রাশিয়ান রসায়নবিদ ডিমিট্রি মেন্ডেলিফ মৌলসমূহের রাসায়নিক ধর্ম নিয়ে গবেষণা করে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলসমূহের পারমাণবিক ভরের উচ্চক্রমানুসারে সাজিয়ে দেখেন একই ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহ একই কলামে স্থান পায়। এর উপর ভিত্তি করে তিনি পর্যায় সূত্র প্রস্তাব করেন।
পর্যায় সারণি উদ্ভাবনে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর অবদান থাকলেও অবদানের গুরুত্ব বিবেচনা করে মেন্ডেলিফকে পর্যায় সারণির জনক বলে।
মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্র : “যদি মৌলসমূহকে ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজানো হয়, তবে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়”।
কোন উদ্দেশ্যে পর্যায় সারণি তৈরি করা হয়েছে?
নিচে পর্যায় সারণি তৈরির উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হলোঃ
- আবিষ্কৃত সকল মৌলসমূহের সুশৃঙ্খল শ্রেণিবিভাগের মাধ্যমে রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যয়ন সহজ করা।
- একই ধর্মবিশিষ্ট বিভিন্ন মৌলকে সমশ্রেণিভুক্ত।
- সারণিতে অবস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন মৌলিক পদার্থ এবং তাদের যৌগগুলোর বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ।
- সারণিতে অবস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন মৌলের ধর্ম সহজে মনে রাখা এবং একটি মৌলের ধর্মের সাথে অন্য মৌলের ধর্মের সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য জানা।
- অনাবিষ্কৃত মৌল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।