দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। যে অস্থিসন্ধি ক্যাপসুল বা অস্থিসন্ধি আবরণী এবং সাইনোভিয়াল রস নামক এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থসহ অস্থিসন্ধি গহ্বর নিয়ে গঠিত হয় তাকে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে। এ অস্থিসন্ধির বিভিন্ন অংশ হলো তরুণাস্থিতে আবৃত অস্থিপ্রান্ত, সাইনোভিয়াল রস, লিগামেন্ট বেষ্টিত একটি মজবুত আবরণী বা ক্যাপসুল।
অস্থিসন্ধির প্রকারভেদ
অস্থিসন্ধি সাধারণত তিন ধরনের হয়। যেমন–
- নিশ্চল অস্থিসন্ধি : নিশ্চল অস্থিসন্ধিগুলো অনড় অর্থাৎ নড়ানো যায় না, যেমন করোটিকা অস্থিসন্ধি।
- ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি : এসব অস্থিসন্ধি একে অন্যের সাথে সংযুক্ত থাকলেও সামান্য নড়াচড়া করতে পারে। ফলে আমরা দেহকে সামনে, পিছনে ও পাশে বাঁকাতে পারি। যেমন- মেরুদন্ডের অস্থিসন্ধি।
- পূর্ণ সচল অস্থিসন্ধি : এ সকল অস্থিসন্ধি সহজে নড়াচড়া করানো যায়। এ জাতীয় অস্থিসন্ধির মধ্যে বল ও কোটরসন্ধি, কবজাসন্ধি প্রধান।