পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২)

প্রশ্ন-১. অবস্থার পরিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : পদার্থ যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন শক্তি প্রয়োগ বা অপসারণ করে পদার্থকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত করা যায়। যেমনঃ তাপ প্রয়োগ করে বরফকে পানিতে এবং পানিকে জলীয় বাষ্পে রূপান্তরিত করা যায়। আবার তাপ অপসরণ করে জলীয় বাষ্পকে পানিতে এবং পানিকে বরফে রূপান্তরিত করা যায়। পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার এ ঘটনাকে অবস্থার পরিবর্তন বলে।

প্রশ্ন-২. অপসুর এবং অনুসুর কি?
উত্তর :
 সূর্যের চারিদিকে কোন গ্রহের কক্ষপথের নিকটতম বিন্দুকে অনুসূর এবং দূরতম বিন্দুকে অপসূর বলে।

প্রশ্ন-৩. ক্ষরণ নল কাকে বলে?
উত্তর :
 নিম্নচাপে বায়ুর মধ্য দিয়ে তড়িৎ ক্ষরণের পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রায় 4 cm ব্যাসের 30 cm লম্বা দুই মুখ বন্ধ যে কাচনল ব্যবহার করা হয়, তাকে ক্ষরণ নল বলে।

প্রশ্ন-৪. বর্ণালি কাকে বলে?
উত্তর :
 আলোক তরঙ্গের কম্পনাঙ্কভেদ ও প্রতিসরণের মাত্রা অনুসারে বর্ণের বিভাজনকে বর্ণালি (spectrum) বলে।

প্রশ্ন-৫. উত্তলাবতল লেন্স কাকে বলে?
উত্তর :
 যে লেন্সের একটি তল অবতল ও অপরটি উত্তল এবং মোটের ওপর লেন্সটি অপসারী ক্ষমতাসম্পন্ন তাকে উত্তলাবতল লেন্স বলে।

প্রশ্ন-৬. বিভবশক্তি কাকে বলে?
উত্তর :
 কোনো বস্তুকে এর স্বাভাবিক অবস্থা বা অবস্থান হতে পরিবর্তন করে অন্য কোনো অবস্থা বা অবস্থানে আনলে এটি কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভবশক্তি বলে।

প্রশ্ন-৭. তাড়িত চৌম্বক বল কি?
উত্তর :
 পরস্পরের সাপেক্ষে স্থির বা গতিশীল দুটি তড়িৎ চার্জ, অথবা চুম্বকের দুই মেরু অথবা একটি চুম্বক এবং একটি গতিশীল তড়িৎ চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল অস্পর্শ বলই তড়িত চৌম্বক বল।

প্রশ্ন-৮. ওজন ও ভর কেন একই ধরনের রাশি নয়?

উত্তরঃ ওজন হচ্ছে বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল যা বস্তুটিকে নির্দিষ্ট দিকে আকর্ষণ করে। অর্থাৎ ওজন হচ্ছে ভেক্টর রাশি। অপরদিকে ভর হচ্ছে বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণ। যার কোনো দিক নেই, তাই ভর স্কেলার রাশি।
অতএব, বলা যায় যে ওজন ও ভর একই ধরনের রাশি নয়।

প্রশ্ন-৯. বিন্দু চার্জ কী?

উত্তরঃ দুটি চার্জিত বস্তুর আকার যদি তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের তুলনায় খুব ছোট হয় তবে তাদেরকে বিন্দু চার্জ বলা হয়।

 

প্রশ্ন-১০. প্রবাহ বিবর্ধন গুণক কাকে বলে? 

উত্তরঃ সাধারণ পীঠ বিন্যাসের ক্ষেত্রে কোনো ট্রানজিস্টরের নিঃসরক প্রবাহের পরিবর্তনের সাপেক্ষ সংগ্রাহক প্রবাহের পরিবর্তনের হারকে প্রবাহ বিবর্ধন গুণক বলে।

প্রশ্ন-১১. পদার্থের কোন ধর্ম জড়তার পরিমাপক?
উত্তর :
 জড়তার পরিমাপক হলো ভর।

প্রশ্ন-১২. সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর গতি কোন ধরনের গতি?
উত্তর :
 সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর গতি পর্যাবৃত্ত গতি।

প্রশ্ন-১৩. ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর :
 সময়ের সাথে কোনো বস্তুর বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে।

প্রশ্ন-১৪. ট্রান্সফরমারের কাজ কি?
উত্তর :
 ট্রান্সফরমারের কাজ হলো ভোল্টেজ বা কারেন্টের রূপান্তর করা, অর্থাৎ বহুগুণ বৃদ্ধি করা অথবা অনেকাংশে কমিয়ে আনা।

প্রশ্ন-১৫. অবস্থা পরিবর্তন তাপ কাকে বলে?
উত্তর :
 কোনো একটি পদার্থের 1 মোলকে এক ভৌত অবস্থা হতে অপর ভৌত অবস্থায় রূপান্তর করা হলে যে পরিমাণ তাপের পরিবর্তন হয় তাকে অবস্থা পরিবর্তন তাপ বলে।

প্রশ্ন-১৬. থার্মোডাইনামিকস বলতে কি বুঝায়?
উত্তর :
 থার্মোডাইনামিকস এর আভিধানিক অর্থ হলাে তাপ গতিবিদ্যা। Thermo এবং Dynamics এ দু’টি গ্রিক শব্দ থেকে থার্মোডাইনামিকস এর উৎপত্তি। Thermo অর্থ তাপ বা গরম এবং Dynamics অর্থ চলমান বস্তু সংক্রান্ত বিদ্যা বা গতিবিদ্যা। সুতরাং থার্মোডাইনামিকস হলাে চলমান বস্তুর সাথে তাপের সম্পর্ক সংক্রান্ত বিদ্যা। থার্মোডাইনামিকস মূলত তাপ ও কাজের সম্পর্ক নিয়ে আলােচনা করে।

প্রশ্ন-১৭. অর্ধপরিবাহী কি?
উত্তর :
 অর্ধপরিবাহী এক বিশেষ ধরণের পদার্থ যাদের তড়িৎ পরিবাহিতা অর্ধ এবং অন্তরক (Insulator)-এর মাঝামাঝি। সিলিকন, জার্মেনিয়াম, ক্যাডমিয়াম, সালফাইড ইত্যাদি অর্ধপরিবাহী পদার্থের উদাহরণ।

প্রশ্ন-১৮. মহাশূন্য প্রোব কি?

উত্তর : মহাশূন্য প্রোব হলো মহাশূন্যে অনুসন্ধানী যান যা অপটিক্যাল ও রেডিও টেলিস্কোপ ছাড়াও মহাবিশ্ব অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত সকল রকম কৌশল অবলম্বন করে।

প্রশ্ন-১৯. তড়িৎ আবেশ কাকে বলে?
উত্তর :
 একটি আহিত বস্তুর কাছে এনে স্পর্শ না করে শুধু এর উপস্থিতিতে কোনো অনাহিত বস্তুকে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।

প্রশ্ন-২০. ফিউজিং কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তর :
 যে পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহের ফলে ফিউজ এলিমেন্ট পুড়ে যায় বা গলে যায়, তাকে সেই ফিউজের ফিউজিং কারেন্ট বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *