সমাজকর্মের সাথে সমাজবিজ্ঞানের পার্থক্য

সমাজকর্ম একটি সমন্বয়ধর্মী সমাজবিজ্ঞান। সমাজ জীবনের সার্বিক দিকের উন্নতিই লক্ষ্য। সমাজকর্মের তাই মানবজীবনের সামগ্রিক দিক অর্থাৎ, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, দৈহিক, মানসিক ইত্যাদি দিকের উন্নতি করতে হলে সমাজকর্মীকে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান হতে জ্ঞান আহরণ করতে হয়। তবে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান হতে জ্ঞান আহরণ করলেও সমাজকর্ম নিজেকে একটি পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্মের পার্থক্য সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্মের মধ্যে…

সমাজকর্মের সাথে সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক

সমাজকর্ম একটি সমন্বয়ধর্মী সমাজবিজ্ঞান। সমাজ জীবনের সার্বিক দিকের উন্নতিই সমাজকর্মের লক্ষ্য। তাই মানবজীবনের সামগ্রিক দিক অর্থাৎ, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, দৈহিক, মানসিক ইত্যাদি দিকের উন্নতি করতে হলে সমাজকর্মীকে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান হতে জ্ঞান আহরণ করতে হয়। তবে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান হতে জ্ঞান আহরণ করলেও সমাজকর্ম নিজেকে একটি পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সমাজকর্মের সাথে সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক কি কি এ…

জনসমষ্টি কি

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এসব প্রথা বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ তাদের কার্যাবলি সম্পন্ন করে সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপন করে। জনসমষ্টি এমন একটি বিষয়, যা সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী, একই জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত এবং যাদের মধ্যে একতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ রয়েছে তাদেরকে জনসমষ্টি বলে। জনসমষ্টি জীবনের…

সমাজকল্যাণ পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

সমাজকল্যাণ অধ্যয়ন বা পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নে সমাজকল্যাণের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হল। ১. সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ : বেশিরভাগ মানুষই সমাজ সম্পর্কে সচেতন নয়। Aristotle এর মতে, “মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। অথচ সামাজিক জীব হিসেবে আমরা অধিকাংশই সমাজ সম্পর্কে অবগত নই। সামাজিক রীতিনীতি, মূল্যবোধ, সামাজিক পরিবর্তন, সামাজিক প্রথা ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত জ্ঞান সমাজকল্যাণে সমাজ সম্পর্কিত জ্ঞান…

সমাজসেবা বলতে কি বুঝায়

সমাজসেবা হল সামাজিক উন্নয়ন এবং নীতির সাথে সম্পৃক্ত একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্যয়। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি কল্যাণ রাষ্ট্রই সমাজসেবার প্রতি সর্বোত্তম গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। কেননা সমাজসেবা ছাড়া কোন সমাজের সার্বিক কল্যাণ কখনও নিশ্চিত করা যায় না। শিল্পবিপ্লবোত্তর যুগে সমাজের কল্যাণসাধনের জন্য সমাজসেবাকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হতো। তখনকার সমাজে আর্তমানবতার সেবায় পরিচালিত যে কোন প্রকারের কর্মকাণ্ডকে সমাজসেবা হিসেবে বিবেচনা…

সমাজকর্মের সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক আলোচনা কর

সমাজকর্ম একটি সমন্বয়ধর্মী সমাজবিজ্ঞান। সমাজ জীবনের সার্বিক দিকের উন্নতিই সমাজকর্মের লক্ষ্য। তাই মানবজীবনের সামগ্রিক দিক অর্থাৎ, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, দৈহিক, মানসিক ইত্যাদি দিকের উন্নতি করতে হলে সমাজকর্মীকে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান হতে জ্ঞান আহরণ করতে হয়। তবে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান হতে জ্ঞান আহরণ করলেও সমাজকর্ম নিজেকে একটি পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সমাজকর্মের সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক সমাজকর্ম ও অর্থনীতি…

দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র কী । ব্যাখ্যাসহ আলোচনা

দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলতে কী বুঝ? কোনো একটি দেশের বা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উপাদান সমূহের (উৎপাদন, আয়, বিনিয়োগ এবং মূলধন) স্বল্পতার কারনবশত যে আবর্তিত ও অনিয়ন্ত্রিত চক্র তৈরি হয়, সেই চক্রকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলে। একটি দেশের অর্থনীতি এই চক্রের মধ্য পড়লে, বেরিয়ে আসাটা কঠিন হয়ে পরে এবং ধীরে ধীরে সেই দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলে। তাই,দারিদ্রের এই চক্রকে দুষ্টচক্র বলা হয়ে থাকে। দারিদ্র নিয়ে…

নিরক্ষরতা দূরীকরণের উপায় কি কি

নিরক্ষরতা দূরীকরণের ব্যবস্থা ও উপায় নিরক্ষরতা বাংলাদেশের ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। তাই এ সমস্যার সমাধান জরুরি।  নিম্নে বাংলাদেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণের উপায় আলোচনা করা হল। ১. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ : বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বাড়ছে। ফলে বিপুল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হলে বাংলাদেশে নিরক্ষরতা কমবে। ২. শিক্ষা উপকরণের সহজলভ্যতা : বাংলাদেশে নিরক্ষরতার জন্য শিক্ষা…

নিরক্ষরতা কাকে বলে এবং কেন নিরক্ষরতা একটি অভিশাপ

নিরক্ষরতা কি নিরক্ষরতা বাংলাদেশের অন্যতম সামাজিক সমস্যা। কেননা নিরক্ষরতার কুফল আর্থসামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতিকর। নিরক্ষরতা নিজে যেমন একটি সমস্যা তেমনি অন্যান্য সামাজিক সমস্যা সৃষ্টিতে সহায়তা করে থাকে। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়। তাছাড়া নিরক্ষর ব্যক্তিরা উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে না। ফলে তারা সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য নিরক্ষরতা দূরীকরণের…

মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এবং এই আইনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধারা

মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ কি মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ মুসলমান সমাজের নারী ও শিশুকল্যাণের লক্ষ্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এ আইনের মূল লক্ষ্য হল মুসলিম সমাজের বহুবিবাহ, তালাক, ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার প্রভৃতি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা। এ কারণে এ আইনটিকে একাধারে নারীকল্যাণ, শিশু কল্যাণ এবং নিরাপত্তামূলক সামাজিক আইন বলা হয়ে থাকে। মুসলিম আইন মোতাবেক স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিয়ে কোন…