গ্যালিলিও ও কেপলারের সূত্রগুলো কি কি?

গ্যালিলিওর সূত্রঃ
গ্যালিলিও পড়ন্ত বস্তু সম্পর্কে তিনটি সূত্র বের করেন। এগুলোকে পড়ন্ত বস্তুর সূত্র বলে। এই সূত্রগুলো একমাত্র স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অর্থাৎ বস্তু পড়ার সময় স্থির অবস্থান থেকে পড়বে, এর কোনো আদি বেগ থাকবে না। বস্তু বিনা বাধায় মুক্তভাবে পড়বে অর্থাৎ এর উপর অভিকর্ষজ বল ছাড়া অন্য কোনো বল কাজ করবে না। যেমন– বাতাসের বাধা এর উপর কাজ করবে না।
পড়ন্ত বস্তুর সূত্রগুলো নিচে তুলে ধরা হলো–
  •  প্রথম সূত্র : স্থির অবস্থান ও একই উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তু সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম করবে।
  •  দ্বিতীয় সূত্র : স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে (t) প্রাপ্ত বেগ (v) ওই সময়ের সমানুপাতিক। অর্থাৎ v ∝ t।
  •  তৃতীয় সূত্র : স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে যে দূরত্ব (h) অতিক্রম করে, তা ঐ সময়ের (t) বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ h ∝ t2।

কেপলারের সূত্রঃ
বিখ্যাত জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইয়োহানেস কেপলার গ্রহের গতির তিনটি সূত্র দিয়েছিলেন। সূত্রগুলো হলো–

  •  প্রথম সূত্র : প্রতিটি গ্রহ সূর্যকে ফোকাসে রেখে নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে। একে উপবৃত্তের সূত্র বলা হয়।
  •  দ্বিতীয় সূত্র : সূর্য এবং গ্রহের সংযোগকারী রেখা গ্রহের আবর্তনের সাথে সাথে সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে। একে ক্ষেত্রফলের সূত্র বলা হয়।
  •  তৃতীয় সূত্র : একটি গ্রহের কক্ষীয় পর্যায়কালের বর্গ তার কক্ষপথের পরাক্ষের ঘনফলের সমানুপাতিক। একে পর্যায়কালের সূত্র বলা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *