প্রশ্ন-১। সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে?
উত্তরঃ সবুজ উদ্ভিদের সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সাহায্যে CO2 ও পানির রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে শর্করা তৈরির প্রক্রিয়াকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
প্রশ্ন-২। উদ্ভিদের পাতার কোন অংশ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।
উত্তরঃ উদ্ভিদের পাতার সবুজ প্লাস্টিড সালোকসংশ্লেষণে অংশ নেয়।
প্রশ্ন-৩। পৃথিবীতে সব শক্তির উৎস কী?
উত্তরঃ পৃথিবীতে সব শক্তির উৎস হলো সূর্য।
প্রশ্ন-৪। উদ্ভিদের পাতাকে সালোকসংশ্লেষণের প্রধান স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কেন?
উত্তরঃ পাতাকে সালোকসংশ্লেষণের প্রধান স্থান হিসেবে চিহ্নিত করার কারণ হলো-
(i) পাতা চ্যাপ্টা ও সম্প্রসারিত হওয়ায় বেশি পরিমাণ সূর্যরশ্মি শোষিত হয়।
(ii) পাতার কোষগুলোতে ক্লোরোপ্লাস্টের সংখ্যা অনেক বেশি।
(iii) পাতায় অসংখ্য পত্ররন্ধ্র থাকায় গ্যাসীয় আদান-প্রদান সহজে ঘটে।
প্রশ্ন-৫। সালোকসংশ্লেষণের সময় বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড কীভাবে পাতায় প্রবেশ করে?
উত্তরঃ পত্ররন্ধ্রের ভেতর দিয়ে পাতায় প্রবেশ করে।
প্রশ্ন-৬। সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রভাবক কী কী?
উত্তরঃ সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় কতগুলো বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রভাবক রয়েছে। বাহ্যিক প্রভাবকের মধ্যে রয়েছে আলো, CO2, তাপমাত্রা, পানি, অক্সিজেন, খনিজ ও রাসায়নিক পদার্থ। অভ্যন্তরীণ প্রভাবকের মধ্যে রয়েছে ক্লোরোফিল, পাতার বয়স ও সংখ্যা, পটাসিয়াম ও কিছু এনজাইম।
প্রশ্ন-৭। সালোকসংশ্লেষণের আলোক ও অন্ধকার পর্যায়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় দুটি পর্যায় রয়েছে। যথা– আলোক পর্যায় ও অন্ধকার পর্যায়। নিচে এদের পার্থক্য দেওয়া হলো–
আলোক পর্যায়
- দিনের বেলায় সংঘটিত হয়।
- আলোর প্রয়োজন হয়।
- প্রধান কাঁচামাল পানি।
- অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।
অন্ধকার পর্যায়
- রাতের বেলায় সংঘটিত হয়
- আলোর প্রয়োজন হয় না।
- কাঁচামাল হিসেবে কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহৃত হয়।
- গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।