কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. কম্পিউটার ভাইরাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : পুনরুৎপাদনশীলতা।
প্রশ্ন-২. ভাইরাস কী?
উত্তর : ম্যালওয়্যার।
প্রশ্ন-৩. কোনটির কারণে কম্পিউটারের কাজের গতি কমে যায়?
উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস।
প্রশ্ন-৪. কোনটির কারণে কম্পিউটার ঘন ঘন রিবুট হয়?
উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস।
প্রশ্ন-৫. কোন ম্যালওয়্যারের পুনরুৎপাদনের ক্ষমতা নেই?
উত্তর : এডওয়্যারে।
প্রশ্ন-৬. ব্যবহারকারীর অজান্তে তার সিস্টেমের ক্ষতি করে কে?
উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস।
প্রশ্ন-৭. কম্পিউটার ভাইরাস বিষয়ে সর্বপ্রথম আলোকপাত করেন কে?
উত্তর : জন ভন নিউম্যান।
প্রশ্ন-৮. সত্তর দশকে চিহ্নিত হওয়া ভাইরাস কোনটি?
উত্তর : ক্রিপার।
প্রশ্ন-৯. রিপার সফটওয়্যারটি কী ধরনের প্রোগ্রাম ছিল?
উত্তর : ভাইরাস নিধন।
প্রশ্ন-১০. কত সালে এলক ক্লোনার নামের ভাইরাসটি তার জন্মস্থান ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে?
উত্তর : ১৯৮২।
প্রশ্ন-১১. কত সালে ভাইরাসের বিধ্বংসী আচরণ প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ১৯৮৬ সালে।
প্রশ্ন-১২. ব্রেইন ভাইরাস তৈরি হয় কোন দেশে?
উত্তর : পাকিস্তান।
প্রশ্ন-১৩. ডাপরোসি ওয়ার্ম কি?
উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস।
প্রশ্ন-১৪. CIH ভাইরাস কম্পিউটারের কী ক্ষতি করতো?
উত্তর : হার্ডডিস্ক।
ফাইল ভাইরাস কি?
ফাইল ভাইরাস এক্সিকিউটেবল প্রোগ্রাম ফাইলসমূহকে আক্রান্ত করে। এটিই সচরাচর কিন্তু সব সময় নয়। com এবং exe এক্সটেনশন যুক্ত ফাইলসমূহকেই আক্রান্ত করে বেশি। আক্রান্ত প্রােগ্রাম রান করলে প্রথমে ভাইরাস রান করা অরিজিনাল প্রােগ্রামকে নিয়ন্ত্রণ করে। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ভাইরাস এর প্রতিলিপি তৈরি করার জন্য এর কোডকে অন্য ফাইল বা ডিস্কে কপি করে।
মাল্টিপারশিয়েট ভাইরাস কি?
এ ধরনের ভাইরাস (যেমন- Tequila) মাল্টিপল অবজেক্টকে আক্রান্ত করে। Tequila ভাইরাসে আক্রান্ত exe ফাইল রান করলে এটি মাস্টার বুট রেকর্ডে (MBR) নিজেকে স্থাপন করে নেয়। যখন কম্পিউটার বুটআপ করা হয় Tequila মাস্টার বুট রেকর্ড থেকে রান হয় এবং মেমােরি রেসিডেন্টে যায়। Tequila মেমােরি রেসিডেন্ট হলে exe ফাইলসমূহকে আক্রান্ত করে। অন্যান্য ভাইরাস যেমন- Anticad এর কতগুলাে com, exe এবং MBRs interchangeabley আক্রান্ত করে। কতগুলাে আবার com, exe, MRBs এবং ডিভাইস ড্রাইভারসমূহকে আক্রান্ত করে।
প্রশ্ন-১৫. কম্পিউটারে ভাইরাস কী ধরনের ক্ষতি করতে পারে?
উত্তর : কম্পিউটারে ভাইরাস ছোট থেকে শুরু বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এর কয়েকটি নিচে আলোচনা করা হলো–
- কম্পিউটারে রাখা কোনো ফাইল মুছে দিতে পারে।
- ডেটা এলোমেলো বা Corrupt করে দিতে পারে।
- কম্পিউটার কাজ করার সময় আচমকা অবাঞ্ছিত বার্তা দেখা দিতে পারে।
- কম্পিউটারে মনিটরের ডিসপ্লেকে এলোমেলো করতে বা Corrupt করে দিতে পারে।
- সিস্টেমের কাজকে ধীরগতি সম্পন্ন করে দিতে পারে।