এসএসসি (SSC) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. পৃথিবীর মানচিত্র প্রথম অঙ্কন করেন কারা?

উত্তর : পৃথিবীর মানচিত্র প্রথম আঁকেন গ্রিক বিজ্ঞানীরা।

প্রশ্ন-২. পৃথিবীতে প্রথম গণতন্ত্রের সূচনা হয় কোথায়?

উত্তর : পৃথিবীতে প্রথম গণতন্ত্রের সূচনা হয় প্রাচীন গ্রিসের এথেন্সে।

প্রশ্ন-৩. ‘রসেটা স্টোন’ কি?

উত্তর : ‘রসেটা স্টোন’ হলো পাথরের একটি বিখ্যাত প্রাচীন ফলক। এতে গ্রিক এবং হায়ারোগ্লিফিক ভাষায় অনেক কিছু লেখা ছিল, যা থেকে প্রাচীন মিসরের অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৪. রোম নগরীর প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর : রোম নগরীর প্রতিষ্ঠাতা ল্যাটিন রাজা রোমিউলাস।

প্রশ্ন-৫. ফারাও বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার রাজবংশের রাজাদের উপাধি ছিল ‘ফারাও’।

মিশরীয় ‘পের–ও’ শব্দ থেকে ফারাও শব্দের উৎপত্তি। ফারাওরা স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে দেশ শাসন করত। নিজেদের তারা সূর্যদেবতার বংশধর মনে করত। ফারাও পদটি ছিল বংশানুক্রমিক। অর্থাৎ ফারাওয়ের ছেলে উত্তরাধিকার সূত্রে ‘ফারাও’ হতো। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ফারাওরা ছিল অত্যন্ত ক্ষমতাশালী।

প্রশ্ন-৬. মিসরীয়রা পিরামিড তৈরি করেছিল কেন?

উত্তর : মমিকে রক্ষা করার জন্য মিসরীয়রা পিরামিড তৈরি করেছিল। প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার অনন্য স্থাপত্যকর্ম পিরামিড। এর বেশ কয়েকটি এখনো সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রাচীন মিসরীয়রা মনে করতেন, মৃত ব্যক্তি আবার একদিন বেঁচে উঠবে। সে কারণে সম্রাটসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেহ অবিকৃত রাখার জন্য বিশেষ কায়দায় মমি করা হতো। আর এই মমিকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই মিসরীয়রা পিরামিড তৈরি করেছিলেন।

প্রশ্ন-৭. খেলাধুলার ক্ষেত্রে প্রাচীন গ্রিকদের অবদান ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : খেলাধুলার ক্ষেত্রে প্রাচীন গ্রীকদের যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। তখন শিশুদের খেলাধূলার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হতো। বিদ্যালয়ে তাদের খেলাধুলার হাতেখড়ি হতো। উৎসবের দিনে গ্রিসে নানা ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল দেবতা জিউসের সম্মানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতা।

অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় গ্রিসের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদরা অংশ নিতেন। এতে দৌড়ঝাঁপ, মল্লযুদ্ধ, চাকা নিক্ষেপ, বর্ষা ছোড়া, মুষ্টিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকত। প্রতি চার বছর পরপর এই খেলা অনুষ্ঠিত হতো। তাই বলা যায়, খেলাধুলার ক্ষেত্রে গ্রিকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।

প্রশ্ন-৮. প্রাচীন গ্রিক নগররাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব কীভাবে গড়ে ওঠে?

উত্তর : অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে ঘিরে প্রাচীন গ্রিক নগররাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব গড়ে উঠেছিল। প্রাচীন গ্রিসের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এখনকার আন্তর্জাতিক অলিম্পিকের মতোই প্রতি চার বছর পরপর এটি অনুষ্ঠিত হতো। এ প্রতিযোগিতায় গ্রিসের বিভিন্ন নগর রাষ্ট্রের ক্রীড়াবিদেরা অংশগ্রহণ করতেন। এর ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যে যেমন সম্পর্ক গড়ে উঠত, তেমনি এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে আসা বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ ও শাসকদের মধ্যেও সৌহার্দ্য তৈরি হতো।

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top