শতক এবং শতাব্দীর মাঝে পার্থক্য কী?
শতক ও শতাব্দের মধ্যে আসলেই কোনো পার্থক্য আছে কি না, আর থাকলেও সেটা কী ধরনের পার্থক্য, এ নিয়ে মতপার্থক্য আছে। তবে এই মতপার্থক্যের অবসান হওয়া প্রয়োজন। সে আশায় উত্তর দিচ্ছি। কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন। সংশোধন করে নেব।
আমার মতে শতক ও শতাব্দের মধ্যে পার্থক্য আছে এবং থাকা উচিত।
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী শতক অর্থ মূলত শত (১০০) সংখ্যাবিশিষ্ট। তাই শতক দ্বারা যে-কোনো কিছুরই শত সংখ্যাকে নির্দেশ করা যায়। সেটা হতে পারে কোনো বস্তুর শতক, কোনো ঘটনার শতক, কারো দোষগুণের শতক, পঞ্জিকার বছর হিসাবের ক্ষেত্রে শতক প্রভৃতি।
পুনশ্চ: শতকের ক্ষেত্রে এই কথাগুলো দশকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
অন্যদিকে শতাব্দ অর্থ মূলত একশত বর্ষব্যাপী সময়। এর সন্ধিবিচ্ছেদ— (শত+অব্দ)। এখানে অব্দ মানে বৎসর, সন, সাল। তাহলে শতাব্দ দ্বারা তো সবকিছুর সময়ের হিসাব বোঝানোর কথা, কিন্তু বাস্তবে কি তা বোঝায়? কোনো কিছুর কাল একশ বছর পূর্ণ হলে তো কেউ বলে না, সেটির শতাব্দ পূর্ণ হয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা একশ বছরই বা শত বছর অথবা শতক পূর্ণ হয়েছে বলে।
উদাহরণস্বরূপ:
- আজ এই দালান নির্মাণের শত/একশ বছর পূর্ণ হলো।
- বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ। তাহলে ২০৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের জন্মের শতক পূর্ণ হবে।
অর্থাৎ, পঞ্জিকার বছর হিসাবের ক্ষেত্রেও যে-কোনো একশ বছর গণনা হলেই সেটাকে শতাব্দ বলা হয় না। শতাব্দের প্রচলিত সংজ্ঞা
আলাদা।
গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসারে বছর গণনা শুরু হওয়ার প্রথম বছর থেকে পরবর্তী ঠিক একশ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্ণীত প্রতি শতবর্ষকে শতাব্দ বলা হয়।
যেমন: ০১ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি থেকে ১০০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর হলো একশ বছর। এই একশ বছরকে বলা হয় প্রথম শতাব্দ। ১০০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বরের পরদিন হলো ১০১ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি। এই দিন থেকে অর্থাৎ ১০১ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি থেকে ২০০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় শতাব্দ। ২০১ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি হতে ৩০০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় শতাব্দ এবং এভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে শতাব্দ গণনা করা হয়ে থাকে। বর্তমানে চলছে একবিংশ শতাব্দ। এটি শুরু হয়েছে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি এবং শেষ হবে ২১০০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর।
অতএব, উপরের বিশ্লেষণ থেকে এ কথা বলা যায় যে, সব শতাব্দই শতক, কিন্তু সব শতক শতাব্দ নয়।
১ শতাব্দী কাকে বলে?
১-১০০ সময়কালকে আপনি নিশ্চয়ই প্রথম শতাব্দী বলবেন। তাহলে পরবর্তী সময়কালের নামকরণের জন্য নীচের টেবিলটি দেখুন:
১-১০০ প্রথম শতাব্দী
১০১-২০০ দ্বিতীয় শতাব্দী
২০১-৩০০ তৃতীয় শতাব্দী
৩০১-৪০০ চতুর্থ শতাব্দী
৪০১-৫০০ পঞ্চম শতাব্দী
১৫০১-১৬০০ ষষ্ঠদশ শতাব্দী
১৬০১-১৭০০ সপ্তদশ শতাব্দী
১৭০১-১৮০০ অষ্টাদশ শতাব্দী
১৮০১-১৯০০ ঊনবিংশ শতাব্দী
১৯০১-২০০০ বিংশ শতাব্দী ।
আর নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা নেই?
২০০১-২১০০ এই সময়কালকে কী বলা উচিত? নিশ্চয়ই একবিংশ শতাব্দী !
উত্তর: ধারাবাহিক ১০ বছর সময়কালকে ১ দশক ধরা হয়। যেমন, ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১ দশক।
প্রশ্ন: ১ যুগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারাবাহিক ১২ বছর সময়কালকে ১ যুগ ধরা হয়। যেমন, ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১ যুগ।
প্রশ্ন: বিংশ শতাব্দী বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ১৯০১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময় বিংশ শতাব্দী।
প্রশ্ন: ভাদ্র মাস কত দিনে হয়?
উত্তর: ৩১ দিনে।
প্রশ্ন: ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস কত দিনে হয়েছিল?
উত্তর: ২৯ দিনে।
প্রশ্ন: ২০৪০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস কত দিনে হবে?
উত্তর: ২৯ দিনে।
উত্তর: ১ মিলিমিটার = ০.০০১ মিটার
প্রশ্ন: ১ মেট্রিক টন = কত কুইন্টাল?
উত্তর: ১ মেট্রিক টন = ১০ কুইন্টাল
প্রশ্ন: ১ মেট্রিক টন = কত কিলোগ্রাম?
উত্তর: ১ মেট্রিক টন = ১০০০ কিলোগ্রাম।
প্রশ্ন: ১ এয়র = কত বর্গমিটার?
উত্তর: ১০০ বর্গমিটার।
প্রশ্ন: ১ হেক্টরে কত বর্গমিটার?
উত্তর: ১০,০০০ বর্গমিটার।
প্রশ্ন: একটি আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ৬০ সে.মি., প্রস্থ ৪৫ সে.মি. হলে ক্ষেত্রফল কত?
উত্তর: ২৭০০ বর্গসেন্টিমিটার।
প্রশ্ন: ১ বর্গমিটার = কত বর্গডেসিমিটার?
উত্তর: ১০০ বর্গডেসিমিটার।
প্রশ্ন: আয়তাকার ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র কী?
উত্তর: আয়তাকার ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ
প্রশ্ন: আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র কী?
উত্তর: আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য = ক্ষেত্রফল÷ প্রস্থ
প্রশ্ন: আয়তাকার ক্ষেত্রের প্রস্থ নির্ণয়ের সূত্র কী?
উত্তর: আয়তাকার ক্ষেত্রের প্রস্থ = ক্ষেত্রফল ÷ দৈর্ঘ্য
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক বা ইংরেজিমতে কখন থেকে দিন ও তারিখ শুরু হয়?
উত্তর: রাত ১২টার পর থেকে।
প্রশ্ন: বাংলামতে কোন সময়কে দিন বলা হয়?
উত্তর: সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে।
প্রশ্ন: বাংলামতে কোন সময়কে রাত্রি বলা হয়?
উত্তর: সূর্যাস্ত থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়কে রাত্রি বলা হয়।