সাধু, চলিত, আঞ্চলিক, প্রমিত ভাষার উদাহরণসহ সংজ্ঞা
★ সাধু, চলিত, আঞ্চলিক, প্রমিত এবং উপভাষার উদাহরণসহ সংজ্ঞা লিখুন।
উত্তরঃ সাধু ভাষাঃ যে ভাষা প্রধানত তৎসম শব্দবহুল সর্বনাম ও ক্রিয়াপদসমূহ অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ, কিছুটা গুরুগম্ভীর ও কৃত্রিম তাকেই সাধু ভাষা বলে। যেমন- ‘জানিবার ও বুঝিবার প্রবৃত্তি মানুষের মন হইতে যেই দিন চলিয়া যাইবে সেই দিন মানুষ পুনরায় পশুত্ব লাভ করিবে।’
চলিত ভাষাঃ ভাগীরথী-তীরবর্তী জনপদের ভদ্র ও শিক্ষিত সমাজে ব্যবহৃত মৌখিক ভাষা পরিমার্জিত হয়ে সাহিত্যে যেভাবে স্থান পেয়েছে তাকেই চলিত ভাষা বলে। যেমন- ‘জানবার ও বুঝবার
প্রবণতা মানুষের মন থেকে যেদিন চলে যাবে সেদিন মানুষ আবার পশুত্ব লাভ করবে।’
আঞ্চলিক ভাষাঃ বাংলায় লেখ্য ভাষার নির্দিষ্ট একটা রুপ আছে, কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের মুখের ভাষার সেরকম কোনো নির্দিষ্ট কোনো রুপ নেই। বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন অঞ্চলে মুখের ভাষার যে
ভিন্ন ভিন্ন রুপ দেখা যায়, তাকে আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা বলে। যেমন- কোনো এক ব্যক্তির দুই পুত্র ছিল।
নোয়াখালীঃ একজন মাইনসের দুগা হোলা আছিল।
ময়মনসিংহঃ এক জনের দুই পুৎ আছিল।
প্রমিত ভাষাঃ একই ভাষার উপভাষাগুলো অনেক সময় বোধগম্য হয় না। এজন্য একটি উপভাষাকে আদর্শ ধরে সকলের বোধগম্য ভাষা হিসেবে তৈরি ভাষারুপই হলো প্রমিত ভাষা। যেমন-
‘অমিত যেখানে সেখানে হো হো করে বেড়াচ্ছে __ ফিরপোর দোকানে যাকে তাকে চা খাওয়াচ্ছে, যখন তখন মোটরে চড়িয়ে বন্ধুদের অনাবশ্যক ঘুরিয়ে নিয়ে আসছে।’
উপভাষাঃ আঞ্চলিক ভাষা কেই উপভাষা বলা হয়।