সুশাসন ধারণার উদ্ভাবক বিশ্বব্যাংক। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘সুশাসন’ প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়। এটি আধুনিক শাসনব্যবস্থার সংযোজিত রূপ। ‘গভর্নেন্স’ প্রপঞ্চটির সাথে ‘সু’ প্রত্যয় যোগ করে সুশাসন বা Good Governance শব্দটির প্রকাশ ঘটানো হয়েছে।
Good Governance শব্দটি Good এবং Governance-এ দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, যার অর্থ- নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক। বিভিন্ন তাত্ত্বিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা সংস্থা ‘সুশাসন’ ধারণাটির সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
বর্তমান আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে ‘সুশাসন’ শব্দটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। সুশাসন একটি চলমান প্রক্রিয়া। শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক কী হবে, রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে, রাষ্ট্র ও সরকার, সরকার ও জনগণ কিংবা রাষ্ট্র ও জনগণ অথবা এ তিনটির মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হবে বা হওয়া উচিত তার একটি রূপরেখা সুশাসনের মাধ্যমে চিত্রায়িত হয়। আধুনিক রাষ্ট্রসমূহ কল্যাণমুখী।
গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসনের আশা করা যায় না। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকে। বিশ্বের সব দেশের সরকার নিজেদের রাষ্ট্রকে কল্যাণ রাষ্ট্র আর সরকারকে সুশাসনের সরকার বলে দাবি করে থাকে।
মূলত বেশিরভাগ দেশে সুশাসন কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে, বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। কাজেই গণতন্ত্রকে সফল করার পূর্বশর্ত হিসেবে এখন সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিরাজমান সকল জটিলতার সমাধান ঘটিয়ে সর্বাধিক জনকল্যাণ সাধন করাই
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “সুশাসন কী | সুশাসন কাকে বলে | সুশাসন বলতে কি বুঝায়” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।