পার্লামেন্ট একটি ইংরেজি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ-সংসদ বা সর্বোচ্চ আইনসভা। অর্থাৎ The supreme legislative council of a nations. অপরদিকে, সার্বভৌমত্ব হলো আইনগতভাবে সর্বোচ্চ চূড়ান্ত ও অসীম ক্ষমতা।
সুতরাং পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব বা Sovereignty মানে আইনগতভাবে পার্লামেন্টের সর্বোচ্চ, চূড়ান্ত ও অসীম ক্ষমতা যার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার এখতিয়ার বা অধিকার নেই ।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ক্ষমতা : Prof. Ivor Jennings- এর মতে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নিম্নলিখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন; যথা :
১. পার্লামেন্ট শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করতে পারে।
২. নিজেদের মেয়াদ বা আয়ু বাড়াতে পারে । ৩. অন্যায়কে ন্যায় করতে পারে।
৪. চুক্তিগুলোতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
৫. ব্যক্তি বিশেষের সম্পত্তি দখলে আদেশ দিতে পারে। ৬. সরকারকে একনায়কত্বের ক্ষমতা দিতে পারে।
৭. ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ভেঙে দিতে পারে ।
৮. ইচ্ছা মতো সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ বা ফ্যাসিবাদ প্রবর্তন করতে পারে।
৯. দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে কেউ তাকে বাধা প্রদান করতে পারে না
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটেনের সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর পার্লামেন্টের নিরঙ্কুশ আইনগত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উদ্ভব ঘটে এ্যাংলো স্যাক্সন যুগে ।
সর্বপ্রথম পার্লামেন্ট কাজ শুরু করেন অভিজাত সম্প্রদায়ের খ্রিস্টীয় ধর্মযাজকদের এবং জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে।
তখন পার্লামেন্টের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব ছিল না। ১৬৬৮ সালের গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।