পড়াশোনা

প্রথম অধ্যায় : ঈশ্বরের স্বরূপ অষ্টম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা

1 min read
প্রশ্ন-১. পরমাত্মা জীবের মধ্যে অবস্থান করলে তাকে কী বলে?
উত্তর : জীবাত্মা।

প্রশ্ন-২. ‘ঈশ্বর’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : ‘ঈশ্বর’ শব্দের অর্থ প্রভু।

প্রশ্ন-৩. ঈশ্বরকে সেবা করা যায় কীভাবে?
উত্তর : জীব সেবার মাধ্যমে।

প্রশ্ন-৪. কয়টি গুণের কারণে ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়?
উত্তর : ছয়টি।

প্রশ্ন-৫. শাস্ত্র অনুসারে জ্ঞানী বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : আত্মা ও ব্রাহ্মজ্ঞানী।

প্রশ্ন-৬. যোগীর দৃষ্টিতে ঈশ্বরকে কী বলা হয়?
উত্তর : পরমাত্মা।

প্রশ্ন-৭. অবতার কাকে বলে?
উত্তর : ঈশ্বর যখন বিভিন্ন রূপ ধরে পৃথিবীতে নেমে আসে তখন তাকে অবতার বলে।

প্রশ্ন-৮. ব্রহ্ম শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : সর্ববৃহৎ।

প্রশ্ন-৯. ঈশ্বর এ বিশ্বজগৎ কীভাবে পরিচালনা করেন?
উত্তর : শৃঙ্খলার সাথে।

প্রশ্ন-১০. ‘ভগ’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : ঐশ্বর্য।

প্রশ্ন-১১. ব্রহ্মের আরেক নাম কি?
উত্তর : পরমাত্মা।

প্রশ্ন-১২. বহুরূপে ঈশ্বরের প্রকাশ বলে অভিহিত করেছেন কে?
উত্তর : স্বামী বিবেকানন্দ।

প্রশ্ন-১৩. ঈশ্বর পৃথিবীতে নেমে আসেন কেন?
উত্তর : দুষ্টের দমনের জন্য।

প্রশ্ন-১৪. যোগী কোনটির মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের স্বরূপ উপলব্ধি করেছেন?
উত্তর : যোগ সাধনার।

প্রশ্ন-১৫. ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য এগুলো ভগবানের কী?
উত্তর : গুণ।

প্রশ্ন-১৬. পৃথিবীকে পালন করেন কে?
উত্তর : নারায়ণ।

প্রশ্ন-১৭. ঈশ্বরকে আমরা কী ভেবে শ্রদ্ধা ও ভক্তি করি?
উত্তর : সর্বশক্তিমান।

প্রশ্ন-১৮. মহাবিশ্বের সবকিছু যথা সময়ে নিয়ন্ত্রণ করছেন কে?
উত্তর : ঈশ্বর।

প্রশ্ন-১৯. সকল বিষয়ে চাওয়া-পাওয়া দূর করতে সক্ষম হন কে?
উত্তর : জ্ঞানী।

প্রশ্ন-২০. জ্ঞানীর নিকট ঈশ্বরের রূপ কী?
উত্তর : ব্রহ্ম।

প্রশ্ন-২১. কোন প্রক্রিয়ায় সকল প্রাণী-অপ্রাণী পুনরায় ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসে?
উত্তর : মৃত্যুর মাধ্যমে।

প্রশ্ন-২২. ‘একো দেবঃ সর্বভূতেষুঃ গূঢ়ঃ’ মন্ত্রটি কোন গ্রন্থের?
উত্তর : উপনিষদের।

প্রশ্ন-২৩. মহাবিশ্বের সবকিছু শৃঙ্খলার সাথে পরিচালিত হওয়ার মূল কারণ কী?
উত্তর : ঈশ্বর।

প্রশ্ন-২৪. ভগবান কয়টি গুণের অধিকারী?
উত্তর : ছয়।

প্রশ্ন-২৫. বিশ্বহ্মাণ্ডের নিয়ন্ত্রক কে?

উত্তর : ঈশ্বর।

প্রশ্ন-২৬. ভক্তের নিকট ঈশ্বর কী?
উত্তর : ভগবান।

প্রশ্ন-২৭. ‘ওঁ’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝায়?
উত্তর : সত্য।

প্রশ্ন-২৮. ভক্ত ও ভগবানের মিলন সেতু কী?
উত্তর : ভক্তি।

প্রশ্ন-২৯. ঈশ্বর কার নিকট ভগবানরূপে আবির্ভূত হন?
উত্তর : ভক্তের।

প্রশ্ন-৩০. যজুর্বেদের কয়টি অংশ?

উত্তর : যজুর্বেদের দুইটি অংশ। যথা- শুল্ক ও কৃষ্ণ।

প্রশ্ন-৩১. কাদেরকে যোগী বলা হয়?

উত্তর : যারা আত্মার উপাসনা করেন এবং যোগসাধনার সাথে সম্পৃক্ত হন তাদের যোগী বলা হয়।

প্রশ্ন-৩২. যোগীদের দৃষ্টিতে ঈশ্বর কীরূপ?

উত্তর : যোগীদের দৃষ্টিতে ঈশ্বর পরমাত্মা।

প্রশ্ন-৩৩. অবতার কাকে বলে?
উত্তর : ঈশ্বর যখন দুষ্টের দমন এবং ন্যায়-নীতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীতে নেমে আসেন, তখন তাঁকে অবতার বলে।
প্রশ্ন-৩৪. ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয় কেন?
উত্তর : ঈশ্বরের মধ্যে ছয়টি ভগ বা ঐশ্বর্য থাকায় ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়।
ঈশ্বর যখন ভক্তদের দুঃখ দূর করে তাদের মঙ্গল করেন তখন তাঁকে ভগবান বলা হয়। ‘ভগ’ শব্দের অর্থ ঐশ্বর্য বা গুণ। ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য এই ছয়টি ভগ বা ঐশ্বর্য ঈশ্বরের মধ্যে বিদ্যমান থাকায় তিনি ভগবান।
প্রশ্ন-৩৫. পরমাত্মা বলতে কী বোঝয়?
উত্তর : পরমাত্মা বলতে ঈশ্বর বা ব্রাহ্মকে বোঝায়। এ পরমাত্মা জীবের মধ্যে অবস্থান করেন বলেই জীবের চেতনাশক্তি আছে। এ চেতনাই জীবাত্মা বা পরমাত্মা। এ জীবাত্মা বা পরমাত্মার ধ্বংস নেই। এ পরমাত্মা অনন্ত, অবিনশ্বর এবং চিরস্থায়ী।
প্রশ্ন-৩৬. “ঈশ্বরকে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়” – ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ঈশ্বর নিরাকার তাই তাকে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়।
ঈশ্বর নিরাকার। তাঁকে চোখে দেখা যায় না। কিন্তু তার সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁকে অনুভব করা যায়। বিদ্যুৎ চোখে দেখা যায় না কিন্তু তার কাজের মাধ্যমে তাকে যেমন অনুভব করা যায় ঠিক একইভাবে ঈশ্বরকে দেখা যায় না কিন্তু তার অস্তিত্ব অনুভব করা যায়।
প্রশ্ন-৩৭. ঈশ্বরকে এক ও অদ্বিতীয় বলা হয়েছে কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়।
ঈশ্বর এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ করেন বিভিন্ন দেব-দেবীর মাধ্যমে। দেব-দেবীরা হলেন ঈশ্বরের গুণ বা শক্তির প্রকাশ। তাই বলা হয়, ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়।
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x