ভাষা কাকে বলে? ভাষা কত প্রকার ও কি কি?

মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য কণ্ঠধ্বনি এবং হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যজ্গের সাহায্যে ইঞ্গিত করে থাকে। কণ্ঠধ্বনির সাহায্যে মানুষ যত বেশি পরিমাণ মনােভাব প্রকাশ করতে পারে, ইঞ্গিতের সাহায্যে ততটা পারে না। আর কণ্ঠধ্বনির সহায়তায় মানুষ মনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ ভাবও প্রকাশ করতে সমর্থ হয়। কণ্ঠধ্বনি বলতে মুখগহবর, কণ্ঠ, নাক ইত্যাদির সাহায্যে উচ্চারিত বােধগম্য…

উক্তি কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

কারো বক্তব্য বা কথাকেই উক্তি বলে। কোন বক্তা বা কথকের বাককর্ম বা কথাকেই বলা হয় উক্তি। প্রকারভেদ উক্তি ২ প্রকার- প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি। আরো পড়ুন : দ্বিরুক্ত শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? প্রত্যক্ষ উক্তি যে বাক্যে বক্তার কথা অবিকল উদ্ধৃত হয়, তাকে প্রত্যক্ষ উক্তি বলে। প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তার কথা উদ্ধরণ চিহ্ন…

প্রকৃতি কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

শব্দমূল বা শব্দের যে অংশকে আর ভাঙা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে | প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি মৌলিক শব্দ তথা প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি প্রাতিপদিক ও ধাতুই একেকটি প্রকৃতি। কিন্তু মৌলিক শব্দকে প্রকৃতি বলা যায় না। যখনই সেই শব্দের সঙ্গে বা অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তখনই কেবল নতুন সৃষ্ট শব্দটির মূল শব্দটিকে প্রকৃতি বলা…

Active Voice to Passive Voice এ পরিবর্তন করার নিয়ম!

Active Voice to Passive Voice এ পরিবর্তন করতে হলে Active Voice এর Object Passive Voice এ Subject হয়ে বসে এবং Active Voice এর Subject টি Passive Voice এ Object হয়ে বসে এবং তার পূর্বে by বসে । Active Voice এর মূল Verb এর Passive Voice এ Past Participle রূপ হয় এবং Tense ও Passive Voice…

প্রত্যয় কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

মূলশব্দ বা মৌলিক শব্দের সঙ্গে যে অতিরিক্ত শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। যা ক্রিয়ামূল ও শব্দমূলের সাথে যুক্ত হয়ে নূতন পদ সৃষ্টি করে বা বাক্যস্থ শব্দের ভিতরে সম্পর্ক সৃষ্টিতে সহায়তা করে, এমন ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে প্রত্যয় বলা হয়। ইংরেজি suffix, postfix। আরো পড়ুন : দ্বিরুক্ত শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও…

ধাতু কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

ক্রিয়ার মূল কিংবা এর যে অবিভাজ্য অংশ এর অন্তর্নিহিত মূল ভাবটির দ্যোতনা (দ্যোতনা=সূচনা, প্রকাশনা) করে, অথবা বিশ্লেষণ করা যায় না এ রকম যে ক্ষুদ্রতম ধ্বনি-সমষ্টি ক্রিয়ার বস্তু বা গুণ বা অবস্থান বুঝায় তাকে ধাতু বলে। আরো পড়ুন : দ্বিরুক্ত শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? যেমন- ‘করা’ ক্রিয়ার মূল ‘কর্‌’ একটি ধাতু। ধাতুর প্রকারভেদ…

কারক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

কারক শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘যা ক্রিয়া সম্পাদন করে’। বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ককে কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের সংজ্ঞায় বলা হয়– বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে অন্যান্য পদের সম্বন্ধই হলো– কারক। বাংলা ব্যাকরণের এই সংজ্ঞাকে গ্রহণ করা হয়েছে, পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ অনুসারে। এই ব্যাকরণের ‘ক্রিয়ান্বয়ি কারকম’…

সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

সমাস হচ্ছে দুই বা ততোধিক পদের একপদীকরণ। যেমনঃ সু (শোভন) ব্রত যাহার = সুব্রত। অর্থবাচকতা সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, সমর্থন, সংগ্রহ, মিলন।   প্রকারভেদ সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ দ্বন্দ্ব, বহুব্রীহি, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, দ্বিগু এবং অব্যয়ীভাব। ১.দ্বন্দ্ব সমাস যে সমাসে সমস্যমান প্রত্যেক পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমনঃ রূপ ও রস ও গন্ধ…

অনুসর্গ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

ব্যাকরণে বর্ণিত অব্যয় পদের একটি বিভাগ বিশেষ। এই জাতীয় অব্যয় অন্য পদের পরে পৃথকভাবে বসে পদটিকে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে সম্পর্কিত করে বা বিভক্তির ন্যায় আচরণ করে। এদের অন্যান্য নাম পরসর্গ, কর্মপ্রবচনীয় (post position)।   প্রকারভেদ অনুসর্গ কোন পদের পরে বসে বাক্যের সাথে ওই পদকে সম্পর্কিত করতে পারে, তার প্রকৃতি বিচার করে ৩টি ভাগে ভাগ করা যেতে…

কিছু সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ

অর্থ এবং বানানে ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো শব্দের উচ্চারণ প্রায় একই রকম। এ ধরনের শব্দকে সমোচ্চারিত শব্দ বা প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলে। যেমন- ‘অন্ন’ এবং ‘অন্য’ শব্দদুটির উচ্চারণ প্রায় একই রকম হলেও এদের বানান এবং অর্থে পার্থক্য আছে। ‘অন্য’ শব্দের অর্থ অপর এবং ‘অন্ন’ শব্দের অর্থ ভাত। আরো পড়ুন : সমার্থক শব্দ কাকে বলে? কিছু উদাহরণ- শর তীর/তৃণবিশেষ ধুম প্রাচুর্য, জাঁকজমক ষড় ছয়…