স্থায়ী টিস্যু কি? স্থায়ী টিস্যুর গঠন, প্রকারভেদ এবং কাজ

যে টিস্যুর কোষগুলি বিভাজনে অক্ষম এবং আকার, আকৃতি ও বিকাশে স্থায়িত্ব লাভ করেছে তাকে স্থায়ী টিস্যু বলা হয়। ভাজক টিস্যুর কোষ বিভাজনের ফলে স্থায়ী টিস্যু তৈরী হয়। বিশেষ অবস্থা ছাড়া এই সব স্থায়ী টিস্যু আর বিভাজিত হতে পারেনা।

স্থায়ী টিস্যুর কোষ প্রাচীর পাতলা অথবা স্থুল হতে পারে। পাতলা কোষপ্রাচীর সেলুলােজ নির্মিত কিন্তু স্থুল কোষপ্রাচীর গুলােতে সেলুলােজ এর সাথে পেকটিন, লিগনিন, সুবেরিন, কাইটিন ইত্যাদি যুক্ত হয়ে প্রাচীরকে স্থূল করে। স্থায়ী টিস্যুর সাইটোপ্লাজম অপেক্ষাকৃত কম, কোষ গহ্বর বড় এবং নিউক্লিয়াস ছােট এবং তা সাধারণত কোষগহ্বরের একপার্শে অবস্থান করে।

স্থায়ী টিস্যু প্রধানত দুই প্রকার- (১) প্রাথমিক স্থায়ী টিস্যু ও (২) সেকেন্ডারী স্থায়ী টিস্যু। শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যু থেকে প্রাথমিক স্থায়ী টিস্যু উৎপন্ন হয় এবং পার্শ্বীয় ভাজক টিস্যু থেকে সেকেন্ডারী স্থায়ী টিস্যু উৎপন্ন হয়। প্রাথমিক স্থায়ী টিস্যুকে সাধারণভাবে স্থায়ী টিস্যু বলা হয়। ভাজক টিস্যু থেকে কোষের পূর্ণ বিকাশ লাভের পর বিভাজনে অক্ষম হওয়ার মাধ্যমে স্থায়ী টিস্যুর উদ্ভব হয়।

কোষের আকার আকৃতি ও কাজের উপর ভিত্তি করে স্থায়ী টিস্যুকে তিনভাগে ভাগ করা হয়, যেমন (১) সরল টিস্যু, (২) জটিল টিস্যু এবং (৩) ক্ষরণকারী টিস্যু।

 

স্থায়ী টিস্যুর কাজঃ
স্থায়ী টিস্যুর কাজ নিচে উল্লেখ করা হলো–
  1. খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবহন করা।
  2. দেহ গঠন ও উদ্ভিদকে দৃঢ়তা প্রদান করা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *