কোষচক্র কি? মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

কোষচক্র মাইটোসিসের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াটি শুরুর আগেই নিউক্লিয়াসকে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এ অবস্থাকে ইন্টারফেজ বলে। এর পরই মূল প্রক্রিয়া বা বিভাজন পর্যায় শুরু হয়। কোষের প্রস্তুতি পর্যায় বা ইন্টারফেজ (বিরাম—১, DNA অনুলিপন ও বিরাম—২) এবং বিভাজন পর্যায়কে (প্রফেজ, প্রস্তুতি পর্যায় বা ইন্টারফেজ। প্রােমেটাফেজ , মেটাফেজ, অ্যানাফেজ ও টেলােফেজ) সমষ্টিগতভাবে কোষচ বলে। হাওয়ার্ড এবং পেযল্ক (Howard & Petc. 1953) এর কোষচক্র অনুযায়ী মাত্র ৫-১০ ভাগ সময় বিভাজনে বা মাইটোসিসে ব্যয় হয় এবং ৯০-৯৫ ভাগ সময়েই ব্যয় হয় ইন্টারফেজে দশায়।

 

মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

মাইটোসিস কোষ বিভাজন

  • জীবের দৈহিক কোষে ঘটে ফলে দেহের বৃদ্ধি হয়।
  • মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোষ তৈরি হয়।
  • মাইটোসিস বিভাজনে সৃষ্ট অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার সমান হয়।
  • নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোজোম একবার বিভক্ত হয়।

মিয়োসিস কোষ বিভাজন

  • জীবের জনন মাতৃকোষে ঘটে ফলে জনন কোষ তৈরি হয়।
  • মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষ তৈরি হয়।
  • মিয়োসিস বিভাজনে সৃষ্ট অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়।
  • নিউক্লিয়াস দুবার কিন্তু ক্রোমোজোম একবার বিভক্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *