প্রতিরোধী বলের (উদাঃ ঘর্ষণ, বায়ু) অনুপস্থিতিতে একটি বন্ধ ব্যবস্থায় বা সিস্টেমে মোট যান্ত্রিক শক্তির পরিমাণ স্থির থাকে। এর অর্থ হল বিভব শক্তি গতিশক্তিতে, অথবা গতিশক্তি বিভবশক্তিতে রূপান্তর হতে পারে তবে শক্তি ধ্বংস হতে পারে না বা হারিয়ে যেতে পারে না। অর্থাৎ মোট শক্তির পরিমান একই থাকে।
বাস্তবে work energy theorem এর একটি রূপ হলো যান্ত্রিক শক্তির নিত্যতার সূত্র।
স্থিতি শক্তির এর জন্য লেখা যায়:
Change in Potential Energy = – Work done by conservative force
uf−ui=−WC
আমরা কাজ ক্ষমতা শক্তি উপপাদ্য হতে পাই:
Wnet=kf−ki
⟹Wext+WN.C+WC=kf−ki
⟹Wext+WN.C=kf−ki−Wc
⟹Wext+WN.C=(kf+uf)−(ki+ui)
যদি বাহির থেকে কোনো বল প্রয়োগ না করা হয় এবং যে তলের উপর কাজ করা হচ্ছে সেখানে ঘর্ষণ না থাকে কিংবা নন কনজারভেটিভ ফোর্স শূন্য হয় তাহলে Wextএবং Wn.c এর মান হবে 0। সুতরাং
0+0=(kf+uf)−(ki+ui)
⟹kf+uf=ki+ui0+0
বাংলাতে বললে: নন কনজারভেটিভ ফোর্স (i.e ঘর্ষণ) ও বাহ্যিক ফোর্স অনুপস্থিত কোনো সিস্টেমের আদি গতিশক্তি ও স্থিতি শক্তির যোগ ফল = শেষে স্থিতি শক্তি ও গতিশক্তি এর যোগ ফল।
যান্ত্রিক শক্তি ও বিদ্যুৎ শক্তির মধ্যে পার্থক্য কী?
কোন বস্তুর ওপর কার্য করা হলে বস্তুটির মধ্যে যে শক্তি সঞ্চারিত হয় সেটা যান্ত্রিক শক্তি মোট যান্ত্রিক শক্তি = স্থিতি শক্তি বা potential energy + গতিশক্তি বা kinetic enegy. আর যখন কোন চার্জ যুক্ত কণা বা ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় তখন বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়।
যান্ত্রিক তরঙ্গকে কি আমরা শক্তি বলতে পারি?
যে কোন তরঙ্গ তৈরী করতে শক্তি প্রয়োজন হয়। শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুযায়ী যেহেতু এটি তৈরী করতে শক্তির প্রয়োজন হয়েছে, সে শক্তি হঠাৎ করে উধাও হয়ে যেতে পারে না। সুতরাং তরঙ্গটি যতক্ষণ প্রবাহিত হচ্ছে, এটি সাথে করে শক্তি নিয়েই যাচ্ছে। তরঙ্গ নিজে শক্তি নয়, তবে শক্তির বাহক।
উৎস বলতে বুঝি “কোথা হতে(ইংরজিতে বলা হয় Source)”।আর শক্তির উৎস বলতে বুঝি শক্তি যা হতে/থেকে আসে তাকে….।
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “যান্ত্রিক শক্তির সংরক্ষণশীলতা কী?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।