জবাবদিহিতা সৃষ্টিতে হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা

নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট হলে কাজের ফলাফলের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার কাজের জন্য দায়ী করা যায়। নিজের কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়বদ্ধতাই জবাবদিহিতা। এই জবাবদিহিতা কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা উল্লেখ করা হল-

ক) ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতাঃ আধুনিক বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থায় আয়ের জন্য, ব্যয়ের জন্য ও বিনিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিগণকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়, যাতে করে দায়িত্বপালনে পূর্ণ মনযোগ প্রদান সম্ভব হয় এবং নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে অর্পিত দায়িত্বের ফলাফল সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের জবাব প্রদানেও সক্ষম হয়।

 

খ) মালিক, ঋণদাতা ও বিনিয়োগকারীদের নিকট জবাবদিহিতাঃ প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের এই মর্মে জবাবদিহি করতে হয় যে, প্রস্তুতকৃত বিবরণীতে প্রতিষ্ঠানের সঠিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে কিনা, বিনিয়োগকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার কতটুকু নিশ্চিত হয়েছে, অর্জিত মুনাফা ও প্রাক্কলিত মুনাফার সংগতি রক্ষা হয়েছে কিনা ইত্যাদি। এরূপ জবাবদিহিতার অনুপস্থিতিতে আর্থিক অনার্থিক সকল ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলা ও অবনতি পরিলক্ষিত হয়।

গ) সরকারের নিকট জবাবদিহিতাঃ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন নিয়ম নীতি যথাযথভাবে পালন করে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে কিনা এবং যথাযথভাবে শুল্ক, ভ্যাট ও কর পরিশোধ করা হচ্ছে কিনা তা দেখার অধিকার সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের রয়েছে। যথাযথ হিসাব সংরক্ষণের মাধ্যমে এই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *