মদিনা সনদের ১১টি প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মদিনা সনদের ১১টি  প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যামূলক আলোচনা মদিনা সনদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিল অপরিসীম। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, নৈতিক, প্রশাসনিক ও সামরিক ক্ষেত্রে মদিনা সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সনদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিম্নে আলোচনা করা হলো। ১. প্রথম লিখিত সংবিধান ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক প্রণীত ও বাস্তবায়িত মদিনা সনদ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান।…

হুদায়বিয়ার সন্ধিকে ফাতহুম মুবিন বলা হয় কেন

হুদায়বিয়ার সন্ধিকে “ফাতহুম মুবিন” বলার কারণ হুদায়বিয়ার সন্ধি ইসলামের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করে। এ সন্ধি ইসলামকে আরবের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিস্তার ও উত্তরণের এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। নিম্নে হুদায়বিয়ার সন্ধিকে “ফাতহুম মুবিন” বলার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। ১. সুস্পষ্ট বিজয় মহান প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তায়ালা হুদায়বিয়ার সন্ধিচুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছেন। বাহ্যিক দৃষ্টিতে এটি একটি অবমাননাকর…

হুদায়বিয়ার সন্ধি কি, এর লেখক, ধারা বা শর্তাবলি ও গুরুত্ব

৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশ ও মুসলমানদের মধ্যে সম্পাদিত হুদায়বিয়ার সন্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ সন্ধিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, ইসলামের প্রতি অবিচল আস্থা, শান্তির প্রতি একাগ্রতা, সর্বোপরি মানবীয় মহান গুণাবলির বিকাশ লক্ষ করা যায়। হুদায়বিয়া নামক স্থানে এ সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় বলে এ সন্ধির নাম হুদায়বিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত। হুদায়বিয়ার সন্ধি কি ষষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে…

মদিনা সনদের ধারা কয়টি ও কী কী এবং উল্লেখ্যযোগ্য ২২টি ধারা

মদিনা সনদের ধারা কয়টি ও কী কী ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (সা.) কর্তৃক ঘোষিত মদিনা সনদ ইসলামী রাষ্ট্রের সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান। অশান্তি দূরীকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ রচনায় এ সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সনদ সম্পর্কে ঐতিহাসিক P. K. Hitti বলেন, “আল মদিনার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্য থেকেই পরে বৃহত্তর ইসলামি রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।” (Out of the religious…

ওমর খৈয়াম এর পরিচয়

ওমর খৈয়াম ওমর খৈয়াম ছিলেন মধ্যযুগীয় পারস্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক সাহিত্যিক। জীবনের প্রতিটি শাখায় তার সাহিত্যের পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। জীবন রহস্য ছিল তার সাহিত্যকর্মের মূল বিষয়বস্তু। সুখ-দুঃখের অতল গহ্বরে তিনি অনায়াসে প্রবেশ করতে পারতেন। যে সকল মুসলিম মনীষীদের জ্ঞানসাধনা ও চিন্তাভাবনা বিশ্বের বুকে এক নয়া প্রাণবন্ত ও গৌরবোজ্জ্বল কৃষ্টি ও কালচারের সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে ওমর খৈয়াম অন্যতম। তিনি…

খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও

আব্বাসীয় খলিফাদের মধ্যে আল মাহদীর রাজত্বকাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। খলিফা আল মাহদী পিতা আল মনসুর কর্তৃক কঠোর ও রক্তপাত নীতি পরিত্যাগ করে উদার ও শান্তিপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেন। তিনি প্রজা বৎসল ও মহানুভব খলিফা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার দশ বছরের রাজত্বকাল আব্বাসীয় খিলাফতের গৌরবময় অধ্যায় ছিল। খলিফা আল মাহদীর পরিচয় আল মাহদী সম্ভবত ৭৪৩-৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দে খুজিস্তানের ইজাজ…

মদিনার সনদকে ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সংবিধান বা ম্যাগনাকাটা বলা হয় কেন

মদিনার সনদকে ইসলামের ইতিহাসে ম্যাগনাকাটা বা প্রথম সংবিধান বলা হয় কেন মহান সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। মদিনায় এসে তিনি পাঁচ শ্রেণির লোক দেখতে পান। তিনি মদিনায় বসবাসরত এসব সম্প্রদায়ের মধ্যে সদ্ভাব ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। মদিনাবাসী ও মদিনার আশপাশে…

মদিনা সনদ কী | পটভূমি ও আলোচনা

মদিনা সনদ কী ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (সা.) কর্তৃক ঘোষিত মদিনা সনদের Concept বা ধারণায় উজ্জীবিত হয়েই ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষণা করে মানবাধিকার সনদ। অশান্তি দূরীকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ রচনায় এ সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সনদ সম্পর্কে ঐতিহাসিক P. K. Hitti বলেন, “আল মদিনার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্য থেকেই পরে বৃহত্তর ইসলামি রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।” মহান…

বদর যুদ্ধের ফলাফল | বদর যুদ্ধের ১০টি ফলাফল নিয়ে বিশদ আলোচনা

যে কুরাইশদের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণের জন্য হযরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করলেন, মদিনায় এসেও সেই কুরাইশদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেলেন না। কুরাইশরা পৌত্তলিকদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে মুসলমানদের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করে। মহানবী (সা.) এর নেতৃত্বে নওমুসলিমগণও কঠোর মনোবল নিয়ে পৌত্তলিকদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। ফলে মদিনার অদূরে বদর নামক স্থানে এক যুদ্ধ সংঘটিত হয়।…

জাবের যুদ্ধ সম্পর্কে বর্ণনা

জাবের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে যতগুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে তার মধ্যে জাবের যুদ্ধ একটি অন্যতম যুদ্ধ। এ যুদ্ধ ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে (সালে) দ্বিতীয় মারওয়ান এবং আবুল আব্বাস আস-সাফ্ফাহর মধ্যে টাইগ্রিস নদীর তীরবর্তী জাব নামক স্থানে সংঘটিত হয়েছিল বলে এটি জাবের যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত। এ যুদ্ধের মাধ্যমে উমাইয়া বংশের পতন এবং আব্বাসীয় বংশের উত্থান ঘটে। জাবের যুদ্ধের কারণ উমাইয়া ও আব্বাসীয় দ্বন্দ্ব ছিল জাবের…