বংশবৃদ্ধি শব্দটির চেয়ে সংখ্যাবৃদ্ধি কথাটি বেশি উপযুক্ত হতে পারে। কারন ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চা জন্ম দেয় না, বরং একটাব্যাকটেরিয়া দ্বিবিভক্ত হয়ে দুইটা ব্যাকটেরিয়াতে পরিনত হয় এবং দুইটা থেকে চারটা, চারটা থেকে আটটা, এভাবে চলতে থাকে। তাই এটাকে বংশবৃদ্ধি না বলো সংখ্যাবৃদ্ধি বলাই শ্রেয়। আর এই সংখ্যাবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বলা হয় দ্বিবিভাজন। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটায়। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি মাতৃব্যাকটেরিয়ার কোষ অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য ব্যাকটেরিয়া কোষেে জন্ম দেয় তাকে দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়া বলে। এটি ব্যাকটেরিয়ার সবচেয়ে সাধারন ও দ্রুততম জনন পদ্ধতি। নিম্নে ব্যাকটেরিয়ার দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়াটি দেখুন-
প্রথমত, পুর্নতাপ্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রথমে লম্বায় বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে সঙ্গে কোষের ক্রোমোসোম তথা DNA দুইভাগে বিভক্ত হয়।
দ্বিতীয়ত, ক্রোমোসোম তথা DNA দুইভাগে বিভক্ত হওয়ার পর কোষের দুইভাগে অবস্থান করে।
তৃতীয়ত, কোষের মধ্যস্থলে সাইটোপ্লাজমিক পর্দা দুই দিক থেকে ভাঁজ হয়ে ক্রমান্বয়ে ভিতরের দিকে ঢুকতে থাকে এবং বিভক্ত ক্রোমোসোমের তথা DNA ‘র মধ্য বরাবর একটি অনুপ্রস্থ প্লেট তৈরী করে।
চতুর্থত, অনুপ্রস্থ প্লেট পরবর্তীতে কোষপ্রাচীরে পরিনত হয় এবং মাতৃকোষটিকে দুটি অপত্য কোষে বিভক্ত করে। অপত্য কোষের বৃদ্ধির ফলে স্ফীতি চাপ বৃদ্ধি পায়, যা কোষদুটিকে পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন করে। ফলে একটি মাতৃব্যাকটেরিয়া কোষ থেকে দুটি নতুন ব্যাকটেরিয়া কোষ তৈরী হয়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “ব্যাকটেরিয়াগুলো কিভাবে সন্তান জন্ম দেয় বা কিভাবে বংশবৃদ্ধি করে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।