পড়াশোনা

কাগজ রিসাইক্লিং কাকে বলে? কাগজ রিসাইক্লিং এর পদ্ধতি ও সুবিধা কি?

1 min read

পুরাতন বা বর্জ কাগজকে নতুন কাগজের পালপের সঙ্গে মিশিয়ে কাগজ উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে কাগজ রিসাইক্লিং বলে। ব্যবহারের পর ফেলে দেয়া ঢেউখেলনা পত্র, পুরাতন ম্যাগাজিন, পুরানো খবরের কাগজ, অফিস কাগজ, টেলিফোন ডাইরেক্টরি এবং বাসায় ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজ হতে এই রিসাইক্লিং করা হয়।

কাগজ রিসাইক্লিং-এর পদ্ধতি

  • প্রথমে কাগজকে ডি-ইংকিং বা কালি বিমোচন পদ্ধতি দ্বারা কাগজের কালি বিমুক্ত করা হয়।
  • কালি বিমুক্ত কাগজকে পানিসহ chopped করা হয় এবং উক্ত মিশ্রণকে উত্তাপ দেয়া হয়। এতে লিগনিনের গঠন ভেঙ্গে যায় এবং পাল্প তৈরি হয়।
  • স্ক্রিন দ্বারা পালপ থেকে আঠা অথবা প্লাস্টিক ও অন্যান্য পদার্থ আলাদা করা হয়।
  • বিরঞ্জিত করার পর পানিতে মেশানো হয়।
  • এ পাল্প দিয়েই নতুন কাগজ তৈরি করা হয়।

কাগজ রিসাইক্লিং এর সুবিধা
১.  প্রথমত কাগজ তৈরি করতে হয় কাঠ হতে। এক টন খবরের কাগজ রিসাইক্লিং করলে প্রায় ১ টন কাঠ বেঁচে যায়, প্রিন্টেড কাগজ রিসাইক্লিং করলে দুই টন কাঠ সাশ্রয় হয়।
২.  কাগজ তৈরিতে যে পরিমাণ পানিতে দূষণ ঘটে কাগজ রিসাইক্লিং অতটা ঘটেনা।
৩.  কাঠ হতে কাগজ তৈরি করতে যে শক্তি/জ্বালানি খরচ হয় তার প্রায় ৪০-৬০% কম লাগে রিসাইক্লিং-এ।
৪.  জমি ভরাট করা হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫.  নতুন কাগজ উৎপাদনের তুলনায় কাগজ রিসাইক্লিং এ পানি দূষণ ৩৫% কম এবং বায়ু ৭৪% কম ঘটে।
৬.  ইউরোপে ব্যবহৃত কাগজের প্রায় ৬০% রিসাইকেলড কাগজ।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x