পরমাণুর গঠন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
উত্তর : ডেমোক্রিটাস পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার নাম দেন এটম বা পরমাণু।
প্রশ্ন-২. এটম শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : এটম শব্দের অর্থ হলো অবিভাজ্য।
প্রশ্ন-৩. পরমাণু কাকে বলে?
উত্তর : পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যারা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অণু গঠন করে তাদেরকে পরমাণু বলে।
প্রশ্ন-৪. পরমাণু মডেল কাকে বলে?
উত্তর : পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন কীভাবে বিন্যস্ত থাকে, তার উপস্থাপনাকে পরমাণু মডেল বলে।
প্রশ্ন-৫. অ্যাটোমাস অর্থ কি?
উত্তর : অ্যাটোমাস গ্রিক শব্দ। এর অর্থ হলো অবিভাজ্য।
উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণু নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটন সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে।
প্রশ্ন-৭. ভর কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুতে অবস্থিত পদার্থের মোট পরিমাণকে ভর বলে।
প্রশ্ন-৮. ভর সংখ্যা কি?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টিই হলো ঐ মৌলের ভরসংখ্যা।
উত্তর : কোনাে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রােটন ও নিউট্রন সংখ্যার যােগফলকে নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলে।
প্রশ্ন-১০. কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা ৬।
প্রশ্ন-১১. শক্তিস্তর কাকে বলে?
উত্তর : নিউক্লিয়াসের চারদিকে যেসব বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রন ঘুরতে থাকে, সেগুলোকে শক্তিস্তর বলে।
প্রশ্ন-১২. অক্সিজেনের প্রোটন সংখ্যা কত?
উত্তর : ৮টি।
প্রশ্ন-১৩. কার্বনের আইসোটোপ কয়টি?
উত্তর : কার্বনের আইসোটোপ ৩টি।
প্রশ্ন-১৫. আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলের বিভিন্ন ধরনের পরমাণু যাদের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন তাদের ঐ মৌলের আইসোটোপ বলে।
প্রশ্ন-১৬. পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-১৭. ট্রিটিয়াম কি?
উত্তর : ট্রিটিয়াম হলো হাইড্রোজেনের একটি আইসোটোপ যাতে ২টি নিউট্রন থাকায় এর ভর সংখ্যা হয় ৩।
প্রশ্ন-১৮. ইলেকট্রন কি?
উত্তর : ইলেকট্রন হলো পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণা, যা নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
প্রশ্ন-১৯. ইলেকট্রন বিন্যাস কি?
উত্তর : ইলেকট্রন বিন্যাস হলো পরমাণুর মোট ইলেকট্রনসমূহকে বিভিন্ন শক্তিস্তরে সুবিন্যস্ত করার নিয়ম।
প্রশ্ন-২০. আর্গনের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : আর্গনের পারমাণবিক সংখ্যা হলো ১৮।
উত্তর : লেডের প্রতীক হলো Pb।
প্রশ্ন-২২. অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮।
প্রশ্ন-২৩. ইলেকট্রন বিন্যাসের সূত্র কি?
উত্তর : পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাসের সূত্রটি হলো 2n2 (যেখানে n = 1, 2, 3… কক্ষপথের ক্রমিক নম্বর)।
প্রশ্ন-২৪. আয়ন কাকে বলে?
উত্তর : ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধানযুক্ত পরমাণুকে আয়ন বলে।
প্রশ্ন-২৫. ক্যাটায়ন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণু যখন ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক চার্জগ্রস্থ হয়, তখন তাকে ক্যাটায়ন বলে।
প্রশ্ন-২৬. অ্যানায়ন কাকে বলে?
উত্তর : ঋণাত্মক আধানযুক্ত পরমাণু বা যৌগমূলককে অ্যানায়ন বলে।
উত্তর : Na মৌল এর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na+ আয়নে পরিণত হয়। Na-এর পারমাণবিক সংখ্যা ১১, সুতরাং এর ইলেকট্রন সংখ্যাও ১১। এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ১। এটি সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ১টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na+ আয়নে পরিণত হয়। সুতরাং Na+ আয়নের ইলেকট্রন সংখ্যা দাড়ায়, ২ + ৮ = ১০টি।
উত্তর : NaOH এর বৈশিষ্ট্য থেকে দেখা যায়–
i) NaOH জলীয় দ্রবণে OH- আয়ন দেয়।
ii) NaOH লাল লীটমাসকে নীল করে।
iii) এটি এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলো ক্ষারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ায় বলা যায়, NaOH একটি ক্ষার।
উত্তর : যে সমস্ত পদার্থ দ্রবীভূত বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অন্য পদার্থে পরিণত হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। CaSO4 পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে Ca2+ এবং SO2-4 আয়ন তৈরি করে। তাই CaSO4 একটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ।
প্রশ্ন-৩০. সোডিয়ামের ভরসংখ্যা 23 বলতে কী বুঝ?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রনের সমষ্টিই হচ্ছে সেই মৌলের ভরসংখ্যা। এ হিসেবে সোডিয়ামের ভরসংখ্যা 23 বলতে বোঝায়, সোডিয়ামের একটি পরমাণুতে 11টি প্রোটন আর 12টি নিউট্রন আছে। তাই সোডিয়ামের ভরসংখ্যা 11 + 12 = 23।
প্রশ্ন-৩১. নাইট্রোজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৭ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে। নাইট্রোজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৭ বলতে বোঝায় নাইট্রোজেনের পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা ৭।