মিঠা পানি কাকে বলে? মিঠা পানির উৎস কয়টি?

যে পানিতে অতি সামান্য পরিমাণে দূষিত পদার্থ দ্রবীভূত থাকে তাকে মিঠা পানি বলে।

মিঠা পানির উৎস কয়টি?

মিঠা পানির প্রধান উৎস দুটি: ভূপৃষ্ঠীয় পানি ও ভূগর্ভস্থ পানি।

বিশুদ্ধ মিঠা পানির গুরুত্ব কী?

মিঠা পানির গুরুত্ব : রান্নাবান্না, সেচকাজ সহ অন্যান্য আরও বহু কাজে মিঠা পানি ব্যবহার করা হয়। সে হিসেবে মিঠা পানির গুরুত্ব অত্যধিক। নিম্নে মিঠা পানির গুরুত্ব তুলে ধরা হলো:

  • দৈনন্দিন জীবনের নানাবিধ কাজ যেমন : খাওয়া, রান্না, গোসল, কাপড় ধোয়া প্রভৃতি কাজে বিশুদ্ধ মিঠা পানির ব্যবহার রয়েছে।
  • প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দেহের মোট ভরের প্রায় ৭০% শতাংশ হচ্ছে পানি। মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পানের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ দেহ গঠনে বিশুদ্ধ পানি অপরিহার্য।
  • কৃষিকাজে পানির গুরুত্ব অত্যধিক। ফসল উৎপাদনে সেচ কাজে বিশুদ্ধ মিঠা পানির প্রয়োজন হয়।
  • শিল্প কারখানায় যন্ত্রপাতি শীতল করতে, দ্রাবক হিসেবে পানি প্রয়োজন। এছাড়াও উৎপাদনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পানি প্রয়োজন হয়। পানি ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
  • জীবের জন্য পানি অপরিহার্য। স্থলজ কিংবা জলজ যেকোনো পরিবেশের জীবের বেঁচে থাকার জন্য পানি আবশ্যক। প্রয়োজনীয় পানির অভাব ঘটলে বাস্তুতন্ত্র বা খাদ্যশৃঙ্খলের বিপর্যয় ঘটে। সুতরাং বাস্তুতন্ত্র এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে পানির গুরুত্ব অত্যধিক।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *