তড়িতাহিত মেঘে যদি তড়িতের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে তা তড়িৎক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলে আসে। একে বজ্রপাত বলে।
বজ্রপাত কীভাবে সৃষ্টি হয়?
জলীয় বাষ্প বায়ুমন্ডলের আহিত আয়নগুলোর ওপর ঘনীভূত হয়ে পানি কণার সৃষ্টি করে এবং তাড়িতাহিত হয়। এই ধরনের পানির কণাগুলো একত্রিত হলেই মেঘের উৎপত্তি হয়। মেঘ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক যেকোনো ভাবেই আহিত হতে পারে। তাড়িতাহিত মেঘে যদি তাড়িতের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে তা তড়িৎক্ষরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলে আসে। এভাবে বজৃপাত সৃষ্টি হয়।
বজ্রপাতের সময় আমাদের কি কি করণীয় – What should we do during lightning?
বজ্রপাতের সময় আমরা যদি সচেতন থাকি তাহলে আমরা এর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কমাতে পারি-
- বজ্রপাতের সময় কোন খোলা স্থানে বা খেলার মাঠে দাড়াব না।
- গাছের উপর বজ্রপাত বেশী হয়। তাই বড় কোন গাছের নিচে দাঁড়ানো যাবে না।
- পানির কাছে অর্থাৎ কোন জলাশয়ের কাছাকাছি থাকবেন না,
- রাস্তায় সাইকেল বা মটরসাইকেলের উপর থাকলে, অতি দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহন করুন।
- যদি খোলা মাঠ বা খোলা জমিতে থাকেন, তবে লক্ষ্য করুন তার টানা কোন বৈদুত্যক খুটি আছে কিনা। যদি থাকে তবে খুটি ২টির মাঝখানে তারের
- নিচে পায়ের পাতা উচু করে পাতার উপর মাথা নিচু করে বসে থাকুন।
- বজ্রাহত কোন ব্যাক্তিকে কোনভাবেই খালি হাতে স্পর্শ করা যাবে না, কারন তার শরিরে তখনও বিদুত্য থাকতে পারে।
- সমগ্র পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে কোথাও না কোথাও 100 বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে, সুতরাং সাবধান থাকতে হবে।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “বজ্রপাত কাকে বলে? বজ্রপাত কীভাবে সৃষ্টি হয়?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।