যে যন্ত্রের সাহায্যে কারেন্ট পরিমাপ করা হয় তাকে অ্যামিটার বলে। বৈদ্যুতিক বর্তনীর কারেন্ট পরিমাপ করার জন্য অ্যামিটার ব্যবহার করা হয়।
অ্যামিটারের কয়েল মোটা তারের কমসংখ্যক প্যাঁচ দিয়ে তৈরি করা হয়। যেজন্য অ্যামিটারের অভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্স খুব কম হয়। অ্যামিটার সার্কিটের সাথে সিরিজে সংযোগ করলে সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স তথা মূল কারেন্টের কোনো পরিবর্তন হয় না।
ফলে ঐ মিটারে সঠিকমান নির্দেশ করে। অ্যামিটারের অভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্স নিম্নমানের থাকায় সার্কিটের সাথে প্যারালালে সংযোগ করলে শর্ট সার্কিট হয়ে মিটারের কয়েল পুড়ে যাবে। তাই অ্যামিটারকে লাইনের সাথে প্যারালালে সংযোগ করা হয়ে না।
গঠন অনুযায়ী অ্যামিটার প্রধানত দুই প্রকার। যথা—
(১) মুভিং আয়রণ টাইপ এসি/ডিসি অ্যামিটার—
- অ্যাট্রাকশন টাইপ;
- রিপালশন টাইপ। [এসি ও ডিসি উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।]
(২) মুভিং কয়েল টাইপ এসি/ডিসি অ্যামিটার—
- পারমানেন্ট ম্যাগটেনট টাইপ; [শুধু ডিসিতে ব্যবহৃত হয়।]
- ডায়নামোমিটার টাইপ; [এসি ও ডিসি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।]