প্রশ্ন-১. কৌণিক ভরবেগ কাকে বলে?
উত্তর : কোন বিন্দু বা অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত কোন বস্তুর বা কণার ভরবেগের ভ্রামককেই ঐ কণা বা বস্তুর কৌণিক ভরবেগ বলে।
প্রশ্ন-২. স্থিতিস্থাপক সীমা কী?
উত্তর : বাহ্যিকভাবে প্রযুক্ত বলের সর্বোচ্চ যে মান পর্যন্ত বস্তু হুকের সূত্র মেনে চলে অর্থাৎ স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে, তাকে বস্তুর স্থিতিস্থাপক সীমা বলে।
প্রশ্ন-৩. মেলডি কাকে বলে?
উত্তর : সুনির্দিষ্ট কম্পাংক ও তীব্রতা বিশিষ্ট কতকগুলো শব্দ যদি একের পর এক ধ্বনিত হয়ে সুরসঙ্গতি বা সুমধুর সুর সৃষ্টি করে তবে তাকে মেলডি বলে।
প্রশ্ন-৪. ন্যূনতম বিচ্যুতি কী?
উত্তর : প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলো প্রতিসরণের সময় আপতন কোণের একটি নির্দিষ্ট মানের জন্য বিচ্যুতি কোণ সর্বনিম্ন হয়, যা অপেক্ষা কম মানের বিচ্যুতি পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। বিচ্যুতি কোণের এ সর্বনিম্ন মানকে ন্যূনতম বিচ্যুতি বলে।
প্রশ্ন-৫. বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি?
উত্তর : যে বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল তাকে বলা হয় মহাবিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং। বিজ্ঞানীদের মতে, দূর অতীতে মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তু সংকুচিত অবস্থায় একটি বিন্দুর মতো ছিল। আজ থেকে দেড় হাজার কোটি বছর আগে এক বিস্ফোরণের ফলে ছায়াপথ, গ্রহ, উপগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং এগুলো সম্প্রসারিত হয়ে পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
প্রশ্ন-৬. তাপমাত্রা বলতে কী বোঝায়? তাপমাত্রার একক কি?
উত্তর : তাপমাত্রা হচ্ছে বস্তুর তাপীয় অবস্থা যা তাপ প্রবাহের দিক নির্দেশ করে বা অন্য বস্তুতে তাপ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিন্ন মাত্রায় উত্তপ্ত দুটি বস্তু তাপীয় সংস্পর্শে আসলে তাদের মধ্যে তাপের আদান-প্রদানের ফলে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তাপীয় সাম্যাবস্থা আসবে। ওই বস্তু দুটির মধ্যে তাপীয় সাম্যাবস্থার নিশ্চয়তা করে বস্তুর যে ধর্ম বা রাশি তা হলাে তাপমাত্রা। তাপকে তরলের সাথে তুলনা করলে তরলের উচ্চতাকে তাপমাত্রার সাথে তুলনা করা যায়। তরল যেমন তার পরিমাণের উপর নির্ভরশীল না হয়ে উঁচু স্থান থেকে নিচু স্থানে প্রবাহিত হয়, তাপও তার পরিমাণের উপর নির্ভরশীল না হয়ে উঁচু তাপমাত্রা থেকে নিচু তাপমাত্রার দিকে প্রবাহিত হয়।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে তাপমাত্রার একক কেলভিন (K)।
প্রশ্ন-৭. বিপদ সংকেতে সবসময় লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর : দৃশ্যমান আলোর সাতটি বর্ণের মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সর্বাপেক্ষা বেশি। আবার তরঙ্গের বিক্ষেপণ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক বলে বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে যাবার পথে অন্যান্য বর্ণের আলোর তুলনায় লাল বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ কম হবে। এ কারণে লাল আলো বায়ুমন্ডলে অধিক দূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। ফলে কোনো বিপদজ্জনক স্থানে আসার অনেক আগে থেকেই গাড়ির চালক লাল আলো দেখতে পেয়ে বিপদ সম্পর্কে সতর্ক হতে পারে। তাই বিপদ সংকেতে সর্বদা লাল আলো ব্যবহার করা হয়।