হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল কাকে বলে? হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের প্রয়োগ ও সুবিধা।
হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে যে সেল তৈরি করা হয় তাকে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল (Hydrogen fuel cell) বলে। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। যেখানে অ্যানোডে হাইড্রোজেন গ্যাস জারিত হয় এবং ক্যাথোডে অক্সিজেন গ্যাস বিজারিত হয়।
হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের প্রয়োগ
তড়িৎশক্তির চাহিদা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্প কারখানায়, আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় back up power উৎপাদনের উৎস হিসেবে ফুয়েল সেল এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৭ সালে ১১০০০ ফুয়েল সেল স্ট্যাক এর তুলনায় ২০১০ সালে ১,৪০,০০০ ফুয়েল সেল পৃথিবী জুড়ে বাজারজাত হয়। হাইড্রোজেন রিফুয়েলিং স্টেশন (CNG রিফুয়েলিং এর মত) নির্মাণ করা সম্ভব হলে এর সাধারণ ব্যবহার জনভিত্তি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে এর মধ্যে মহাসড়কে কয়েকশ হাইড্রোজেন রিফুয়েলিং স্টেশন তৈরি হয়েছে যা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে শিল্প উৎপন্ন দেশের মহাকাশ যানে, দূরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের আবহাওয়া কেন্দ্রে, বড় ধরনের পার্ক, যোগাযোগ কেন্দ্র এবং এমনকি সামরিক স্থাপনায় এর সফল ব্যবহার মানুষকে আশাবাদী করছে। আর তাই Coca-Cola, Google, Wal-mart, FedEx, Nestle Waters, Nissan, Bridgestone এর মতো বিশ্বনন্দিত বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর জন্য ফুয়েল সেল ব্যবহার করছে।
হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের সুবিধা
(১) মহাকাশ অভিযানে ব্যবহৃত কৃত্রিম উপগ্রহে বছরের পর বছর যাবৎ বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এ হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল থেকে পাওয়া গেছে।
(২) হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল হলো একটি গ্রিনার অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কৌশল বা জেনারেটর। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল থেকে নির্গত বিশুদ্ধ পানি পরিবেশের কোনো অসুবিধা করে না।
(৩) বর্তমানে জাপানে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি 11 মেগাওয়াট ফুয়েল সেল পাওয়ার প্ল্যান্ট কার্যকর করেছে এবং এ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে 4000 বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।