফিস বা ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারটি ক্লিক করে ওপেন করতে হবে।
  • ওয়ার্ড প্রসেসরের মেনুবার থেকে File এ ক্লিক করতে হবে।
  • File থেকে Open-এ ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর ডকুমেন্টে save থাকা যেকোনো একটা পুরোনো ফাইলে ক্লিক করলেই সেটি ওপেন হয়ে যাবে।

 

ওয়ার্ড প্রসেসরে টাইপ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কী (key)-এর ব্যবহার লেখ।

উত্তর : ওয়ার্ড প্রসেসরে টাইপ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কী সম্পর্কে জানা থাকলে সুবিধা হয়। সেগুলো হলো—

১. Shift Key চেপে ধরে লিখলে বড় হাতের অক্ষরে লেখা হবে, না হয় ছোট হাতের।

২. একটা শব্দ লেখা শেষ হওয়ার পর Space Bar টিপ দিলে একটা খালি Space লেখা হবে।

৩. একটা পুরো প্যারাগ্রাফ লেখা শেষ হলে Enter বাটন চাপ দিলে নতুন প্যারাগ্রাফ লেখা শুরু হবে।

8. Delete বোতামটি চাপ দিলে Cursor যেখানে থাকবে তার পরের অক্ষরটি মুছে যাবে।

৫. Backspace বোতামে চাপ দিলে Cursor যেখানে থাকবে তার আগের অক্ষরটি মুছে যাবে।

এছাড়া কী-বোর্ডের Ctrl, Alt বা Function কী (key) গুলো দিয়ে আরো অনেক কিছু করা যায়।

ওয়ার্ড প্রসেসরে একটি ফাইল Save করার পদ্ধতি লেখ।

উত্তর : ওয়ার্ড প্রসেসরে একটি ফাইল তৈরি করে সেটা সংরক্ষণ করার বিষয়টিকে কম্পিউটারের ভাষায় Save বলে। প্রায় সব ওয়ার্ড প্রসেসরেই লেখালেখি বাঁচিয়ে রাখার বা সংরক্ষণ করার নিয়ম একই রকম। ওয়ার্ড প্রসেসরের ওপরের দিকে File, Edit View এই ধরনের অপশন আছে। মাউসটি File-এ নিয়ে ক্লিক করলে একটা মেনু খুলে যাবে। সেখানে অনেক কিছু লেখা থাকতে পারে। সেখান থেকে Save শব্দটি খুজে বের করে ক্লিক করলে যা লেখা হয়েছে তা ওয়ার্ড প্রসেসর সংরক্ষণ বা কম্পিউটারের ভাষায় Save করবে। Save করলে তখন সেটাকে বলা হবে File। প্রতিটি File-কে একটি নাম দিয়ে Save করতে হয়। প্রথমবার Save-এর ক্ষেত্রে ওয়ার্ড প্রসেসর একটা নাম দেওয়ার কথা বলবে, তখন টাইপ করে নাম লিখে দিতে হবে। ফাইলটা Save করার পর এটা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে লেখা হয়ে যাবে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারে লেখালেখির কাজ করা যায়?

ক) গ্রাফিক্স সফটওয়্যার খ) ইউটিলিটি সফটওয়্যার

গ) ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার ঘ) স্প্রেডশিট সফটওয়্যার

উত্তরঃ- গ) ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার

২। নিচের কোনটি বাণিজ্যিক সফটওয়্যার নয়?

ক) মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খ) নোট প্যাড

গ) পেইজেস ঘ) ইজি ওয়ার্ড

উত্তরঃ- ঘ) ইজি ওয়ার্ড

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *