একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র প্রশ্ন ও উত্তর

প্রথম অধ্যায় : ভৌতজগৎ ও পরিমাপ

প্রশ্ন-১. ভৌতজগৎ কাকে বলে? কি কি নিয়ে ভৌতজগৎ গঠিত হয়?

উত্তর : যার জীবন নেই তা নিয়ে যে জগৎ তাকে ভৌতজগৎ বলে। স্থান, কাল, ভর ও শক্তি এই চারটি উপাদানের সমন্বয়ে ভৌতজগৎ গঠিত।

প্রশ্ন-২. পিছট ত্রুটি কী?

উত্তর : নাট স্ক্রু নীতির ওপর ভিত্তি করে যেসকল যন্ত্র তৈরি সেসব যন্ত্র পুরনো হয়ে গেলে স্ক্রুকে উভয় দিকে ঘুরালে সমান সরণ হয় না। তখন পরিমাপের যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে পিছট ত্রুটি বলে।

প্রশ্ন-৩. পরিমাপের একক কি?

উত্তর : যে কোনো রাশি পরিমাপের ক্ষেত্রে যে প্রমিত বা আদর্শ মাপের সাথে তুলনা করা হয়, তাই হলো পরিমাপের একক।

প্রশ্ন-৪. লম্বন ত্রুটি কাকে বলে?

উত্তর : স্কেলের সাহায্যে কোনো কিছুর পাঠ নেয়ার সময় চোখ সঠিক অবস্থানে না থেকে তদপেক্ষা আগে পরে বা উপর নিচে থাকলে পরিমাপের যে ত্রুটি ঘটে, তাকে লম্বন ত্রুটি বলে।

প্রশ্ন-৫. ধারণা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : পরীক্ষা শুরু করার আগে বিজ্ঞানী চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে একটি অনুমান করেন। একেই ধারণা বলে।

প্রশ্ন-৬. স্ফেরোমিটার কাকে বলে?

উত্তর : কোনো পাতলা কাঁচ ফলকের পুরুত্ব অথবা কোনো বক্রতলের বক্রতার ব্যাসার্ধ পরিমাপের জন্য স্ক্রুগজের কার্যনীতির অনুরূপ যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে স্ফেরোমিটার বলে।

প্রশ্ন-৭. অফসেট ত্রুটি কাকে বলে?

উত্তর : পরিমাপের যে ত্রুটির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তিক অনিশ্চয়তার মান সকল পর্যবেক্ষণে একই ক্রমের থাকে তাকে অফসেট ত্রুটি বলে।

প্রশ্ন-৮. সূত্রের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর : পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত তত্ত্বকে উক্তির মাধ্যমে প্রকাশ করাকে সূত্র বলে।

প্রশ্ন-৯. নিউটন গ্যালিলিওর সূত্র কোথায় ব্যবহার করেছেন?

উত্তর : নিউটন গ্যালিলিওর সূত্র তার গতিসূত্রে ব্যবহার করেছেন।

প্রশ্ন-১০. পিচ কী?

উত্তর : স্ক্রু গজের স্ক্রুকে সম্পূর্ণরূপে একবার ঘুরালে এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে স্ক্রুর পিচ বলে।

প্রশ্ন-১১. পরিমাপের ত্রুটি কাকে বলে?

উত্তর : কোনো ভৌত রাশির পরিমাপের সময় পরিমাপ্য মানের অনিশ্চয়তা তথা প্রকৃত মান ও প্রাপ্ত মানের পার্থক্যকে পরিমাপের ত্রুটি বলে।

প্রশ্ন-১২. বক্রতার ব্যাসার্ধ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো গোলীয় পৃষ্ঠ যে গোলকের অংশবিশেষ তার ব্যাসার্ধকে বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে।

প্রশ্ন-১৩. পরিমাপে কত প্রকার বিচ্যুতি ঘটতে পারে?

উত্তর : পরিমাপে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক এ দু’প্রকার বিচ্যুতি ঘটতে পারে।

প্রশ্ন-১৪. প্রমাণ বিচ্যুতি বলতে কী বুঝ?

উত্তর : অনেক সময় পরিমাপে প্রাপ্ত বিচ্যুতিগুলোর গড় নির্ণয়ের পরিবর্তে তাদের বর্গের গড় বের করে তার বর্গমূল নির্ণয় করা হয়। এই বর্গমূলের পরিমাণকে প্রমাণ বিচ্যুতি বলে।

প্রশ্ন-১৫. মাত্রা সমীকরণ কী?

উত্তর : যে সমীকরণ মৌলিক একক এবং লব্ধ এককের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে মাত্রা সমীকরণ বলে।

প্রশ্ন-১৬. পদার্থের ধর্ম কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : পদার্থের ধর্ম দুই প্রকার। যথা– ১. সাধারণ ধর্ম এবং ২. বিশেষ ধর্ম।

প্রশ্ন-১৭. পদার্থের সাধারণ ধর্ম কাকে বলে?

উত্তর : যে ধর্ম সকল পদার্থেরই কম-বেশি রয়েছে তাকে পদার্থের সাধারণ ধর্ম বলে। যেমন– ওজন, বিস্তৃতি, রোধ, স্থিতিস্থাপকতা ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৮. পদার্থের বিশেষ ধর্ম কাকে বলে?

উত্তর : যে ধর্ম সকল পদার্থের নেই তাকে পদার্থের বিশেষ ধর্ম বলে। যেমন– তারতা (Visco), পাততা, দৃঢ়তা, ভঙ্গুরতা ইত্যাদি ধর্ম কেবলমাত্র কঠিন পদার্থের বেলায় দেখা যায়।

প্রশ্ন-১৯. একক কাকে বলে?

উত্তর : যে আদর্শ পরিমাণের সাথে তুলনা করে ভৌত রাশিকে পরিমাপ করা হয় তাকে একক বলে।

প্রশ্ন-২০. একক কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : একক তিন প্রকার। যথা– ১. মৌলিক একক, ২. লব্ধ, প্রাপ্ত বা যৌগিক একক এবং ৩. ব্যবহারিক একক।

প্রশ্ন-২১. মৌলিক একক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে একক অন্য কোনো এককের উপর নির্ভর করে না এবং একেবারে স্বাধীন তাকে মৌলিক একক বলে।

প্রশ্ন-২২. লব্ধ বা যৌগিক একক কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল একক মৌলিক একক থেকে লাভ করা যায় বা পাওয়া যায় তাদেরকে লব্ধ একক বলে।

প্রশ্ন-২৩. ব্যবহারিক একক কাকে বলে?

উত্তর : কোনো কোনো মৌলিক একক খুব বড় বা ছোট হওয়ার ব্যবহারিক কাজে তাদের উপগুণিতক (ভগ্নাংশ) বা গুণিতককে একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একে ব্যবহারিক একক বলে।

প্রশ্ন-২৪. স্লাইড ক্যালিপার্স (Slides calipers) কী? স্লাইড ক্যালিপার্সের ব্যবহার।

উত্তর : স্লাইড ক্যালিপার্স এক বিশেষ ধরনের দৈর্ঘ্য পরিমাপের যন্ত্র যেখানে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহারের মাধ্যমে বস্তুকে দুই চোয়ালের মাঝখানে স্থাপন করে ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশ পর্যন্ত বস্তুর দৈর্ঘ্য নির্ণয় করা যায়।

স্লাইড ক্যালিপার্সের ব্যবহারগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ

i. বস্তুর দৈর্ঘ্য নির্ণয়।

ii. চোঙ্গ বা বেলনের উচ্চতা নির্ণয়ে।

iii. ফাঁপা নলের অন্তঃব্যাস ও বহিঃব্যাস নির্ণয়ে।

iv. আয়তাকার বস্তুর আয়তন নির্ণয়ে।

v. গোলকের আয়তন নির্ণয়ে।

vi. সিলিন্ডার বা বেলনের ব্যাস ও আয়তন নির্ণয়ে।

প্রশ্ন-২৫. স্ক্রু গজ (Screw goj) কি?

উত্তর : মাইক্রোমিটার স্ক্রু গজকে সংক্ষেপে স্ক্রু গজ বলা হয়। এ যন্ত্রের সাহায্যে তারের ব্যাসার্ধ, সরু চোঙের ব্যাসার্ধ এবং খুব ছোট দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায়।

প্রশ্ন-২৬. মাত্রা সমীকরণের প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানে মাত্রা সমীকরণের ভূমিকা অপরিসীম। নিম্নে এর ভূমিকা বা প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলোঃ

  •  এক পদ্ধতির একককে অন্য পদ্ধতির এককে রূপান্তর করা যায়।
  •  সমীকরণের নির্ভুলতা যাচাই করা যায়।
  •  বিভিন্ন রাশির সমীকরণ গঠন করা যায়।
  •  ভৌত রাশির একক নির্ণয় করা যায়।
  •  কোনো ভৌত সমস্যার সমাধান করা যায়।

প্রশ্ন-২৭. মাত্রা সমীকরণের সীমাবদ্ধতা লিখ।
উত্তর : মাত্রা সমীকরণের বহুল প্রয়োগ থাকা সত্ত্বেও এর কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন–

  •  কেবল L, M ও T এই তিনটি মৌলিক রাশির উপর ভিত্তি করে আমরা মাত্রা সমীকরণ গঠন করি। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত রাশি যদি এই তিন রাশি অপেক্ষা বেশি রাশির উপর নির্ভরশীল হয়, তবে সেই অজ্ঞাত রাশির মাত্রা সমীকরণ আমরা গঠন করতে পারি না। যেমন তাপ পরিবাহিতাংকের মাত্রা সমীকরণ কেবল L, M ও T দ্বারা প্রকাশ করা যায় না, কারণ এটি আরও একটি রাশি যথা তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
  •  এছাড়া মাত্রিক পদ্ধতিতে কোনো মাত্রাবিহীন রাশি যথা ‘ধ্রুবক’-এর মান বের করা যায় না।

প্রশ্ন-২৮. পুনরাবৃত্তিক ত্রুটির যান্ত্রিক কারণ কি?

উত্তর : পরিমাপ যন্ত্রের নকশা বা দাগাঙ্কন সঠিক না হলে ঐ যন্ত্রে পরিমাপ করা হলে পুনরাবৃত্তিক ত্রুটি হয়। যেমন একটি পারদ থার্মোমিটারের ভিতরের কৈশিক নল সুষম হতে হবে। কিন্তু কোনাে একটি থার্মোমিটারের কৈশিক নল সুষম না হলে তা দিয়ে নির্ণীত তাপমাত্রা সঠিক হবে না। এ থার্মোমিটার দিয়ে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা যতবার পরিমাপ করা হবে ততবারই প্রকৃত তাপমাত্রা থেকে তা বেশি বা কম হবে।

 

 

প্রশ্ন-২৯. পরিমাপের শুদ্ধতা কী কী বিষয়ের উপর নির্ভরশীল?

উত্তর : পরিমাপের শুদ্ধতা নিচের বিষয়গুলোর ওপর নির্ভরশীল।

১. যন্ত্রটিতে কোনো প্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি থাকতে পারবে না, যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে তা নির্ণয় করে পাঠ হতে বিয়োগ করতে হবে।

২. লম্বন ত্রুটি পরিহারে চোখ সঠিক অবস্থানে রাখতে হবে।

৩. দৈব ত্রুটি পরিহারে অধিক সংখ্যক পাঠ নিয়ে গড় নিতে হবে।

প্রশ্ন-৩০. যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে শুদ্ধ মাপ নেয়া সম্ভব কী? কীভাবে?

উত্তর : হ্যাঁ সম্ভব। প্রথমে যান্ত্রিক ত্রুটি নির্ণয় করতে হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যন্ত্র ব্যবহার করে দৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে হবে। এই দৈর্ঘ্য হবে আপাত দৈর্ঘ্য। আপাত দৈর্ঘ্য থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি বিয়োগ করে প্রকৃত দৈর্ঘ্য পাওয়া যায়।

তৃতীয় অধ্যায় : গতিবিদ্যা

প্রশ্ন-১. পরম গতি কাকে বলে?

উত্তর : পরম স্থিতিশীল প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর গতিকে পরম গতি বলে।

প্রশ্ন-২. সুষম বেগ কাকে বলে?

উত্তর : কোন গতিশীল বস্তু একই দিকে সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে চলতে থাকলে বস্তুর এ সরণের হারকে সুষম বেগ বলে।

প্রশ্ন-৩. দ্রুতি কাকে বলে? দ্রুতি কি রাশি?

উত্তর : বস্তু একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বস্তুর দ্রুতি বলে। দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি। দ্রুতি পরিমাপ করার জন্য স্পিডোমিটার ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-৪. মুক্তিবেগ কাকে বলে?

উত্তর : ভূ-পৃষ্ঠ হতে সর্বনিম্ন যে বেগে কোনো বস্তুকে উর্ধ্বে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না, তাকে মুক্তিবেগ বলে। মুক্তিবেগকে ve দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-৫. ঘূর্ণন গতি কাকে বলে? ঘূর্ণন গতির উদাহরণ দাও।

উত্তর : নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কোন বিন্দুকে কেন্দ্র করে গতিশীল বস্তুর গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে। যেমন বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাঁটার গতি ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৬. পরম গতি ও আপেক্ষিক গতির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।

দুইটি গতিশীল বস্তুর প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয়টির গতিকে প্রথম বস্তুর তুলনায় দ্বিতীয় বস্তুর আপেক্ষিক গতি বলা হয়। সার্বিক পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে স্থির কোনো বস্তুর অবস্থাকে পরম স্থিতি বলে। পরম স্থির কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে গতিশীল বস্তুর গতিকে পরম গতি বলে। বস্তুত কোনো গতিই পরম গতি নয় এবং কোনো স্থিতিও পরম স্থিতি নয়। এ মহাবিশ্বের কোনো বস্তুই স্থির নয়। বরং একে অপরের সাপেক্ষে গতিশীল। তাই পরম স্থিতি বলতে কিছু নেই। আর, পরম গতির সংজ্ঞা দেয়া হয় পরম স্থিতিশীল বস্তুর সাপেক্ষে। যেহেতু পরম স্থিতিশীল এরূপ কোনো বস্তু নেই, তাই পরম গতি বলতেও কিছু নেই।

প্রশ্ন-৭. কোনো বস্তুর গড়বেগ শূন্য হলেও গড় দ্রুতি শূন্য নাও হতে পারে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে কোনো বস্তু নির্দিষ্ট দিকে গড়ে একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাই বস্তুটির গড় বেগ। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একক সময়ে কোনো বস্তুর গড় অতিক্রান্ত দূরত্বই তার গড় দ্রুতি।

বেগ একটি ভেক্টর রাশি বিধায় এটি ঋণাত্মক ও ধনাত্মক উভয়ই হতে পারে, ফলে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে গড় বেগ শূন্য হতে পারে। কিন্তু দ্রুতি একটি অঋণাত্মক রাশি হওয়ায় একটি নির্দিষ্ট সময় পরিসরে বস্তুটি স্থির অবস্থানে না থাকলে এর মান কখনোই শূন্য হতে পারে না। তাই যে ক্ষেত্রে একটি বস্তুর গড় বেগ শূন্য হয়, সেক্ষেত্রে তার গড় দ্রুতি শূন্য নাও হতে পারে।

চতুর্থ অধ্যায় : নিউটনিয়ান বলবিদ্যা

প্রশ্ন-১. বলের দ্বারা কাজ কাকে বলে?

উত্তর : বল প্রয়োগের ফলে যদি বলের প্রয়োগ বিন্দু বলের দিকে সরে যায় বা বলের দিকে সরণের উপাংশ থাকে তাহলে সে কাজকে বলের দ্বারা কাজ বলে। একে ধনাত্মক কাজও বলা হয়।

প্রশ্ন-২. অস্পর্শ বলের উদাহরণ লেখ।

উত্তর : দুটি চুম্বকের মেরুর মধ্যের আকর্ষণ বা বিকর্ষণমূলক বল।

প্রশ্ন-৩. ত্বরণ কাকে বলে?

উত্তর : বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে।

প্রশ্ন-৪. ভরবেগ কী?

উত্তর : বস্তুর ভর ও বেগের গুণফলকে ভরবেগ বলে। একে P দ্বারা সূচিত করা হয়।

প্রশ্ন-৫. ভরবেগের পরিবর্তনের হার কিসের সমান?

উত্তর : ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমান।

প্রশ্ন-৬. ভরবেগ কী ধরনের রাশি?

উত্তর : ভরবেগ একটি ভেক্টর রাশি।

প্রশ্ন-৭. কোন বলের কারণে নিউক্লিয়াস হতে বিটাক্ষয় হয়?

উত্তর : দুর্বল নিউক্লীয় বলের কারণে নিউক্লিয়াস হতে বিটাক্ষয় হয়।

প্রশ্ন-৮. জড়তা কী?

উত্তর : পদার্থ যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা তাকে জড়তা বলে।

প্রশ্ন-৯. 1 নিউটন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পরিমাণ বল 1 kg ভরের কোন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে 1ms-2 ত্বরণ সৃষ্টি করতে পারে তাকে 1 নিউটন বলে।

প্রশ্ন-১০। জড়তার ভ্রামক কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোন ঘূর্ণনরত বস্তুকণার ভর এবং ঘূর্ণন অক্ষ হতে বস্তুকণাটির লম্ব দূরত্বের বর্গের গুণফলকে তার জড়তার ভ্রামক বলে। জড়তার ভ্রামককে সাধারণত I দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

একমাত্রিক সংঘর্ষ কী?

উত্তর : সংঘাতধীন বস্তু দুটির আপেক্ষিক গতিবেগ সংঘর্ষের আগে ও পরে একই সরলরেখা বরাবর হলে, ঐ সংঘাতকে একমাত্রিক সংঘর্ষ বলে।

অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ কাকে বলে?

উত্তর : যে সংঘর্ষের পর বস্তু দুটির পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বস্তু রূপে চলতে থাকে তাকে অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে।

বলের পরম একক কী?

উত্তর : স্থান ভেদে বলের যে এককের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে পরম একক বলে।

বলের অভিকর্ষীয় একক কাকে বলে?

উত্তর : একক ভরবিশিষ্ট কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে যে বলে আকর্ষণ করে তাকেই বলের অভিকর্ষীয় একক বলে।

ঘাত বল কাকে বলে?

উত্তর : খুব অল্প সময়ের জন্য কোনো বস্তুর উপর প্রচণ্ড বল প্রয়োগ করা হলে এ বলকে ঘাত বল বলে।

নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি লিখ।

উত্তর : প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।

তাড়িতচৌম্বক বল কয়টি বলের সমষ্টি?

উত্তর : ২টি বলের সমষ্টি।

কৌণিক ভরবেগের SI একক কী?

উত্তর : কৌণিক ভরবেগের SI একক kgm2s-1.

ঋণাত্মক ভ্রামক কাকে বলে?

উত্তর : যে দ্বন্দ্বের প্রয়োগে বস্তু ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরে তার ভ্রামককে ঋণাত্মক ভ্রামক বলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *