লাহোর প্রস্তাবকে পাকিস্তান প্রস্তাব বলা হয় কেন

লাহোর প্রস্তাবকে পাকিস্তান প্রস্তাব বলা হয় কেন ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের মূলকথা ছিল ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া। পরবর্তীতে একাধিক রাষ্ট্রের স্থলে একক রাষ্ট্র ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তাই লাহোর প্রস্তাবকে পাকিস্তান প্রস্তাবও বলা হয়।

বঙ্গভঙ্গের প্রশাসনিক কারণ ব্যাখ্যা কর

বঙ্গভঙ্গের প্রশাসনিক কারণ বঙ্গভঙ্গের পিছনে নানাবিধ কারণ বিদ্যমান ছিল যার মধ্যে প্রশাসনিক কারণ একটি। তৎকালীন সময়ে লর্ড কার্জন ভারত যে বিবৃতি দেন সে মোতাবেক জানা যায়, তখন বঙ্গপ্রদেশের ছিল ২,০০,০০০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ। এ বিশাল আয়তন এবং বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাকে একজন প্রশাসকের পক্ষে শাসন করা কষ্টকর ছিল। এরূপ প্রশাসনিক কারণ দেখিয়েই বঙ্গভঙ্গ করা হয়।

লাহোর প্রস্তাবের মূল কথা কী ছিল

লাহোর প্রস্তাবের মূল কথা উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল লাহোর প্রস্তাবের মূলকথা। শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক ভারতবর্ষে স্বায়ত্তশাসিত সার্বভৌম অঙ্গরাজ্য গঠনের চিন্তা থেকে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলো নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন এবং এসব স্বাধীন রাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্য বা প্রদেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌম নিশ্চিতকরণ, সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য উপযুক্ত সংবিধান ও নীতি গ্রহণ ইত্যাদি বিষয় ছিল ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের মূলকথা।

সিপাহী বিদ্রোহের মূল কারণ কি ছিল

সিপাহী বিদ্রোহের মূল কারণ সিপাহী বিদ্রোহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক কারণে সংঘটিত হয়েছিল। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে অবৈধভাবে অযোধ্যা ব্রিটিশ শাসনভুক্ত হলে হিন্দু ও মুসলমান নৃপতিদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। কোম্পানির ভূমিসংক্রান্ত নীতির ফলে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেয়। ব্রিটিশ অফিসারদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবস্থার এবং পক্ষপাতির নীতির ফলে ভারতীয় সিপাহিদের মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে থাকে। এসব কারণে ১৮৫৭ সালে সিপাহিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।

বঙ্গভঙ্গ রদের দুটি কারণ

বঙ্গভঙ্গ রদের দুটি কারণ হলো- ১. প্রতিক্রিয়াশীল হিন্দু গোষ্ঠী বঙ্গভঙ্গকে তাদের বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদ ও জাতীয়তাবাদ বিরোধী গণ্য করে এবং এর তীব্র বিরোধিতা করে। ২. বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য ভারতে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে বিলেতি পণ্য বর্জন ইংরেজদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

সাম্য কি এবং সাম্য কেন প্রয়োজন

সাম্য কি সাম্যের অর্থ ‘সুযোগ-সুবিধাদির সমতা’ (Equality of opportunities)। জাতি-ধর্ম-বর্ন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থাকে সাম্য বলে। সাম্যের (equality) মাধ্যমেই স্বাধীনতাকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা যায়। তাই সাম্য ব্যতীত স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়ে। সমাজে সাম্য না থাকলে স্বাধীনতা অর্জন করা বা বজায় রাখা সম্ভব নয়। আবার স্বাধীনতা সাম্যের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষ বৈষম্যহীনভাবে অর্থনৈতিক,…

সুশাসন কি এবং সুশাসনের বৈশিষ্ট্য ও উপাদান কি কি

সুশাসন কি সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের অংশগ্রহনের ভিত্তিতে শাসনকাজ পরিচালনাই হচ্ছে সুশাসন। সুশাসন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করে বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে। সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Good Governance’। সুশাসন হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সুশাসনের মাধ্যমেই নাগরিকগণ তাদের আগ্রহ বা আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করতে পারে, অধিকার ভোগ করতে পারে এবং চাহিদাগুলো…

মৌলিক অধিকার কি এবং মৌলিক অধিকার কেন প্রয়োজন

মৌলিক অধিকার কি মৌলিক অধিকার বলতে রাষ্ট্রপ্রদত্ত সেসব সুযোগ-সুবিধাকে বোঝায় যা ব্যতীত নাগরিকদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ সম্ভব নয়। মানুষের ব্যক্তিত্ব ও মেধা বিকাশের জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য যে সকল অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক বলবৎ হয় সেইগুলোই মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। মৌলিক অধিকার (fundamental rights) ব্যতীত সভ্য জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই জনগণের মৌলিক অধিকারসমূহ তাদের শাসনতন্ত্রে সন্নিবেশিত থাকে । গণতান্ত্রিক সমাজের মূলভিত্তি…

আমলাতন্ত্র কি এবং আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য

আমলাতন্ত্র কি আমলাতন্ত্র হলো একদল অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ, স্থায়ী ও পেশাজীবী কর্মচারীদের দ্বারা পরিচালিত বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়িত হয়। আমলাতন্ত্রের জনক হলেন জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber)। আমলাতন্ত্র এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Bureaucracy। আমলাতন্ত্র বলতে কি বুঝ আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্র বলতে মূলত সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী বেতনভুক্ত, দক্ষ ও পেশাদার কর্মীবাহিনীকে বোঝায়। আমলা হলো কোনো…

রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি | রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল উপাদান কয়টি এবং কি কি

রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কোনো দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মনোভাব, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গির সমষ্টিকে বোঝায় । বিংশ শতাব্দীতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারণাটি গুরুত্ব পায়। মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গ্যাব্রিয়েল অ্যালমন্ড তার “The Civic Culture” গ্রন্থে রাজনৈতিক সংস্কৃতি (political culture) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। তার মতে, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলো রাজনৈতিক ব্যবস্থার সদস্যদের রাজনীতি সম্পর্কে মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গির রূপ ও প্রতিকৃতি।’…