পারঅক্সাইডঃ যেসব অক্সাইডে অক্সিজেনের পরিমাণ সাধারণ অক্সাইড থেকে বেশি থাকে তাদেরকে পারঅক্সাইড বলে।
যেমনঃ হাইড্রোজেনের সাধারণ অক্সাইড H₂O কিন্তু হাইড্রোজেন এর পার অক্সাইড H₂O₂।
যেখানে ,হাইড্রোজেনের সাধারণ অক্সাইড থেকে পারঅক্সাইডে একটি অক্সিজেন পরমাণু বেশি আছে।
আবার সোডিয়ামের সাধারণ অক্সাইড Na₂O কিন্তু সোডিয়ামের পার অক্সাইড Na₂O₂। যেখানে সোডিয়ামের সাধারণ অক্সাইড থেকে পারঅক্সাইডে একটি অক্সিজেন পরমাণু বেশি আছে। পার-অক্সাইডে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -1 হয়।
সুপার অক্সাইডঃ যেসব অক্সাইডে অক্সিজেনের পরিমাণ পারঅক্সাইড থেকে বেশি থাকে তাদেরকে সুপার অক্সাইড বলে।
অথবা যে সকল অক্সাইডে পার-অক্সাইড ও পলি-অক্সাইডের চেয়ে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন থাকে তাদেরকে সুপার অক্সাইড বলে।
যেমনঃ সোডিয়ামের পারঅক্সাইড Na₂O₂
যেখানে দুটি সোডিয়াম পরমাণুর সাথে দুটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত থাকে। সোডিয়ামের সুপার অক্সাইড NaO₂ যেখানে একটি সোডিয়াম পরমাণুর সঙ্গে দুটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত থাকে। অনুরূপভাবে পটাশিয়াম সুপার অক্সাইড (KO₂), হাইড্রোজেন সুপার অক্সাইড (HO₂) ইত্যাদি। সুপার অক্সাইডে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -1/2.
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই ” পার অক্সাইড ও সুপার অক্সাইড কাকে বলে?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।