হিসাবচক্র কি | হিসাবচক্র কাকে বলে

হিসাবচক্র কি হিসাবচক্র হলো ধারাবাহিক কার্যক্রম যা লেনদেন চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে শুরু হয় প্রারম্ভিক দাখিলার মাধ্যমে শেষ হয়। কারবার যতদিন চলতে থাকবে এ প্রক্রিয়া ততদিন চলতে থাকবে। আর যে ধারাবাহিকতা চক্রাকারে হিসাবকাল ক্রমআবর্তিত হয় তাকে হিসাবচক্র বলে। হিসাবচক্র কাকে বলে এ নিয়ে হিসাবচক্রের কয়েকটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো : Eric Louis Kohler-এর মতে, “Sequence of steps or procedures in annual accounting event initiated…

হিসাববিজ্ঞানের নীতিমালা আলোচনাসহ ব্যাখ্যা

হিসাববিজ্ঞানের নীতিমালা ব্যবসা স্বত্ত্বা ধারণা ও চলমান প্রতিষ্ঠান ধারণা কিভাবে হিসাবরক্ষণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে এই আর্টিকলে আলোচনা করা হবে। সর্বজনস্বীকৃত নীতিমালা বা অনুসারে কারবার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধারণা ও নীতিগুলো নিচে আলোচনা করা হলো। ১. কারবারের স্বত্ত্বা ধারণা প্রচলিত এ ধারণা অনুসারী কারবার ও তার মালিক পক্ষ দুটি আলাদা স্বত্ত্বা হিসাবে বিবেচিত হবে। মালিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ দিলে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ…

হিসাব বিজ্ঞানের ব্যবহারকারী কারা

হিসাব বিজ্ঞানের ব্যবহারকারী কারা এবং কে কে কারবার প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত পক্ষসমূহ হিসাব তথ্য ব্যবহার করে থাকে। হিসাবসংক্রান্ত তথ্যাবলি ব্যবহারকারী সম্পর্কে নিয়ে ব্যবহারকারীদের শ্রেণিবিভাগ দেখানো হলো। হিসাব বিজ্ঞানের ব্যবহারকারী মূলত দুই ধরণের, আন্তঃব্যবহারকারী বহিঃব্যবহারকারী নিচে এই দুই ধরণের ব্যবহারকারীদের নিয়ে আলোচনা করা হল। আন্তঃব্যবহারকারী ১. মালিক পক্ষ : মালিক পক্ষ কারবারে মূলধন সরবরাহ করেন বলে মূলধনের নিরাপত্তা, প্রতিষ্ঠানের উন্নতি, লাভের হার নির্ণয়,…

হিসাববিজ্ঞানের তিনটি ‘সি’ (C) কি এবং তা ব্যাখ্যা কর

হিসাববিজ্ঞানের তিনটি ‘C’ কি হিসাববিজ্ঞানের তিনটি C হলো – ব্যয়, রক্ষণশীলতা, এবং সামঞ্জস্য (Cost, Conservation and Consistency)। নিম্নে হিসাববিজ্ঞানের তিন ‘সি’ ব্যাখ্যা করা হলো। ১. ব্যয়ের রীতি (Cost) এ রীতি অনুসারে প্রতিটি আর্থিক বিবরণীতে সঠিক এবং সমস্ত তথ্যাদি ব্যয়ের আলোকে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে হবে। কোনো ব্যয় গোপন করা চলবে না। হিসাবরক্ষণ পদ্ধতিতে কোনোরূপ ব্যয় পরিবর্তনসাধন করা হলে এর পূর্ণ বিবরণ সংযোজন করতে…

হিসাববিজ্ঞানকে ব্যবসায়ের ভাষা বলা হয় কেন

হিসাববিজ্ঞানকে ব্যবসায়ের ভাষা বলা হয় কেন মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে সকল উচ্চারণ ব্যবহার করা হয় তাকে ভাষা বলে। ভাষা লিখিত বা মৌখিক হতে পারে। ভাষার স্বাভাবিক কিছু নিয়ে থাকে যেমন সুসংবদ্ধ ও নিয়মানুগ প্রতীক, শব্দ বা সংকেতের সমষ্টি। ভাষা ব্যবহারের জন্য তিনটি জিনিস ‘অপরিহার্য প্রথমত, একজন জ্ঞাপক বা প্রেরক, দ্বিতীয়ত, এক বা একাধিক ব্যক্তি থাকবে যাদেরকে ‘গ্রাহক’ বলে ও তৃতীয়ত, জ্ঞাপনকারীর মাধ্যমের…

হিসাববিজ্ঞানের আওতা বা পরিধি আলোচনা কর

হিসাববিজ্ঞানের আওতা বা পরিধি হিসাববিজ্ঞানের আওতা বা পরিধিকে স্বাভাবিকভাবে সীমিত মনে হলেও এর আওতা বা পরিধি ব্যাপক। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো : ১. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে : একটি মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের বিভিন্ন উপাদান উপস্থিত। ২. ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে : প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুনাফার্জন ও বৃদ্ধিকরণ। মুনাফা বাড়লে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। সম্পদ বৃদ্ধি পেলে…

হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর

যেকোনো ব্যবসায়ী বছর পর তার ফলাফল জানতে চায় বা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত বিভিন্ন পক্ষ কারবারের কাছে তাদের দেনা পাওনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়। এক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও সুবিধা বা গুরুত্ব নিম্নে হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও সুবিধা বা গুরুত্ব আলোচনা করা হলো এবং তার সাথে সাথে হিসাববিজ্ঞানের পাঠের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। ১. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ : হিসাববিজ্ঞান সুষ্ঠু হিসাবরক্ষণ প্রক্রিয়া চালুর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক। হিসাববিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে ব্যয় নিয়ন্ত্রন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। ২. স্থায়ী লিপিবন্ধকরণ : যেকোনো ঘটনা লেনদেন বলে চিহ্নিত হওয়ার সাথে সাথে তা স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধকরণের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসাববিজ্ঞান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। ৩. আর্থিক অবস্থা নিরূপণ : কোনো নির্দিষ্ট সময়ের লাভক্ষতি উদ্বৃত্তপত্র প্রস্তুতের মাধ্যমে কারবারের সঠিক আর্থিক অবস্থা নিরূপণে সাহায্য করে হিসাববিজ্ঞান। ৪. জালিয়াতি রোধ : সুষ্ঠু হিসাব পরিচালনার মাধ্যমে কারবারের বিভিন্ন প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেনের জালিয়াতি রোধ করে থাকে। ৫. লাভ-ক্ষতি নির্ণয় : নির্ভুল হিসাবরক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত লাভ-ক্ষতি নির্ণয় করা হয়। ৬. গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই : রেওয়ামিল প্রস্তুতের মাধ্যমে হিসাবসমূহের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা যায়। ৭. আয় ব্যয়ের সামঞ্জস্য বিধান : হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কারবার প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য বিজ্ঞান করা। ৮. ভুলভ্রান্তি সংশোধন : হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে লেনদেনে সংগঠিত বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি সংশোধন করা সম্ভব। ৯. তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ : হিসাববিজ্ঞানের নিয়মিত হিসাব সংরক্ষণের মাধ্যমে চলতি সনের সাথে বিগত সনের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করে। ১০. তথ্য সরবরাহ করা : বিভিন্ন ব্যক্তি বা পক্ষের নিকট প্রতিষ্ঠান ও লেনদেন সংক্রান্ত সঠিক তথ্য সরবরাহ করা হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম উদ্দেশ্য। ১১. ভ্যাট ও কর নির্ণয় : হিসাববিজ্ঞানের আগের মাধ্যমে প্রকৃত নিট লাভ ও বিনা বের করার মাধ্যমে কর ও ভাটি নির্ণয় সহ্য করে। ১২. মূল্যবোধ ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি : হিসাববিজ্ঞান দুর্নীতি প্রতিরোধক বলে হিসাবসংক্রাপ্ত কর্মীদের মূল্যবোধ ও জবাবদিহিতার সৃষ্টিতে সহায়তা করে। ১৩. ঋণ গ্রহণ সুবিধা : কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ গ্রহণ করতে হলে হিসাবে স্বচ্ছতা থাকা বাধ্যতামূলক যা হিসাববিজ্ঞানের যথার্থ প্রয়োগে সম্ভব। পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান আধুনিক বিশ্বে হিসাববিজ্ঞান, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সর্বোপরি মানুষের কল্যাণে নানাবিধ সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাই হিসাববিজ্ঞান আধুনিক বিশ্বে Accounting Information নামে পরিচিত।

হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে | হিসাববিজ্ঞান কি

হিসাববিজ্ঞান কি হিসাববিজ্ঞান দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি হলো ‘হিসাব’ অন্যটি হলো ‘বিজ্ঞান’। হিসাব অর্থ ‘গণনা করা’ এবং বিজ্ঞান অর্থ ‘বিশেষ জ্ঞান’। সুতরাং হিসাববিজ্ঞান হচ্ছে গণনা কার্যে বা হিসাব কার্যে ব্যবহৃত বিশেষ জ্ঞান। হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে যে কলাকৌশল ও পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো সুষ্ঠু সুন্দর ও সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে হিসাববিজ্ঞান বলে। বিভিন্ন দেশের হিসাববিজ্ঞানীরা হিসাববিজ্ঞানের অনেক…

অপরিচালন আয় কাকে বলে? অপরিচালন আয়ের উদাহরণ

অপরিচালন আয় কাকে বলে? অপরিচালন আয়ের উদাহরণ

অপরিচালন আয় কাকে বলে? ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের বাইরে অন্যান্য যেসব উৎস থেকে আয় আসে তাকে অপরিচালন আয় বলে। এই ধরনের আয় ব্যবসায় পরিচালনের বাইরে হয়। যেমনঃ স্থায়ী সম্পদ বিক্রয়ের মুনাফা, বিনোয়োগের সুদ, সঞ্চয়পত্রের সুদ, লগ্নির সুদ, সরকারি বন্ডের সুদ, উত্তোলনের সুদ, প্রদত্ত ঋণের সুদ, ব্যাংক জমার সুদ, ভাড়া প্রাপ্তির সুদ, ভাড়া প্রাপ্তি, শিক্ষানবিশ সেলামি, উপভাড়া,…

পণ্যের জীবনচক্র কাকে বলে? পণ্যের জীবনচক্রের বৈশিষ্ট্য

পণ্যের জীবনচক্র বলতে কী বুঝায়? পণ্য বাজারজাতকরণ ব্যবস্থায় পণ্য জীবনচক্রের ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি পণ্য বাজারে প্রবর্তনের পর পণ্যের বিক্রেতা বা উৎপাদক পণ্যটির দীর্ঘ জীবন প্রত্যাশা করেন। দীর্ঘদিন পণ্যটি বাজারে টিকে থাকলে উৎপাদক বিক্রেতা পণ্যটির সুফল পেতে সক্ষম হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, কোনো পণ্যই অনন্তকাল বাজারে টিকে থাকতে পারে না। মানুষের জীবন প্রণালীর মতো…