আরহেনিয়াস তত্ত্ব (Arrhenius Theory in Bangla)
আরহেনিয়াস সর্বপ্রথম ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এসিড-ক্ষারকের গাঠনিক সংজ্ঞা প্রদান করেন। তাঁর মতবাদ অনুসারে এসিড ও ক্ষারককে নিম্নলিখিতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
আরহেনিয়াস তত্ত্ব অনুসারে অম্ল বা এসিড : যে সব পদার্থ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দান করতে সক্ষম তারাই মূলত অম্ল বা এসিড। যেমন– HCl এ মতবাদ অনুসারে একটি এসিড, কারণ এটি জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে H+ দান করতে পারে।
আরহেনিয়াস তত্ত্ব অনুসারে ক্ষারক : যে সব পদার্থ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH-) দান করতে সক্ষম তারাই মূলত ক্ষারক। যেমন– NaOH একটি ক্ষারক, কারণ এটি জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে OH- দান করতে সক্ষম।
আরহেনিয়াস তত্ত্বের সীমাবদ্ধতাগুলি কি কি?
আরহেনিয়াসের তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা
(i) আরহেনিয়াস এর মতবাদ অনুসারে কোন যৌগকে অ্যাসিডরূপে কিংবা কোন যৌগকে ক্ষারকরূপে কেবলমাত্র জলীয় দ্রবণেই গণ্য করা হয়। অন্য দ্রব্যকে নয়।
(ii) জলীয় দ্রবণে H+ আয়ন মুক্ত অবস্থায় থাকে না। এটি হাইড্রক্সোনিয়াম (H3O+) রূপে থাকে।
(iii) আরহেনিয়াস এর মতবাদ অনুযায়ী C6H5NH2 বা CH3NH2 কে ক্ষার বলা যাবে না যদিও এরা ক্ষার।
(iv) হাইড্রোজেন পরমাণু একটি ইলেকট্রন বর্জন করে H+ আয়ন উৎপন্ন হয়। এর ইলেকট্রনের কোনাে কক্ষক নাই, কেবলমাত্র কেন্দ্র আছে। এর ব্যাসার্ধ প্রায় 10-13 cm. স্বল্প আয়তনে এক একক তড়িৎ থাকায় আকর্ষণ বল তীব্র। তাই ইলেকট্রন জোড়কে তীব্রভাবে আকর্ষণ করে। এটি জলের অক্সিজেন পরমাণুর ইলেকট্রন জোড়কে আকর্ষণ করে এবং প্রথম যােজ্যতার মাধ্যমে HO+ আয়ন তৈরি করে।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “আরহেনিয়াস তত্ত্ব ” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।