বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
উত্তরঃ ১৯৭৪।
‘লীগ অব নেশনস’ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি ‘লীগ অব নেশনস’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য দেশ?
উত্তরঃ বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ।
বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর : বেইজিং প্লাস ফাইভ সম্মেলন ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত।
সিডও সনদে কয়টি ধারা আছে?
উত্তর : সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে।
মানবাধিকার কি?
উত্তরঃ মানবাধিকার হলো প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সুযোগ-সুবিধার অধিকার।
নিরাপত্তা পরিষদ কি?
উত্তরঃ জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী শাখা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ। এটি জাতিসংঘের শাসন বিভাগ স্বরূপ।
নিরাপত্তা পরিষদ মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হলো- যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন। এরা বৃহৎ পঞ্চশক্তি নামে পরিচিত। অস্থায়ী সদস্যরা প্রতি দুবছরের জন্য নির্বাচিত হয়।
ছায়া মন্ত্রিসভা কি?
উত্তরঃ যুক্তরাজ্যে সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি অনুসারে, সরকারকে জবাবদিহি করতে সরকারের বিপরীতে বিরােধী দলও একটি মন্ত্রিসভা গঠন করে। একেই ছায়া মন্ত্রিসভা (Shadow cabinet) বলা হয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ভুলক্রটি তুলে ধরা এবং বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপনই এ মন্ত্রিসভার প্রধান কাজ।
সিডও (CEDAW) সনদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ জাতিসংঘ কর্তৃক নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য– বিলোপ নীতি সংক্রান্ত সনদই সিডও ( CEDAW ) সনদ নামে পরিচিত। এ সনদটি নারীর অধিকার সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল, যা বিভিন্ন সময়ে নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে গ্রহণকৃত বিভিন্ন ইস্যুকে সমন্বিত করে। সর্বোপরি এর লক্ষ্য হলো নারীর সকল প্রকার অধিকার নিশ্চিতকরণ।
জাতিসংঘের বিতর্ক সভা বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ পাঁচটি প্রধান অঙ্গ এবং একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত। পাঁচটি অঙ্গ হচ্ছে- সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচারালয় বা আদালত। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। একে ‘বিতর্ক সভা’ বলে অভিহিত করা যায়।
জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কি কি?
উত্তরঃ জাতিসংঘের উদ্দেশ্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো–
১. আন্তর্জাতিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা;
২. বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা;
৩. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা;
৪. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিশ্বের সব মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা;
৫. অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
লীগ অব নেশসন প্রতিষ্ঠিত হয় কেন?
উত্তরঃ ১৯১৪ সালে সংঘটিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লঙ্ঘিত হয় মানবাধিকার। লাখ লাখ মানুষ যুদ্ধে নিহত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপকতা এবং ধ্বংসলীলা মানুষকে যুদ্ধের প্রতিশ্রদ্ধ এবং শান্তির জন্য আগ্রহী করে তোলে। এ কারণে বিশ্বশান্তির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি গঠিত হয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘লীগ অব নেশসন’।
সার্কের উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশ কী কী কাজ করে থাকে?
উত্তরঃ সার্কের উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও ভারসাম্য রক্ষা, আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সংকট সমাধানে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সদস্য দেশগুলোতে মানবপাচার রোধ, সন্ত্রাস দমন, পরিবেশ সংরক্ষণ, যোগাযোগ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন, রোগ-ব্যাধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণ ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।