র্যাম (RAM) একটি অস্থায়ী এবং প্রাথমিক মেমোরি। এর পূর্ণনাম হচ্ছে র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি (Random Access Memory)। কম্পিউটারে যতক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিত থাকে ততক্ষণ র্যামে তথ্যগুলি জমা থাকে। বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে র্যাম তার সমস্ত তথ্য মুছে ফেলে। তাই তাকে অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণত তথ্যসমূহ পঠন ও পরিবর্তনে র্যাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। র্যাম এ তথ্য পড়া ও লেখা উভয় কাজ করা হয় বলে একে লিখন/পঠন স্মৃতিও বলা হয়ে থাকে। কম্পিউটার ব্যবহারকারী র্যামে তথ্য সংরক্ষণ ও রক্ষিত তথ্য মুছে পুনরায় নতুন তথ্য রাখতে পারেন।
র্যামের গঠন (Structure of RAM)
র্যামের সেল (Cell) গুলি পাতলা সিলিকন পাতের অনেকগুলি সারিতে ছাপা থাকে। মেমোরির ক্যাপাসিটি অনুযায়ী Cell সংখ্যা নির্ধারিত হয়। কোনো একটি cell যে সারির যে কলামে থাকে সেটিকে ঐ cell-এর অ্যাড্রেস বলা হয়।
র্যামের প্রকারভেদ (Types of RAM)
অপারেটিং মোড অনুসারে র্যামকে দু’ভাগ করা যায়। যথা–
- স্ট্যাটিক র্যাম (Static RAM)
- ডাইনামিক র্যাম (Dynamic RAM)
১. স্ট্যাটিক র্যাম (Static RAM) : সাধারণত টিটএল (TTL-Transistor-Transistor Logic) বা মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর (Metal Oxide Semiconductor) দিয়ে এ ধরনের র্যাম তৈরি করা হয়। বিদ্যুৎপ্রবাহ যতক্ষণ চালু থাকে ঠিক ততক্ষণ নিশ্চল র্যামে উপাত্ত ও তথ্য সংরক্ষিত থাকে। স্ট্যাটিক র্যাম অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন বলে এটা ভিডিও র্যাম, ক্যাশ মেমোরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
২. ডাইনামিক RAM বা DRAM : সাধারণত মসফেট (MOSFET-Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor) ও ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে এ ধরনের র্যাম তৈরি করা হয়। ক্যাপাসিটরে চার্জ থাকলে 1 অবস্থা না থাকলে 0 অবস্থা বুঝায়। বিদ্যৎপ্রবাহ থাকা অবস্থায় ক্যাপাসিটরের চার্জ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কয়েক মিলি সেকেন্ড পর পর ড্রাম কন্ট্রোলারের সাহায্যে প্রত্যেক মেমোরি কোষে লেখা তথ্য নতুন করে লিখতে হয়। কম্পিউটারের পরিভাষায় একে মেমোরি রিফ্রেশিং বলা হয়। নিশ্চল ও গতিশীল উভয় র্যামই উদ্বায়ী। এ সকল র্যামে তথ্য মুছে বার বার লিখা যায়। নতুন তথ্য লেখার সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন তথ্য নিজে থেকেই মুছে যায়। মাইক্রোকম্পিউটারের প্রধান মেমোরি হিসাবে সাধারণত (DRAM) ব্যবহার করা হয়।