বাংলা বর্ণের মাত্রা কাকে বলে? পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রা ছাড়া বর্ণ কয়টি ও কি কি?

বাংলা বর্ণমালার স্বরবর্ণ কিংবা ব্যঞ্জন বর্ণের মাথায় সোজা দাগ থাকলেই সেটাকে মাত্রা বলে। অর্থাৎ বাংলা বর্ণমালার মাথায় যে দাগ বা কসি টানা হয় তাকে মাত্রা বলে।

বাংলা ভাষায় এমন দুটো বর্ণ রয়েছে যখন সেগুলোর উপর মাত্রা থাকে না তখন সেগুলো স্বরধ্বনিকে চিহ্নিত করে। আবার যখন সেগুলোর উপর মাত্রা থাকে তখন সেগুলো ব্যঞ্জন ধ্বনি চিহ্নিত করে। এ দুটো বর্ণ হচ্ছে ‘এ’ এবং ‘ও’।

এগুলোর উপর মাত্রা দেওয়া মাত্রই ‘এ’ এবং ‘ও’ সম্পূর্ণ ভিন্ন অক্ষরে রূপান্তরিত হয়ে যায়; অর্থাৎ মাত্রাসহ ‘এ’ হয়ে যায় ত – ে য় র ফলা (ত্র) এবং ও হয়ে যায় ত – য়ে- ত (ত্ত)। উল্লেখ্য এ দুটো বর্ণ তখন আর স্বরবর্ণ থাকে না, হয়ে যায় যুক্ত ব্যঞ্জন বর্ণ।

পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রা ছাড়া বর্ণ কয়টি ও কি কি?

পূর্ণমাত্রা : পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি। যথাঃ অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ক, ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, দ, ন, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়।

অর্ধমাত্রা : অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি। যথাঃ ঋ, খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ।

মাত্রা ছাড়া : মাত্রা ছাড়া বর্ণ ১০টি। যথাঃ এ, ঐ, ও, ঔ, ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *