অধ্যায়-১ : ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির রসায়ন ১ম পত্র
প্রশ্ন-১. ফাস্ট এইড বক্স (First Aid Box) কী?
উত্তর : ল্যাবরেটরিতে ছোটখাটো দুর্ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসহ যে বক্স ব্যবহার করা হয় তাকে ফাস্ট এইড বক্স (First Aid Box) বলে।
প্রশ্ন-২. ল্যাবরেটরি কিট কী?
উত্তর : ফার্স্ট এইড বক্সে ব্যবহৃত সকল প্রয়জোনীয় বস্তুকে একসাথে ল্যাবরেটরি কিট বলে।
প্রশ্ন-৩. PPE এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : PPE এর পূর্ণরূপ হলো– Personal Protective Equipment.
প্রশ্ন-৪. সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণ কী?
উত্তর : যে বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কোনো নমুনার পরিমাণ 10 mg থেকে 100 mg পর্যন্ত নিয়ে পরীক্ষা কার্য সম্পাদন করা হয় তাই সেমিমাইক্রো বিশ্লেষণ।
প্রশ্ন-৫. হ্যাজার্ড প্রতীক কী?
উত্তর : বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্যের জন্য সুনির্দিষ্ট সতর্কমূলক যে প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে হ্যাজার্ড প্রতীক বলে।
প্রশ্ন-৬. রাইডার ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তর : প্রতিটি রাইডারের জন্য নির্দিষ্ট ভরের একটি স্থির সংখ্যা সূচক মান পাওয়া যায় তাকে রাইডার ধ্রুবক বলে।
প্রশ্ন-৭. ক্রোমাটোগ্রাফি কী?
উত্তর : যে পদ্ধতিতে একটি সচল মাধ্যমকে একটি স্থির মাধ্যমের মধ্যে প্রবাহিত করে কোনো রাসায়নিক মিশ্রণের বিভিন্ন উপাদানগুলোকে পরিশোষণ মাত্রা বা বণ্টন গুণাংকের উপর ভিত্তি করে পৃথক করা হয় সেই পদ্ধতিকে ক্রোমাটোগ্রাফি বলে।
প্রশ্ন-৮. বাম্পিং কাকে বলে?
উত্তর : তরল পদার্থকে তাপ প্রয়োগ করার সময় যখন তরল পদার্থ তার প্রকৃত স্ফুটনাংকে পৌছানোর আগেই ফুটতে শুরু করে তখন ফুটন্ত তরলের গতির কারণে পাত্রের চারদিকে ছিটকে পড়ে, এ ঘটনাকে বাম্পিং বলে।
প্রশ্ন-৯. MSDS কী?
উত্তর : MSDS এর পূর্ণরূপ Materials Safety and Data Sheets. এটি মূলত একটি তালিকা। যেখানে রাসায়নিক পরীক্ষায় ব্যবহিত ক্যামিকেলগুলোর নাম, তাদের সতর্ক ব্যবহার ও সম্ভাবনাময় ঝুকি সম্পর্কে নির্দেশিকা দেওয়া থাকে।
প্রশ্ন-১০. মিনিস্কাস কি?
উত্তর : তরল যেখানে সিলিন্ডারকে বা ব্যুরেটকে স্পর্শ করে সেখানে বেঁকে যায়। এই বাঁকানো পৃষ্ঠতলই হলো মিনিস্কাস।
প্রশ্ন-১১. ওয়াশিং মিশ্রণ কাকে বলে?
উত্তর : পটাশিয়াম ডাই ক্রোমেট ও সালফিউরিক এসিডের মিশ্রণকে ওয়াশিং মিশ্রণ বলে।
প্রশ্ন-১২. ল্যবরেটরিতে কোন ধরনের কাপড়কে প্রাধান্য দেয়া হয়?
উত্তর : সুতি কাপড়।
প্রশ্ন-১৩. পরিষ্কারক মিশ্রণ কি?
উত্তর : ক্রোমিক এসিড (K2Cr2O7 + গাড় H2SO4) কে পরিষ্কারক মিশ্রণ বলে।
প্রশ্ন-১৪. ল্যাবরেটরিতে কত ধরনের চশমা ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : দুই ধরনের।
প্রশ্ন-১৫. প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কী?
উত্তর : যে সকল পদার্থ বায়ুর কোনো উপাদান দ্বারা (জলীয় বাষ্প, CO2, O2 ) আক্রান্ত হয় না, দীর্ঘদিন রেখে দিলে দ্রবণের ঘনমাত্রার পরিবর্তন হয় না তাদেরকে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে। যেমন- – Na2CO3, K2Cr2O7 ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৬. গ্লাস টিউব বাঁকাতে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : বুনসেন বার্নার।
প্রশ্ন-১৭. ট্রিফয়েল কি?
উত্তর : ট্রিফয়েল একটি আন্তর্জাতিক সাংকেতিক চিহ্ন, যা কোনো পাত্রের গায়ে লাগানো থাকলে বুঝতে হবে এতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে।
প্রশ্ন-১৮. রাজাম্ল কাকে বলে?
উত্তর : 1 মোল গাঢ় নাইট্রিক এসিড ও 3 মোল গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রণকে রাজাম্ল বলে।
প্রশ্ন-১৯. অ্যানিলিং কি?
উত্তর : অ্যানিলিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে তাপ কমিয়ে কোনো পদার্থকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তর করা হয়।
প্রশ্ন-২০. স্প্যাচুলা কি?
উত্তর : স্প্যাচুলা হলো লম্বা হাতলযুক্ত মরিচারোধক ইস্পাতের ছোট একটি চামচ।
প্রশ্ন-২১. মেজারিং সিলিন্ডার কি?
উত্তর : যে সিলিন্ডার দিয়ে বিভিন্ন তরল পদার্থ পরিমাপ করা যায় তাকে মেজারিং সিলিন্ডার বলে।
প্রশ্ন-২২. মেজারিং সিলিন্ডারে কোন স্কেলে দাগ কাটা থাকে?
উত্তর : mL স্কেলে।
প্রশ্ন-২৩. গুণগত বিশ্লেষণ কি?
উত্তর : যে পদ্ধতিতে নমুনায় উপস্থিত উপাদানসমূহ শনাক্ত করা হয় তাকে গুণগত বিশ্লেষণ
প্রশ্ন-২৪. রিসাইক্লিং কাকে বলে?
উত্তর : ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলার প্রক্রিয়াকে রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার বলে।
প্রশ্ন-২৫. ফায়ার পলিশিং কি?
উত্তরঃ গ্লাস টিউব কাটার পর দুই প্রান্তকে বুনসেন বার্নারের সাহায্যে তাপ দিয়ে মসৃণ করার পদ্ধতিই হলো ফায়ার পলিশিং।
প্রশ্ন-২৬. ল্যাবরেটরিতে সেফটি গ্লাসের সুবিধাগুলো কী কী?
উত্তর : সেফটি গ্লাস ল্যাবরেটরির নিরাপত্তা সামগ্রিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ল্যাবরেটরিতে সেফটি গ্লাসের সুবিধাগুলো হলো—
i) ল্যাবরেটরিতে ছিটকে যাওয়া রাসায়নিক দ্রব্য হতে চোখকে রক্ষা করা।
ii) বিভিন্ন তাপমাত্রায় বার্নারের ব্যবহারের সময় চোখকে রক্ষা করা।
প্রশ্ন-২৬. ওয়াশ বোতল বলতে কী বুঝ?
উত্তর : আয়তনিক বিশ্লেষণে যে সমস্ত কাঁচের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে ধৌত করতে হয়। যন্ত্রগুলোকে প্রথমে ক্রোমিক এসিড (গাঢ় K2Cr2O7 ও গাঢ় H2SO4 মিশ্রণ) দ্বারা ধোয়ার পর পানি দ্বারা ধৌত করতে হয়। এ কাজের জন্য বিশুদ্ধ পানি একটি বোতলে নেওয়া হয়। বোতলটি প্লাস্টিকের কিংবা কাঁচের তৈরি এবং এর মুখে কর্ক লাগানো থাকে। কর্কের মাঝখানের ছিদ্রপথে একটি নল লাগানো থাকে। এই বোতলটিই ওয়াশ বা ধৌতকরণ বোতল। ধৌতকরণ প্লাস্টিক বোতলে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বোতলের গায়ে চাপ দিয়ে প্রয়োজনমত পানি নেওয়া হয়।
পরিবেশ রক্ষায় রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহার বলতে কি বুঝ?
উত্তর : অন্যান্য রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মতই রসায়ন ল্যাবেও প্রায়ই অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য বা অপদ্রব্য তৈরি হয়। যার পরিত্যাগ পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই গ্রীন কেমিস্ট্রির ধারণা অনুসারে যদি পরিমাণগতভাবে আগে থেকেই পরীক্ষণে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য নির্ভুলভাবে মেপে নেয়া যায়, তাহলে পরীক্ষণ শেষে অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ঝুঁকি কমে যায়। আবার, ক্ষতিকারক অপদ্রব্য বা দ্রাবককে যদি পুনঃব্যবহার করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় বা পরীক্ষাগারের ক্ষতিকারক বর্জ্য থেকে যদি মূল্যবান কিছু তৈরি করা যায়, তা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব কমায়।
রিয়েজেন্ট-এর বোতলে লেবেল না দেখতে পেলে এবং রিয়েজেন্ট বোতলে ড্রপার না থাকলে কী করবে?
উত্তরঃ পরীক্ষণের সময় কোনো রিয়েজেন্ট-এর বোতলে লেবেল দেখতে না পেলে ভুলেও অনুমান করে তা ব্যবহার করা যাবে না বা অন্য কোনো পরীক্ষণের মাধ্যমে রিয়েজেন্টকে যাচাই করা যাবে না। সাথে সাথেই ল্যাব অপারেটরকে ডেকে এই ব্যাপারে জানাতে হবে। অন্যদিকে, কোনো রিয়েজেন্টের বোতলে যদি ড্রপার না পাওয়া যায়, এক্ষেত্রেও নতুন ড্রপার নিতে হবে। ভুল করে অন্য কোনো রিয়েজেন্ট-এর ড্রপার সরাসরি অথবা ধুঁয়ে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।