চুম্বক : যে বস্তু চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি করে, ফলে অন্য চুম্বক বা চৌম্বক পদার্থের ওপর বল প্রয়োগ করে তাকে চুম্বক বলে। সাধারণ অর্থে যেসব বস্তু লোহা, নিকেল প্রভৃতিকে আকর্ষণ করে সে সবাই বস্তুকে চুম্বক হিসেবে গণ্য করা হয়। চুম্বকের দুটি ধর্ম রয়েছে। যথা: ক. আকর্ষণীয় ধর্ম এবং খ. দিক নির্দেশক ধর্ম।
চুম্বকত্ব : কোন চুম্বকের আকর্ষণী ও দিকনির্দেশক ধর্মকে এর চুম্বকত্ব বলে। অন্য কথায় চুম্বকের শক্তিকে চুম্বকত্ব বলে। চুম্বকত্ব না থাকলে সে পদার্থকে চুম্বক হিসেবে গণ্য করা যায় না।
চুম্বকের প্রকারভেদ
চুম্বক প্রধানত দুই প্রকার। যথা :
১. প্রাকৃতিক চুম্বক
২. কৃত্রিম চুম্বক।
কৃত্রিম চুম্বককে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা–
ক. স্থায়ী চুম্বক
খ. অস্থায়ী চুম্বক।
স্থায়ী চুম্বক আবার চার প্রকার। যথা–
i. দণ্ড চুম্বক
ii. অশ্বখুরাকৃতি চুম্বক
iii. শলাকা চুম্বক
iv. রিং চুম্বক।
চুম্বকের ব্যবহার লিখ।
চুম্বকের ব্যবহার হলো:
১. রাডারে, ট্রান্সফর্মারে চুম্বক ব্যবহার করা হয়;
২. দিক নির্ণায়ক কম্পাস তৈরিতে চুম্বক ব্যবহার করা যায়;
৩. বৈদ্যুতিক ঘণ্টায় ও মোটরে ব্যবহার করা হয়;
৪. মাইক্রোফোন ও লাউড স্পীকারে ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “চুম্বক ও চুম্বকত্ব কাকে বলে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।