ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

ভিয়েতনাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যারা ১৯ শতক থেকে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল। ভিয়েতনামে সংঘাতের সূচনা ঘটে ফরাসী ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ (১৯৫৫-১৯৭৫) সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন সমর্থিত কমিউনিস্ট উত্তর ভিয়েতনাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত দক্ষিণ ভিয়েতনামের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। দীর্ঘ রক্তাক্ত সংঘাতের মূল কারন ছিল ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসন এবং কমিউনিস্ট…

গেরিলা যুদ্ধ কি? ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা

গেরিলা যুদ্ধ কি? ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা

গেরিলা যুদ্ধ কি? গেরিলা যুদ্ধ এমন এক ধরনের যুদ্ধ পদ্ধতি যেখানে গেরিলা যোদ্ধারা শত্রুপক্ষের গতিবিধি লক্ষ রেখে অতর্কিতভাবে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং আক্রমণ করে মূহুর্তের মধ্যে স্থান ত্যাগ করে থাকে। গেরিলা যোদ্ধারা মূলত ভূমি এবং ভৌগোলিক সুবিধা ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ওপরে প্রাধান্য বিস্তার করে। গেরিলারা শত্রু বাহিনীকে মোকাবিলা করার জন্য অনেক রকম সামরিক কৌশল ব্যবহার করে যেমন, অতর্কিত আক্রমণ,…

পলাশীর যুদ্ধ – কারণ ও ফলাফল

পলাশীর যুদ্ধ – কারণ ও ফলাফল

পলাশীর যুদ্ধ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। পলাশীর যুদ্ধে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৭৩২-১৭৫৭) কতিপয় বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রের কারণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়। পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পরাজয়ের পরই মূলত ভারতবর্ষে ইংরেজ-শাসনের সূচনা হয়। সিরাজের নানা আলীবর্দী খান ইন্তেকাল করেন ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল। নানা নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুতে বাংলার মসনদে…

মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর : সীমানা, কমান্ডার

মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর : সীমানা, কমান্ডার

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ঘুমন্ত মানুষের উপর নির্বিচা*রে হামলা চালায়। তারা এটির নাম দিয়েছিল ‘‘অপারেশন সার্চ লাইট’’। ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার পূর্বে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সেই সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সবাইকে যাপিয়ে পড়ে এদেশকে হানাদার এবং দখলমুক্ত…

ত্রিশ বছরের যুদ্ধ : কারণ ও ফলাফল

ত্রিশ বছরের যুদ্ধ : কারণ ও ফলাফল

ত্রিশ বছরের যুদ্ধ (Thirty Years War), জার্মানিতে সংঘটিত হওয়া ইউরোপের ইতিহাসে দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। যুদ্ধটিতে ইউরোপের প্রায় সকল দেশই এর সাথে কোন না কোনভাবে যুক্ত ছিল। ত্রিশ বছরের যুদ্ধ ছিল ১৭ শতকের একটি ধর্মীয় সংঘাত যা মূলত মধ্য ইউরোপে সংঘটিত হয়েছিল। এটি মানব ইতিহাসের দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে নৃশংস যুদ্ধগুলোর মধ্যে একটি, সামরিক…

তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধের গুরুত্ব

তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধের গুরুত্ব ১৭৬১ খ্রিঃ তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ আফগান শাসন আহম্মাদ শাহ আবদালির সঙ্গে মারাঠা পেশোয়া বালাজি বাজীরাও এর মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ মারাঠাদের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। এই যুদ্ধের গুরুত্ব অসীম। যদিও এই যুদ্ধে গুরুত্ব সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। মারাঠা ঐতিহাসিক সরদেশাইয়ের মতে এই যুদ্ধ ছিল একটি সাময়িক বিপর্যয়। পক্ষান্তরে ঐতিহাসিক যদুনাথ…

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশ পূণর্গঠন প্রক্রিয়ার বর্ণনা 

বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন চারদিকে ছিল স্বজন হারানোর বেদনা, কান্না, হাহাকার আর ধ্বংসযজ্ঞ। অসংখ্য রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট, কলকারখানা, নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ছিল বিধ্বস্ত। রাষ্ট্রীয় কোষাগার ছিল অর্থ শূন্য। স্বাধীন বাংলাদেশের ছিল না কোনো সামরিক – বেসামরিক বিমান। ত্রিশ লাখ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে এক কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন, গ্রাম – গঞ্জের লাখ লাখ ক্ষতিগ্রস্থ…

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশ পূণর্গঠন প্রক্রিয়ার বর্ণনা

স্বাধীনতার পর  যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার বর্ণনা দাও। বাংলদেশ স্বাধীন লাভ করার পর চিত্রটি ছিল খুবই কষ্টের । চারিদিকে ছিল কান্না, স্বজন হারানোর বেদনা, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের বেহাল অবস্থা ছিল। সেই সাথে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ছিল অর্থশূন্য। সেই সময় মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করাই ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যুদ্ধবিধস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে পূর্ণগঠনের…

বিখ্যাত ওয়াটারলু যুদ্ধক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?

বিখ্যাত ওয়াটারলু যুদ্ধক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত? বিখ্যাত ওয়াটারলু যুদ্ধক্ষেত্র বেলজিয়ামে অবস্থিত। ১৮১৫ সালের ১৮ জুন বেলজিয়ামের ওয়াটার লু নামক স্থানে সংগঠিত যুদ্ধের নাম ‘ওয়াটার লু’র যুদ্ধ। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপোর্ট এই যুদ্ধে দুইটি সম্মিলিত শক্তি যথাঃ- ডিউক অব ওয়েলিংটনের অধীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এবং গাবার্ড ভন বুচারের অধীন পার্শিয়ান সেনাবাহিনীর নিকট পরাজিত হন। যুদ্ধ প্রান্তরটি বেলজিয়ামের ওয়াটার লু শহর…

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য কোন দুই নারীকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়?

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য কোন দুই নারীকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়? ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তারামন বিবি ও সিতারা বেগম কে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২ জন মহিলা; ডা. সিতারা বেগম ও তারামন বিবিকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তারামন বিবি ও ডা. সিতারা বেগম…