অধ্যায়-৫ : শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার, সপ্তম শ্রেণির আইসিটি
প্রশ্ন-২. ব্রাউজিং কাকে বলে?
উত্তর : ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোকে ব্রাউজিং বলে।
প্রশ্ন-৩. Google কি?
উত্তর : Google হচ্ছে পৃথিবীর জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন।
প্রশ্ন-৪. গুগল আর্থ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : ইন্টারনেটে একটি এলাকার নিখুঁত ম্যাপ দেখার জন্য গুগল আর্থ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৫. ওয়েব ব্রাউজার কী ধরনের সফটওয়্যার?
উত্তর : অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
প্রশ্ন-৬. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্বকোষের ওয়েবসাইটের ঠিকানা কী?
উত্তর : http : //www.wikipedia.org/
প্রশ্ন-৭. প্রথম ইন্টারনেট কত সালে কয়টি কম্পিউটার নিয়ে হয়েছিল?
উত্তর : ১৯৬৯ সালে চারটি কম্পিউটার নিয়ে।
প্রশ্ন-৮. ওয়েবসাইট সহজে খুঁজে বের করতে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : সার্চ ইঞ্জিন।
প্রশ্ন-৯. ওয়েব ব্রাউজার কী?
উত্তর : ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
প্রশ্ন-১০. ওয়েবসাইট বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের তথ্য অন্যের সামনে তুলে ধরার জন্য তৈরি ব্যবস্থা হলো ওয়েবসাইট।
প্রশ্ন-১১. তথ্য খুঁজে পেতে সার্চ ইঞ্জিনের প্রয়োজন কেন?
উত্তর : ইন্টারনেট হলো তথ্যের বিশাল এক ভান্ডার। আমরা নিজে নিজে ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজতে গেলে ক্লান্ত হয়ে যায়; কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে আমরা সহজেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্য পেতে পারি।
প্রশ্ন-১২. খান একাডেমি কী?
উত্তর : খান একাডেমি শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট।
প্রশ্ন-১৩. বিবিসি জানালাতে কোন ভাষা শেখা যায়?
উত্তর : ইংরেজি।
প্রশ্ন-১৪. বাংলা ভাষার উইকিপিডিয়া অ্যাক্সেস কী?
উত্তর : http://bn.wikipedia.org
প্রশ্ন-১৫. দি অরিজিন অব স্পেসিসের লেখক কে?
উত্তর : ডারউইন।
প্রশ্ন-১৬. NCTB এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : National Curriculum and Textbook Board.
প্রশ্ন-১৭. খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা কোন বংশোদ্ভূত?
উত্তর : বাংলাদেশি।
প্রশ্ন-১৮. তথ্যের বিশাল ভান্ডার কী?
উত্তর : ইন্টারনেট হলো তথ্যের বিশাল ভান্ডার।
প্রশ্ন-১৯. ইন্টারনেটে কীভাবে পড়াশোনা করা যায়?
উত্তর : ই-বুকের মাধ্যমে ইন্টারনেটে পড়াশোনা করা যায়। এ ই-বুকগুলো বিশেষ ধরনের রিডার বা ই-বুক রিডার ব্যবহার করে পড়া যায়।
প্রশ্ন-২০. আমাদের পাঠ্যবই বাজার ছাড়াও বিকল্প কোন উপায়ে পেতে পারি?
উত্তর : আমাদের পাঠ্যবই বাজার ছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে NCTB এর ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যায়।
শিক্ষকবিহীন পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতির মূল্যায়ণ করার মাধ্যমে বর্ণনা করো।
উত্তর : শিক্ষকবিহীন পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি মূল্যায়ণ করার মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। ইন্টানেটের মাধ্যমে যে কোনো শিক্ষার্থী অনলাইন পরীক্ষা দিয়ে তার নিজের প্রস্তুতি মূল্যায়ণ করতে পারে। কেননা, পরীক্ষার সময় লেখাপড়ার অনেক চাপ থাকে। সেক্ষেত্রে শ্রেণি শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা সময় সাপেক্ষ ও অনেক সময় শিক্ষকের দেখা পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে পরীক্ষা দিতে পারে। এজন্য শিক্ষার্থীকে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করবে। এতে করে তার সময় ও শ্রম লাঘব হবে সেই সাথে তার ভুল-ভ্রান্তিগুলো সংশোধনের সুযোগ পাবে। এভাবেই ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী সহজেই তার পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি মূল্যায়ণ করতে পারে।
ইন্টারনেট হতে আমরা কী কী তথ্য পেতে পারি?
উত্তর : ইন্টারনেট হলো তথ্যের এক বিশাল ভাণ্ডার। দুনিয়ার এমন কোনো বিষয় নেই যা সম্পর্কে ইন্টারনেটে কোনো তথ্য নেই। শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, ধর্ম প্রায় সব বিষয়েই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান তথ্য। আমাদের প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে যেকোনো ধরনের তথ্য আমরা ইন্টারনেট থেকে পেতে পারি।
ইন্টারনেট থেকে তুমি কীভাবে বাংলা বই ডাউনলোড করবে? বুঝিয়ে বলো।
উত্তর : কোনো কিছু খুঁজে বের করার জন্য ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করি। বর্তমানে ইন্টারনেট হচ্ছে শিক্ষা এবং জ্ঞান অর্জনের শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। আমার শ্রেণির সকল পাঠ্যপুস্তক NCTB-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। সেজন্য আমাকে যে কোন ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজার খুলতে হবে। ঐ ওয়েবব্রাউজারে গিয়ে আমাকে NCTB নির্ধারিত ওয়েবসাইট ঠিকানা লিখতে হবে এবং ঐ সাইটে ঢুকতে হবে। ঐ সাইটে সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক জমা করা আছে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট বাংলা বই সিলেক্ট করে ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোডকৃত বই সহজেই কম্পিউটারে পড়তে পারি এবং ইচ্ছা করলে প্রিন্টারে প্রিন্ট করে সম্পূর্ণ নতুন বই পেতে পারি। এভাবে আমি ইন্টারনেট থেকে বই ডাউনলোড করে উপকৃত হতে পারি।
ভর্তি পরীক্ষায় ইন্টারনেটের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর : বর্তমানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যায়। রেজিস্ট্রেশন করার পর ইন্টারনেট থেকেই প্রবেশপত্র প্রিন্ট সংগ্রহ করা যায়। ফলে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিন প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষা দিলেই হয়। বার বার ভর্তিচ্ছুক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। পরীক্ষার ফলাফলও ইন্টারনেটে সহজে পাওয়া যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের প্রতিষ্ঠানে সহজেই ভর্তি হওয়া যায়। এ জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম।
ভার্চুয়াল ক্লাসরুম কী? শিক্ষাক্ষেত্রে এর গুরুত্ব লেখো।
উত্তর : একটি অনলাইন লার্নিং এনভায়রনমেন্ট যেখানে অডিও ভিজুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর নির্ভর বিশেষ ক্লাস ব্যবস্থা। একেই ভার্চুয়াল ক্লাসরুম বলা হয়। ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না থেকেও লেকচার শুনতে পারে। ভার্চুয়াল ক্লাসরুম দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত থাকে। সম্প্রতি শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নত করার লক্ষ্যে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ভর্চুয়াল ক্লাসরুম তৈরি করেন। যখন কোনো শিক্ষক নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়াবেন তখন দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একসাথে শুনতে পারে। ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের সুবিধার ফলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অনেক দূর থেকে জটিল অপারেশন নিজের চোখে দেখতে পারে। আধুনিক কোনো ল্যাবরেটরির এক্সপেরিমেন্ট ঘরে বসে করতে পারে। এভাবে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম আমাদের উচ্চশিক্ষা এবং সঠিক শিক্ষায় সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা বর্ণনা করো।
উত্তর : শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট বহুল ব্যবহার করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোন বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য পেয়ে থাকে। নিজের অর্জিত জ্ঞানকে অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা যায়। ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন প্রফেসর ও শিক্ষকের লেকচার নোট নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা যায়। ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনো বিষয়ে অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করা যায়। পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য বই ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে সহজেই পড়া যায়। বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। এছাড়াও ইন্টারনেটে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য খুঁজে পেতে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে যেমন- শিক্ষক ৫ম কম থেকে একজন শিক্ষার্থী গণিত, পরিবেশ বিজ্ঞান, কম্পিউটার কৌশল ইত্যাদির বিভিন্ন কোর্স করতে পারে। এভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট অনন্য ভূমিকা রাখছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট কোনটি? এর সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হচ্ছে www.moedu.gov.bd। ওয়েবসাইটে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সকল নীতিনির্ধারনী বিষয় সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে। পাঠ্যবইসমূহের নামসহ শিক্ষানীতি, সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা শুরু বা এর ফলাফল ঘোষণার তারিখ এই ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়।
ই-বুক বলতে কী বোঝ? বাংলাদেশের একটি ই-বুক সাইটের নাম লেখো।
উত্তর : ই-বুক হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রূপ। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয় বলে শব্দ, অডিও ও অ্যানিমেশন যুক্ত করা যায়। এ ধরনের বই কেবল কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডারে ই বুক পড়া যায়। একটি ই-বুকে কয়েক হাজার বই ধারণ করে রাখা যায়। শিক্ষার্থী যখন খুশি যেখানে এটি পড়তে পারে
বাংলাদেশে এই রকম একটি ই-বুক সাইটের নাম হলো : http://www.ebook.gov-bd। এটি বাংলাদেশের ই-বুকের সমাহার। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির সকল পাঠ্যপুস্তকের ই-বুক সংস্করণ।
শিক্ষা সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাইটের নাম লেখো।
উত্তর : শিক্ষা সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাইটের নাম নিম্নে লেখা হলো—
১. বাংলাদেশের ই-বুক সমাহার : http://www.ebook.gov.bd
২. বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সাইট : http://www.moedu.gov.bd
৩. উইকিপিডিয়া সাইট: http://www.en.wikipedia.org
৪. খান একাডেমির শিক্ষা : http://www.khanacademy.org
৫. গণিত বিষয়ক সাইট : http://www.mathforum.org/dr.math/Drmath
সার্চ ইঞ্জিন কী? শিক্ষায় সার্চ ইঞ্জিনের ভূমিকা লেখো।
উত্তর : যখন কোনো তথ্য খোঁজার দরকার হয় তখন আমাদের বিশেষ এক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের ব্যবহার করতে হয়। একেই সার্চ ইঞ্জিন বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন যেমন- Google, Yahoo, Bing ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তথ্য বা ওয়েবসাইটের ঠিকানা খুব সহজেই বের করা যায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করে। সহজেই উপকৃত হওয়া যায়। একজন শিক্ষার্থী তার গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে সহজেই তার সমাধান পেয়ে যায়। নিউটনের গতির সূত্র সংক্রান্ত তথ্য প্রায় ২০ লক্ষাধিক ওয়েবসাইটে রয়েছে। যেখান থেকে একজন শিক্ষার্থী সহজ ব্যাখ্যাটি বেছে নিতে পারে। তাছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে শিক্ষার মান ও গবেষণা সম্পর্কে জানা যায়। এভাবেই সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে পাওয়া শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য আমাদের শিক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
উইকিপিডিয়া বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় মুক্ত বিশ্বকোষ হলো উইকিপিডিয়া একে তথ্যের বিশাল ভাণ্ডার বলা হয়। এটি সারা বিশ্বের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তৈরি করেছে এবং ক্রমাগত সমৃদ্ধ করে চলছে। প্রায় দুইশ’রও বেশি ভাষায় এটি চালু রয়েছে। প্রত্যেক উইকিপিডিয়াতে অনুসন্ধান করার একটি বাক্স থাকে। যেখানে কাঙ্খিত শব্দ বা শব্দাবলী লিখলে এই সংক্রান্ত নিবন্ধ বা নিবন্ধাবলী দেখতে পাওয়া যায়। ইংরেজি, বাংলা এবং অন্যান্য ভাষার ৪০ লক্ষেরও বেশি নিবন্ধন আছে, যার অনেকগুলি সরাসরি শিক্ষা সংক্রান্ত। বাংলা ভাষায় উইকিপিডিয়া এখনো ততটা সমৃদ্ধ নয়। বাংলা ভাষায় উইকিপিডিয়াতে ২৩ হাজারের বেশি নিবন্ধ আছে এবং সেখান থেকে কাঙ্খিত তথ্য পেয়ে উপকৃত হওয়া যায়।
খান একাডেমি কী? (What is Khan Academy?)
উত্তর : খান একাডেমি একটি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট যেটি অনলাইনভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত করে। একাডেমিটির ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ৩১০০ টির বেশি ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে বীজগণিত, পাটিগণিত, ইতিহাস, ব্যাংকিং পদার্থবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, ভেনচার ক্যাপিটাল, ক্রেডিট ক্রাইসিসের ওপর নানা বিষয়ে অসংখ্য ভিডিও। এসব ভিডিও থেকে খুব সহজেই যেকোনো সময়ে বিনা পয়সায় এ ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন। খান একাডেমির ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো ইউটিউবের সাথেও সংযুক্ত করা থাকে। খান একাডেমির ভিডিওগুলো এখন বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করেও ওয়েবসাইটে দেয়া হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষীর লোক তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভ করতে পারছে। এর ওয়েব এড্রেস হচ্ছে www.khanacademy.org।
গণিত বিষয়ে সহায়ক দুটি ওয়েবসাইটের বর্ণনা দাও।
উত্তর : www.mathforum.org একটি জনপ্রিয় গণিত বিষয়ক সাইট। এই সাইটে স্কুল পর্যায়ের গণিতের বিভিন্ন বিষয় সহজ করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যথেষ্ট উদাহরণ সহকারে এবং বিভিন্নভাবে বীজগণিত, জ্যামিতি, ক্যালকুলাসের নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এই সাইটে কোনো বিষয় পাওয়া না গেলে তা জানার জন্য Dr Math কে প্রশ্ন করা যায়।
এছাড়া www.matholympiad.org.bd গণিত বিষয়ক প্রশ্নোত্তর, আলোচনার সাইট। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকগণ এটি পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা নিয়ে এই ফোরামটিতে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এছাড়া এখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতাও অনষ্ঠিত হয়।