প্রশ্ন-১। সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা ৮টি।
প্রশ্ন-২। সূর্যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের অনুপাত কত?
উত্তরঃ সূর্যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের অনুপাত ৫ : ৪।
প্রশ্ন-৩। পৃথিবীর নিকটম গ্রহ কোনটি?
উত্তরঃ পৃথিবীর নিকটম গ্রহ বুধ।
প্রশ্ন-৪। মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ কয়টি?
উত্তরঃ মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ দুইটি।
প্রশ্ন-৫। নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ কত?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ শূন্য ডিগ্রি।
প্রশ্ন-৬। শনির বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসগুলোর মিশ্রণ রয়েছে?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম।
প্রশ্ন-৭। ভাগীরথী কি?
উত্তরঃ ভাগীরথী একটি নদীর নাম।
প্রশ্ন-৮। গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি?
উত্তরঃ গ্রিনিচের দ্রাঘিমা ০ (শূন্য) ডিগ্রি।
প্রশ্ন-৮। অক্ষ কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরুরেখা বলে।
প্রশ্ন-৮। নক্ষত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব জ্যোতিষ্ক আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে তাদেরকে নক্ষত্র বলে।
প্রশ্ন-৯। শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয় কেন?
উত্তরঃ কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘন মেঘের কারণে শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয়?
প্রশ্ন-১০। মেরুরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরুরেখা বলে।
প্রশ্ন-১১। নেপচুন গ্রহ শীতল হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ সূর্য হতে অধিক দূরত্বে অবস্থিত বলে নেপচুন গ্রহটি শীতল।
প্রশ্ন-১২। নীহারিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ মহাকাশে স্বল্পালোকিত তারকারাজির আস্তরণকে নীহারিকা বলে। নীহারিকাসমূহ গ্যাসীয় পদার্থে পূর্ণ। এরা পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোক বর্ষ দূরে অবস্থান করছে।
সৌরজগৎ কাকে বলে?
উত্তরঃ সূর্য এবং তার চারিদিকে চলমান গ্রহ, উপগ্রহ, ধুমকেতু ইত্যাদি নিয়ে যে বিরাট জগৎ গঠিত, তাকে সৌরজগৎ বলে।
ভূত্বক বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময় বাষ্পীয় অবস্থায় ছিল। কোটি কোটি বছরের ঘূর্ণনের মধ্যদিয়ে তাপ বিকিরণ করতে করতে পৃথিবীর শীতল ও ঘনীভূত হতে বহু বছর লেগেছে। এভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে কঠিন আবরণের সৃষ্টি হয়। আর এ কঠিন আবরণই ভূত্বক।
ওজোন স্তর বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের একটি স্তর আছে যা ওজোন স্তর নামে পরিচিত। এর গড় গভীরতা প্রায় ১২-১৬ কি.মি.। সূর্যরশ্মির অতিবেগুণি রশ্মি শোষণ করায় এর তাপমাত্রা প্রায় ৭৬° সেলসিয়াস।
শিলামণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ গুরুমণ্ডলের উর্ধ্বাংশের শিলা কঠিন ও ভঙ্গুর, যা প্রায় ১০০ কি.মি. গভীর। ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের উর্ধ্বাংশ ১০০ কিমি পর্যন্ত পুরু এ স্তরকে একত্রে শিলামণ্ডল বা অশ্বমণ্ডল বলে। ভূ-ত্বকের উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অশ্বমন্ডল।
দ্রাঘিমা রেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রী, মিনিট, সেকেণ্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে। প্রত্যেকটি দ্রাঘিমা রেখার দৈর্ঘ্য সমান। সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০° হয়। ১ ডিগ্রী দ্রাঘিমান্তরে ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়।
প্রমাণ সময় বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ দ্রাঘিমারেখার উপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২ ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট হয়। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোন স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে। যেমন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের চারটি এবং কানাডাতে পাঁচটি প্রমাণ সময় রয়েছে। গ্রিনিচের স্থানীয় সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রমাণ সময় গ্রিনিচ অপেক্ষা ৬ ঘণ্টা অগ্রবর্তী।
চাঁদ ও কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কি?
- চাঁদ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি উপগ্রহ। কৃত্রিম উপগ্রহ মানুষের তৈরি উপগ্রহ।
- চাঁদ আকারে বড়। কৃত্রিম উপগ্রহ আকারে ছোট।
- মহাজাগতিক মেঘ, ধূলাবালি ইত্যাদি দ্বারা চাঁদ গঠিত। কৃত্রিম উপগ্রহ বিভিন্ন ধাতু দ্বারা গঠিত।
- চাঁদের নিজ কক্ষপথে ঘুরে আসতে ২৭ দিন ৮ ঘণ্টা সময় লাগে অপর দিকে ভূ-স্থির কৃত্রিম উপগ্রহ ১ দিনে বা ২৪ ঘণ্টায় এক বার পৃথিবীকে আবর্তন করে।