Modal Ad Example
তথ্য প্রযুক্তি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কিছু প্রশ্ন উত্তর

1 min read
০১। সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো কিছু গণনা করে তা প্রকাশ করার জন্য কতিপয় সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। কোন সংখ্যা লেখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
০২। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
উত্তরঃ বর্তমানে যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা হলো পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি।
০৩। নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
উত্তরঃ নন-পজিশনাল একটি প্রাচীন পদ্ধতি।বর্তমানের এই সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার নেই বললেই চলে।
০৪। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তরঃ 0 হতে 9 পর্যন্ত দশটি মৌলিক চিহ্ন নিয়ে যে সংখ্যা পদ্ধতি গঠিত তাকে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
০৫। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির মোট অংক কয়টি?
উত্তরঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির মোট অংক 10টি।
০৬। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বেজ কত?
উত্তরঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 10।
০৭। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তরঃ 0 হতে 1 পর্যন্ত এই দুই অংক বিশিষ্ট চিহ্ন নিয়ে যে সংখ্যা পদ্ধতি গঠিত তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
০৮। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মোট অংক কয়টি?
উত্তরঃ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মোট অংক 2টি।
০৯। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বেজ কত?
উত্তরঃ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ২।
১০। অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তরঃ 0 হতে 7 পর্যন্ত মোট 8টি সংখ্যা চিহ্ন নিয়ে যে সংখ্যা পদ্ধতি গঠিত তাকে অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
১১। অকটাল সংখ্যা পদ্ধতির মোট অংক কয়টি?
উত্তরঃ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতির মোট অংক 8টি।
১২। অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি বেজ কত?
উত্তরঃ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 8।
১৩। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তরঃ 0 হতে 9 ও A হতে F পর্যন্ত মোট ষোলটি চিহ্ন বা সংখ্যা নিয়ে যে সংখ্যা পদ্ধতি গঠিত তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
১৪। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট অংক বা চিহ্ন কয়টি?
উত্তরঃ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির মোট অংক 16টি।
১৫। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বেজ কত?
উত্তরঃ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 16।
১৬। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি অংকগুলো কী কী?
উত্তরঃ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির অংকগুলো হলোঃ 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, A, B, C, D, E এবং F
১৭। 12 সংখ্যার বাইনারি মান কত?
উত্তরঃ 12 সংখ্যার বাইনারি মান 1100
১৮। চিহ্নযুক্ত সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ চিহ্ন বা সাইনযুক্ত সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত বা সাইনযুক্ত সংখ্যা বলে।
১৯। 1 এর পরিপূরক কত?
উত্তরঃ 1 এর পরিপূরক 0।
২০। 2 এর পরিপূরক কী?
উত্তরঃ কোন বাইনারি সংখ্যার 1 এর পরিপূরক এর সাথে 1 যোগ করলে যা পাওয়া যায় তাকে 2- পরিপূরক বলে।
২১। কোড কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা সংকেতের মাধ্যমে বর্ণ, অংক ও সংখ্যাগুলোকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হয় তাকে কোড বলে।
২২। BCD কোড এর পূর্ণরূপ লিখ।
উত্তরঃ BCD কোড এর পূর্ণরূপ Binary Coded Decimal।
২৩। BCD কোড কী?
উত্তরঃ BCD একটি 4 বিট বাইনারি ভিত্তিক কোড। দশমিক পদ্ধতির সংখ্যারকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশের জন্য এ কোড ব্যবহার করা হয়।
২৪। EBCDIC এর পূর্ণরূপ লিখ।
উত্তরঃ EBCDIC এর পূর্ণরূপ Extended Binary Coded Decimal Interchange Code।
২৫। EBCDIC কোড কী।
উত্তরঃ EBCDIC কোড হলো আট বিটের বিসিডিক কোড।
২৬। আলফানিউমেরিক কোড কী?
উত্তরঃ কম্পিউটারের জন্য তথ্য বা নির্দেশকে কয়েক ধরনের চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।এর একটি হলো বর্ণমালার অক্ষর, যেমন- a-z, A-Z এবং অন্যটি সংখ্যা যেমন, 0-9, এবং আর একটি হলো বিশেষ চিহ্ন (যেমন- !, @, $, # ) ইত্যাদি। এ বিভিন্ন ধরনের চিহ্নিত কোডকে আলফানিউমেরিক কোড বলে।
২৭। ASCII এর পূর্ণরূপ লিখ।
উত্তরঃ ASCII এর পূর্ণরূপ American Standard Code Information Interchange ।
২৮। অ্যাসকি কোড কী?
উত্তরঃ অ্যাসকি হলো একটি বহুল প্রচলিত 7 বিট কোড।যার বাম দিকের ৩টিকে জোন এবং ডানদিকের 4টি বিটকে সংখ্যাসূচক বিট বলে।
২৯। ইউনিকোড কাকে বলে?
উত্তরঃ বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলে।
৩০। ইউনিকোড কত বিটের কোড?
উত্তরঃ ইউনিকোড 16 বিটের কোড।
৩১। জর্জ বুল কে?
উত্তরঃ জর্জ বুল একজন ইংরেজ গণিতবিদ তিনি গণিত ও যুক্তির মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে তার সুনির্দিষ্ট বর্ণনা প্রদান করেন।তিনি “ম্যাথামেটিক্যাল অফ লজিক” নামে তাঁর একটি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করেন।
৩২। বুলিয়ান অ্যালজেবরা কী?
উত্তরঃ জর্জ বুল “ম্যাথামেটিক্যাল অফ লজিক” নামে তাঁর একটি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করেন।ঐ গ্রন্থে যে
যুক্তির ধারণা পাওয়া যায় তার নামানুসারে ঐ অ্যালজেবরার নামকরণ করা হয় বুলিয়ান
অ্যালজেবরা।
৩৩। বুলিয়ান অ্যাজেবরার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ নিম্নে বুলিয়ান অ্যাজেবরার দুটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো:
১। বুলিয়ান অ্যাজেবরায় শুধু 1 ও 0 দুটি অংক ব্যবহৃত হয়।
২। এ অ্যালজেবরায় শুধু যৌক্তিক গুন ও যোগের সাহায্যে গাণিতিক কাজ করা যায়।
৩৪। বুলিয়ান চলক কী?
উত্তরঃ ডিজিটাল লজিকে দুই ধরণের বাইনারি অংক যথা 0 ও 1 ব্যবহৃত হয় এই অংক গুলোকে বুলিয়ান চলক বলে। বুলিয়ান চলকের মান ০ ও ১ হতে পারে।
৩৫। বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কী কী নিয়ম মেনে চলে?
উত্তরঃ বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধসমূহ যৌক্তিক যোগ ও গুনের নিয়ম মেনে চলে।
৩৬। বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কাকে বলে?
উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধুমাত্র বুলিয়ান যোগ ও গুণের সাহায্যে সমস্ত অংক করা যায়।যোগ ও গুনের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কতকগুলো নিয়ম মেনে চলে।এ নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলে।
৩৭। দ্বৈত নীতি কী?
উত্তরঃ AND এবং OR অপারেশনের সাথে সম্পর্কযুক্ত সূত্রকে দ্বৈত নীতি বলে।
৩৮। বুলিয়ান পূরক কাকে বলে?
উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যেকোন চলকের মান 0 বা 1 হতে পারে।এ 0 এবং 1 কে একটি অপরটি বুলিয়ান পূরক বলা হয়।
৩৯। সত্যক সারণি কী?
উত্তরঃ যে সকল টেবিল বা সারণির মাধ্যমে বিভিন্ন গেইটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় অর্থাৎ লজিক সার্কিটের ইনপুটের উপর আউটপুটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাকে সত্যক সারণি বলে।
৪০। লজিক গেইট কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব ডিজিটাল সার্কিট যুক্তিমূলক সংকেতের প্রবাহ সে সব সার্কিটকেই লজিক গেইট বলে।
৪১। মৌলিক গেইট কয়টি?
উত্তরঃ মৌলিক গেইট তিনটি।
৪২। মৌলিক গেইট কী কী?
উত্তরঃ মৌলিক গেইট AND, OR ও NOT।
৪৩। সর্বজনীন গেইট কয়টি ও কী কী?
উত্তরঃ সর্বজনীন গেইট দুটি। NAND ও NOR।
৪৪। ডিজিটাল ডিভাইস কাকে বলে?
উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরা যা থেকে বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করা সম্ভব তাকে ডিজিটাল ডিভাইস বলে।
৪৫। এনকোডার কী?
উত্তরঃ এনকোডার হল একটি বর্তনী যা মানুষের বোধগোম্য ভাষা বা কোডকে কম্পিউটারের বোধগোম্য ভাষা বা কোডে রুপান্তর করে।
৪৬। ডিকোডার কী?
উত্তরঃ ডিকোডার হল একটি বর্তনী যা কম্পিউটারের বোধগোম্য ভাষা বা কোডকে মানুষের বোধগোম্য ভাষা বা কোডে রুপান্তর করে।
৪৭। অ্যাডার কী?
উত্তরঃ অ্যাডার বা যোগবর্তনী হলো বাইনারী সংখ্যার যোগ বাস্তবায়নকারী ডিজিটাল বর্তনী।
৪৯। হাফ অ্যাডার কী?
উত্তরঃ যে অ্যাডার দুটি বিট যোগ করে যোগফল ও ক্যারি বের করতে পারে তাকে হাফ অ্যাডার বলে।
৫০। ফুল অ্যাডার কী?
উত্তরঃ যে বর্তনীর সাহায্যে তিনটি বাইনারি বিট যোগ করার পর দুটি আউটপুট সংকেত যার একটি যোগফল এবং আউটপুট ক্যারি পাওয়া যায় তাকে ফুল অ্যাডার বলে।
৫১। বাইনারি অ্যাডার কী?
উত্তরঃ যে অ্যাডার দুটি বাইনারি সংখ্যাকে যোগ করতে পারে তাকে বাইনারি অ্যাডার বলে।
৫২। রেজিস্টার কাকে বলে?
উত্তরঃ রেজিস্টার হলো মাইক্রো প্রসেসরের অভ্যন্তরে অবস্থিত উচ্চ গতি সম্পন্ন মেমোরি।
৫৩। শিফট রেজিস্টার কী?
উত্তরঃ যে রেজিস্টার বাইনারি তথ্যকে ডানদিকে বা বামদিকে বা উভয় দিকে সরাতে পারে তাকে শিফট রেজিস্টার বলে।
৫৪। শিফট রেজিস্টার কয় ধরণের হয়?
উত্তরঃ শিফট রেজিস্টার কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমনঃ শিফট লেফট, শিফট রাইট এবং কন্টোলড শিফট।
৫৫। কাউন্টার কী?
উত্তরঃ কাউন্টার হলো এমন একটি সিকুয়েন্সিয়াল সার্কিট যাতে দেওয়া ইনপুট পালসের সংখ্যা গুণতে পারে।
৫৬। বাইনারি কাউন্টার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কাউন্টার বাইনারি ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তাকে বাইনারি কাউন্টার বলে।
৫৭। মোড কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি কাউন্টার প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে আবার প্রথম ধাপে ফিরে আসতে যতগুলো ধাপ প্রয়োজন হয় তাকে ঐ কাউন্টারের মোড বলে।
৫৮। সিনক্রোনাস কাউন্টার কী?
উত্তরঃ যে কাউন্টারে একটি মাত্র ক্লক পালস সবগুলো ফ্লিপ ফ্লপের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় তাকে সিনক্রোনাস কাউন্টার বলে।
৫৯। এসিনক্রোনাস কাউন্টার কী?
উত্তরঃ যে কাউন্টারে একটি ফ্লিপ ফ্লপের আউটপুট অন্যটির ক্লক পালস হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাকে এসিনক্রোনাস কাউন্টার বলে।
৬০। রিপল আপ কাউন্টার কী?
উত্তরঃ যে কাউন্টারে ছোট নম্বর থেকে বড় নম্বরের দিকে পর্যায়ক্রমিক গণনা করা হয় তাকে রিপল আপ কাউন্টার বলে।
৬১। ফ্লিপ ফ্লপ কাকে বলে?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত এক ধরণের যন্ত্র যা উপাত্ত সঞ্চিত রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রনিক তথ্য প্রযুক্তির ধারাবাহিক যুক্তি তন্ত্রে এই যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয়। এক ল্যাচ এক বিট পরিমান তথ্য ধারণ করতে পারে।

 

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কিছু প্রশ্ন উত্তর” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

5/5 - (52 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x