দ্বৈত নাগরিকত্ব কি – দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে | দ্বি-নাগরিকত্ব কি বা দ্বৈতনাগরিকত্ব কাকে বলে
দ্বি-নাগরিকত্ব কি বা দ্বৈতনাগরিকত্ব কাকে বলে
একজন মানুষের দুটি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব প্রাপ্তিকে দ্বি নাগরিকত্ব বলে। পূর্বে জন্মনীতি অনুযায়ী নাগরিকতা অর্জন করত। এ পদ্ধতিই প্রায় সকল রাষ্ট্রে প্রচলিত ছিল। কিন্তু বর্তমানকালে জন্মস্থান নীতিও অনুসরণ করা হয়।
কোন দেশ জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতি-এ উভয় নীতি অনুসরণ করে আবার কোন দেশ জন্মনীতি বা জন্মহার একটি অনুসরণ করে ফলে দ্বি-নাগরিকত্ব সমস্যার উদ্ভব হয়।
দ্বি-নাগরিকত্বের অর্থ হচ্ছে, জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতি-এ উভয় নীতি অনুযায়ী নাগরিকত্ব লাভ করে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সের কোন দম্পতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন সন্তান জন্ম দিলেন।
সে সন্তান ফ্রান্সের আইনানুযায়ী ফ্রান্সের নাগরিকতা লাভ করবে। কারণ ফ্রান্স জন্মনীতি অনুসরণ করে।
আবার সে শিশু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করবে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মস্থান নীতি অনুসরণ করা হয়। এভাবে দ্বি-নাগরিকত্ব সমস্যার উদ্ভব ঘটে।
দ্বৈতনাগরিকতার বিলোপঃ দ্বৈতনাগরিকের সমস্যা দেখা দিলে শিশুটি বয়ঃবৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
সে শিশু বয়স্ক হলে, সে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন একটি দেশের নাগরিকতা লাভ করবে। অর্থাৎ সে শিশু যে রাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভ করতে চাইবে, সে সেই রাষ্ট্রের নাগরিকতাই লাভ করবে।
নাগরিকত্ব বলতে কী বোঝায়?
নাগরিকত্ব বলতে বোঝায়, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য হওয়া। বৃহৎ অর্থে, নাগরিক হচ্ছেন তিনি, যিনি ঐ রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং রাষ্ট্রের আইন, সংবিধান এবং অন্যান্য নির্দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন। রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধনে নিজের কর্মের মাধ্যমে ভূমিকা রাখেন এবং রাষ্ট্র কর্তৃক বণ্টনকৃত সকল সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করেন।
দ্বি-নাগরিকত্ব বলতে কী বোঝায়?
একই সাথে একজন নাগরিক দুটি দেশের নাগরিকত্ব লাভ করলে তাকে দ্বি-নাগরিকত্ব বলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাগরিকতা অর্জনের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করার ফলে অনেক সময় একই ব্যক্তি দুটি দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে, একে দ্বি-নাগরিকত্ব বলে। যেমন- কোনো বাংলাদেশির সন্তান আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করলে নিয়মানুযায়ী সে একই সাথে বাংলাদেশ ও আমেরিকার নাগরিক হয়। পরবর্তীতে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সে যেকোনো একটি দেশের অথবা উভয় দেশের নাগরিকত্ব ধরে রাখতে পারে।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “দ্বৈত নাগরিকত্ব কি – দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।