সেরা ২০ টি কম পুজির ব্যবসা আইডিয়া

বর্তমানে ইয়ং জেনারেশনের মাঝে ব্যবসা করে সফল হওয়া একটি প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকার কারণে তাদের অন্তরে লুকিয়ে থাকে সেই মনবাসনা টা অনেক সময় সংকীর্ণ হয়ে আসে। কিন্তু সামান্য একটু দক্ষতা এবং মনের দৃঢ়তা নিয়ে আমরা অল্প টাকা বিনিয়োগ করে অত্যন্ত ভালো মানের ব্যবসা করতে পারি।
আমরা যদি এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া বের করি যেগুলো বাড়িতে বসেই করা যাবে তাহলে ইনভেস্টর পরিমাণটা অনেকটাই কমে আসবে। কোথায় লোন পাবো সে আশায় বসে না থেকে বরং আপনার কাছে যা আছে তা দিয়েই আপন হতে শুরু করুন।

ব্যবসা শুরুর আগে সর্তকতা

মনে রাখবেন একটি সঠিক পরিকল্পনায় আপনার ব্যবসাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে ভালো করে পরিকল্পনা করেন। আপনি যে পণ্য বা সেবা নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেটা সম্পর্কে বাজার চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন। বিশ্বস্ত কারও সাথে আলাপ-আলোচনা করুন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। কার আপনার প্রতিযোগী হবে সেগুলো বিবেচনায় রাখুন। মার্কেট এনালাইসিস করে প্রয়োজনে একটি ডাটাবেজ তৈরি করে রাখুন।

নতুন এবং সেরা কিছু বিজনেস আইডিয়া

উপরের ধাপগুলো যখন আপনি পূরণ করবেন তখনই আপনার ব্যবসা শুরু করার সময় চলে আসবে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করা হলো আসলে যে কোন একটি ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের ভালো লাগবে।

১. মোবাইল রিপেয়ার এবং মোবাইল এক্সেসরিজ এর ব্যবসা

বাংলাদেশের 16 কোটি লোক বসবাস করে। আর এখন প্রত্যেকের হাতেই একটি করে মোবাইল রয়েছে। সাথে সাথে প্রতিদিনই মানুষ তার পুরনো স্মার্টফোনটি পরিবর্তন করছে এবং অনেক সময় সেগুলো রিপেয়ার করার প্রয়োজন হয়। এত সংখ্যক মানুষের হাতে হাতে মোবাইল থাকার কারণে এই ব্যবসাটির বাজার সম্ভাবনা খুব ভালো। মোবাইল রিপেয়ার এর পাশাপাশি মোবাইলের চার্জার ব্যাটারি হেডফোন ইত্যাদি এক্সেসরিজ বিক্রি করা যেতে পারে। আর এই ব্যবসা করার জন্য তেমন পুঁজির প্রয়োজন হয় না এবং বড় কোনো দোকানের প্রয়োজন হয় না।

২. টিফিন সাপ্লাই / লাঞ্চ মিল সাপ্লাই

এই ঢাকা শহরে মানুষ বড়ই কর্মব্যস্ত। এই কর্মব্যস্ত মানুষদের মাঝে যদি দুপুরবেলায় মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা যায় তবে এখান থেকেও ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব। কর্মব্যস্ত লোক গুলো অনেক সময় বাড়ি থেকে খাবার আনতে ভুলে যায় অথবা অনেক ব্যাচেলর রয়েছে যাদের খাবারের অনেক সমস্যা। দুপুর বেলায় যদি আমরা মানসম্মত খাবার তাঁর কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে এখান থেকে আমরা একটা মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারব। বিশেষ করে গৃহিণীরা চাইলে রান্না ঘর থেকেই এই কাজটা শুরু করতে পারেন খুবই কম পুঁজিতে।

৩. একটি ব্লগ সাইট চালু করুন

সিরিয়াসলি যদি আপনি একটি ব্লগ সাইট চালু করে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে এখান থেকে আপনি একটা ভালো ফিডব্যাক পাবেন। চাইলে আপনি প্রথমে বাড়ি থেকেই এই কাজটি শুরু করতে পারেন অথবা ছোট একটি অফিস ভাড়া নিয়েও করতে পারেন। প্রয়োজনে ছোট একটি টিম সেট করতে পারেন যারা সিরিয়াসলি ব্লগিং পেশার সাথে যুক্ত হতে চাচ্ছে। একজন এসইও এক্সপার্ট একজন কনটেন্ট মার্কেটার ভাড়া করে নিলে খুব সহজেই এখান থেকে সফলতা পাওয়া যাবে। অনেকেই মন্থলি 1000 ডলারের মত ইনকাম করছে এই ব্লগিং পেশা থেকে। সিরিয়াসলি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট চালু করুন আশা রাখা যায় আপনার ওয়েবসাইট থেকে যখন ভালো ট্রাফিক আসবে তখন আপনিও মাসে 1000 ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

৪. নেটওয়ার্ক মার্কেটিং

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শব্দটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর অল্টারনেটিভ হিসেবে ধরা হয়। কম বাজেটে যত ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং অন্যতম। তবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট টি প্রমোট করতে হবে। এমন কিছু ব্র্যান্ডের পণ্য বের করতে হবে যে গুলোর চাহিদা সব সময় বেশি।
বর্তমানে মেডিকেল ইনফ্লামেশন, মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার, স্কিন কেয়ার এবং বিউটি প্রোডাক্ট এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি চাইলে এই সব প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। আর এগুলো আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করতে পারেন।
আর এটি আপনি চাইলে একটি ফেসবুক প্রোফাইল অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারেন।

৪. বেবি সিটিং অথবা বেবি কেয়ার সেন্টার

বেবি কেয়ার সেন্টার হতে পারে মহিলাদের জন্য একটি দারুন কম পুজির ব্যবসা আইডিয়া। যেকোন নারী চাইলে বাড়িতে বসেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারে। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য তেমন একটা পুঁজির প্রয়োজন হয় না।
একটা রুম ভাড়া করা কিছু খেলনা জাতীয় জিনিসপত্র সাথে কিছু বাচ্চাদের বিছানা এবং ম্যাট্রেস। বাস একয়টা জিনিস হলেই এই ব্যবসাটা শুরু করা যেতে পারে।
বর্তমানে কর্মব্যস্ত লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনকি স্বামী স্ত্রী দুজনেই চাকরি করার কারণে বাচ্চাদেরকে রাখার জায়গা পাচ্ছে না। ফলে দিন দিন বেবি ডে কেয়ার সেন্টারের সংখ্যা পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৫. অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

ইন্টারনেট কি ব্যবহার করে অনলাইনে মাধ্যমে অনেক ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। আমরা চাইলে আগে ফেসবুক পেইজ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কোন পন্য নিয়ে ব্যবসা করতে পারি যেমন পোশাক আশাক, জুয়েলারি পণ্য, স্কিন কেয়ার বিউটি প্রোডাক্ট, মেডিসিন, ইলেক্ট্রিক প্রোডাক্ট, মোবাইল, কম্পিউটার, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, মোবাইল এক্সেসরিজ ইত্যাদি
বাংলাদেশে বর্তমানে অনলাইনে জিনিসপত্র কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই এই খাতে ব্যবসা শুরু করলে ভবিষ্যতে সম্ভাবনা বেশ ভালো তা উপলব্ধি করা যায়।

৬. একুরিয়াম এন্ড ফিস এর ব্যবসা

আপনি চাইলে খুবই অল্প পরিমাণ ইনভেস্ট এর মাধ্যমে একুরিয়াম এন্ড পিস এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন ইভেন চাইলে আপনার বাড়িতে বসে শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার কিছু একুরিয়াম কিনতে হবে পাশাপাশি একুরিয়ামের যে সকল মাছ পালন করা হয় সেগুলো রাখতে হবে।
একুরিয়াম, মাছ এবং ঘর সাজানোর জিনিসপত্র রাখতে পারেন এছাড়াও মাছের খাবার এয়ার পাম্প ইত্যাদি আপনাকে অতিরিক্ত মুনাফা দেবে। মাছের বাচ্চা ফোটানোর জন্য আলাদা ট্রাকের ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে বারবার মাছ কেনার জন্য আলাদা খরচ বহন করতে হবে না।

৭. নার্সারি এবং বাগানের জিনিসপত্র

পরিবেশ সচেতন ও তার ফলে আমাদের দেশে এখন শহর গুলোতে ছাদ কৃষির একটি প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া প্রত্যেকেই তার অ্যাপার্টমেন্টে অথবা অফিসে গাছ লাগাতে পছন্দ করে। এইতো ছোট পরিসরে আপনি চাইলে নার্সারি এবং বাগানের জিনিসপত্রের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এমনকি আপনি এই ব্যবসাটিও বাড়িতে বসেই শুরু করতে পারেন।
নার্সারিতে গাছের চারা বিক্রির পাশাপাশি আপনি বীজ এর প্যাকেট, সার কীটনাশক এর প্যাকেট এবং বাগানের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিক্রি করেও অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।

৮. আচার, ক্যাচাপ এবং জেলির ব্যবসা

চারিদিকে ভেজাল খাদ্যে ছেয়ে গিয়েছে তাই তো মানুষ এখন পুষ্টিকর নির্ভেজাল খাদ্যের প্রতি দুর্বল। বিশেষ করে আচার, টমেটো ক্যাচাপ, বিভিন্ন ধরনের জেলি এ জাতীয় খাবারে ভেজাল এর প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
এমত অবস্থায় আমরা গ্রাহকদের এই দুরবস্থা কে বিবেচনা করে ঐতিহ্যগত প্রথা অবলম্বন করে কেমিক্যাল মুক্ত উপায়ে আচার, সস, টমেটো ক্যাচাপ, জেলি তৈরি করে বিক্রি করতে পারি।

৯. মোমবাতি তৈরির ব্যবসা

মোমবাতি একটি প্রয়োজনীয় প্রডাক্ট বিশেষ করে বিভিন্ন জন্মদিন পার্টি বিবাহ বার্ষিকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে মোমবাতির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও প্রয়োজনে তাকে দেও আমরা অনেক সময় মোমবাতি ব্যবহার করি। ওয়েডিং প্লানিং করার জন্য অনেক সময় মোমবাতির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আর এই মোমবাতির বাহারি বাহারি ডিজাইন রয়েছে যেগুলো আমরা তৈরি করার মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারি।

১০. কেক এবং বেকস

যদি আপনার রান্নার হাতটি ভালো হয় যদি এমনটি হয় যে আপনি ভালো কেক বানাতে পারেন। বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য বাহারি বাহারি কেক ডিজাইন করা হয় সেভাবে কেক তৈরি করে ব্যবসা করা যেতে পারে। বাংলাদেশের অনেকেই এই ব্যবসা করছে। একটাই ফেসবুক পেজ চালু করে সেখান থেকে এই কেকের অর্ডার নেওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে কেকের অর্ডার নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট, এবং বিভিন্ন ধরনের কেক বানিয়ে বিস্কুট বানিয়ে বিক্রি করা যেতে পারে।

১১. ভ্রমণে সহায়তা করা

যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে আপনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। যেমন যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে তাদের জন্য দূরপাল্লার বাস এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, অনলাইনের মাধ্যমে রেলের টিকিট বুকিং করা এর সাথে সাথে বিভিন্ন হোটেলে রুম বুক করা।
যারা ভ্রমণ করবে তারা হয়তো এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বেশি একটা ধারণা রাখবে না আর এর জন্যই আপনি তাদেরকে এ ব্যাপারগুলোতে সহায়তা করবেন। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট ফি ধার্য করবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে পরামর্শ করে একটা কমিশন নিতে পারেন।
আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে অথবা একটি ওয়েবসাইট চালু করে বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন এবং এখান থেকে একটা ভালো অঙ্কের মুনাফা লুটে নিতে পারেন।

১২. ছোট্ট স্ট্রীট ফুড এর দোকান

আমরা অনেক সময় চলতি পথে রাস্তার পাশে অনেক ছোট ছোট খাবারের দোকান দেখতে পাই যে গুলোতে সাধারনত ফুচকা ঝালমুড়ি সিংগারা পিয়াজু পুরি আরো নানান বাহারের খাবার তৈরি করা হয়। আর এই ব্যবসা গুলো মোটামুটি ভালোই চলে এবং মুনাফা ও ভালো করা যায় বা লাভ ভালো করা যায়। এ ধরনের একটি স্ট্রিট ফুডের দোকান করে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারেন আপনি। যেহেতু এই ব্যবসাটি কত তেমন একটা পুঁজির প্রয়োজন হয় না সেহেতু আমরা যে কেউ চাইলে কম পুজির মধ্যে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারি।

১৮. মেডিকেল স্যাম্পল কালেকশন এর ব্যবসা

ধরুন আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন সে এলাকায় হসপিটাল একটু দূরে। নানান সময়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় এই রোগীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। এদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সাধারণত রক্ত ইউরিন ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হয়। আপনি যদি নিজের দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেয়ে এই স্যাম্পল গুলো যোগার করে আনতে পারেন তবে এখানে একটি ব্যবসা করা যাবে। আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হয়তোবা এই ব্যবসা করার টা একটু সমস্যা হবে কারণ বিভিন্ন হসপিটালের মালিকেরা এই ব্যবসাটি কে সমর্থন করবে না। তবে আপনি একটু চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

১৩. পুরাতন ফার্নিচার এর ব্যবসা

আমি কি ভাবতে পারেন পুরাতন ফার্নিচার নিয়ে আবার কিভাবে ব্যবসা করে। আপনি ঢাকা শহরে বসবাস করে থাকলে অবশ্যই খেয়াল করবেন বিভিন্ন জায়গায় পুরাতন ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। যেখানে তারা পুরাতন ফার্নিচার কিনে আবার সেগুলো অন্যজনের কাছে বিক্রি করে। অনেক সময় অনেক অর্থ বিত্তশালী লোকেদের ঘরে ফানিচার পরিবর্তন করতে হয় তখন পুরনো ফার্নিচার গুলো তারা কম দামে বিক্রি করে দেয়। আপনি সেই কম দামে ফার্নিচার গুলো কিনে নিয়ে বার্নিশে করে আবারো অন্য কোন কাস্টমারের কাছে অনায়াসে বিক্রি করতে পারবেন। বাড়ির পাশাপাশি অনেক সময় বিভিন্ন অফিস-আদালতের ফার্নিচার পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় সেগুলো আপনি কিনে নিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসাটি বাংলাদেশ নতুন নয় বরং বেশ পুরনো একটি ব্যবসা বলা যেতে পারে।

১৪. সিসিটিভি এন্ড সার্ভিলেন্স

বর্তমানে সারা দেশব্যাপী মানুষজন নিজের পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজনের নিরাপত্তা সম্পর্কে বেশ সতর্ক। নিজের বাড়ি টিকে বিভিন্ন চোর-ডাকাত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করছে।
কিন্তু অনেকেই এই সিসিটিভি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেনা বা কোন সমস্যা হলে সেটা মেরামত করতে পারে না। এমত অবস্থায় আপনি চাইলে কিভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত করে বা রিপেয়ার করে সেটা শিখে নিতে পারেন তাহলে এখান থেকে একটা ভালো অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

১৫. পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা

 বর্তমান সময়ে আমরা তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন নতুন নতুন গ্যাজেট পেতে পছন্দ করি এর জন্য অনেকেই পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি করে নতুন ল্যাপটপ কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ হই । আমরা পুরাতন ল্যাপটপ গুলো কারো না কারো কাছে বিক্রি করে দেই ।  আপনি যদি সেই পুরাতন ল্যাপটপ গুলো কিনে নিয়ে আপনার কাছে রেখে দেন এবং পরবর্তীতে সেগুলো অন্যজনের কাছে বিক্রি করেন তাহলে এখান থেকে একটা ছোট্ট অংশ লাভ বা প্রফিট করতে পারবেন।
 কারো কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ কিনে সেটি যদি আপনি বিক্রি করতে চান তবে bikroy.com এর সহায়তা নিতে পারেন।  bikroy.com এ বর্তমানে প্রচুর পুরাতন জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয় হয়।  সেখানে আপনার পুরাতন ল্যাপটপ গুলো ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।

১৬. সাইন বোর্ড তৈরির ব্যবসা

 বর্তমানে মার্কেটে দুই ধরনের সাইন বোর্ডের প্রচলন রয়েছে যেমন প্রিন্টেড সাইন বোর্ড এবং নিয়ন সাইনবোর্ড । প্রিন্টেড অথবা নিয়ম যে কোন ধরনের সাইনবোর্ড  তৈরি করে কিন্তু একটা ছোট ব্যবসা শুরু করা যায়।
বর্তমানে ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান প্রচার-প্রচারণার ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  ছোট বড় সব ধরনের দোকানেই সাইন বোর্ডের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।  এছাড়াও বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য নিয়ন সাইন বোর্ডের ব্যবহার করে থাকে।  মোটামুটি ভাবে আমরা যে কেউ, যারা অল্প পুজিতে ব্যবসা করতে চাচ্ছি তারা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারি।

১৭. ম্যান পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ব্যবসা

 বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে বর্তমানে সিকিউরিটি প্রয়োজন হয়।  বাংলাদেশ সিকিউরিটি সার্ভিস প্রদানের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জন্য সিকিউরিটি ম্যান প্রোভাইড করা হয় বা সরবরাহ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্টে ওয়েটার বুয়া বাবুর্চি ইত্যাদি লোকের প্রয়োজন হয় আপনি যদি এই লোকগুলোর সন্ধান দিতে পারেন তাহলে এখান থেকে একটা কমিশন ইনকাম করা যাবে।
এছাড়াও অনেক সময়ে রাস্তাঘাট তৈরি করা বড় বড় দালান কোঠা তৈরি করার জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।  সেই কন্টাকটারের সাথে আপনি যোগাযোগ রক্ষা করে এদেরকে যদি প্রয়োজন অনুসারে শ্রমিক সরবরাহ করতে পারেন তবে এখানে একটা ইনকামের পথ বের করা যাবে।  শ্রমিকদের কে নিয়ে যারা কাজ করে তারা অলরেডি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানে এবং অনেকেই এই ব্যবসা করছে আপনি চাইলে তাদের মতো করে আপনিও শুরু করতে পারেন।

১৮. স্টেশনারি সাপ্লাই বিজনেস

 আমাদের দেশে যে হারে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় সেই হারে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রচুর শিক্ষার্থী রয়েছে এবং  সকলের  স্টেশনারি পণ্য প্রয়োজন হয়। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গুলোর আশেপাশে প্রচুর দোকান রয়েছে যেগুলো স্কুল কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাছে বই, কলম, খাতা, পেন্সিল ইত্যাদি স্টেশনারি পণ্য বিক্রি করে।  আর যারা দোকান করে তারা সব সময় মার্কেট থেকে পণ্য কিনে না।  বেশিরভাগ সময় তাদের দোকানে অন্য কোম্পানির লোকেরা এসে পণ্য দিয়ে যায়।
 আপনি চাইলে এই দোকান গুলোতে বিভিন্ন ধরনের স্টেশনারি পণ্য সরবরাহ করে ব্যবসা করতে পারেন।  স্টেশনারি পণ্য গুলো বিক্রি করে এখান থেকে আপনি একটা  ভাল ইনকাম করতে পারবেন।

১৯. অডিও রেকর্ডিং অ্যাডভার্টাইজমেন্ট

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রচার প্রচারণার জন্য বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করতে দেখি।  বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় কিছু অডিও অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্রচার করা হয়।  যেমন মিন্টু ভাইয়ের মার্কা ছাতা মার্কা ছাতা মার্কা দেখিয়া ভোট দিবেন হাসিয়া,  আবার বিভিন্ন ক্যানভাসে অডিও অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর প্রচলন রয়েছে যেমন ইদুর মরে তেলাপোকা মরে ছারপোকা মরে,  বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রচার প্রচারণার জন্য এ ধরনের অডিও অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর প্রচলন  আছে আমাদের দেশে।
একটা কম্পিউটার একটা মাইক্রোফোন কিনে আপনি চাইলে নিজেই অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।  প্রয়োজনে আপনি ইউটিউবে সহযোগিতা নিতে পারেন যে কিভাবে অডিও অ্যাডভার্টাইজমেন্ট তৈরি করতে হয়।

২০.  ফটোগ্রাফার

আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনের সময় সেই অনুষ্ঠানটিকে স্মৃতিময় করে রাখার জন্য ফটোগ্রাফার দের কে ভাড়া করা হয়।  বিবাহ অনুষ্ঠান জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিভিন্ন জাতীয় দিবস ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফারের বেশ কদর রয়েছে।  একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা একটি কম্পিউটার এর মাধ্যমে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে।  যেহেতু আমরা কম পুজির ব্যবসা করছি এটি হতে পারে একটি কম পুজির ব্যবসা।  একবার কম্পিউটার ক্যামেরা কেনা হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর বাড়তি কোন ইনভেস্ট করতে হবে না এ ব্যবসায়।  শুধুমাত্র দরকার হাতের দক্ষতা এবং ভালো মানের ছবি তোলার অভিজ্ঞতা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *