General Knowledge

বৈদ্যুতিক গাড়ি

1 min read

জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ও পরিবেশদূষণ কমাতে সারা বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি এক বা একাধিক বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা চলে এবং রিচার্জেবল ব্যাটারিতে সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করে। ১৮৩৫ সালে নেদারল্যান্ডসের গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্র্যিান্ডাস স্ট্রেটিংগ প্রথম একটি ছোট আকারের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেন এবং ১৮৩২-১৮৩৯ সালের মধ্যে স্কটল্যান্ডের রবার্ট অ্যান্ডারসন একটি অপরিশোধিত বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি আবিষ্কার করেন।

১৮৮০ সালে প্রথম ব্যবহারিক বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হয়। অভ্যন্তরীণ ইঞ্জিন, বিশেষত বৈদ্যুতিক স্টার্টার এবং সস্তা পেট্রোল ও ডিজেল উৎপাদন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ১৯ শতকের শেষদিকে এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকে বৈদ্যুতিক গাড়ি জনপ্রিয় ছিল।

২০০৮ সাল থেকে ব্যাটারির অগ্রগতি, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস এবং নগরীর বায়ু দূষণ কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনে একটি পুনর্জাগরণ ঘটেছে। গত এক দশকে অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে টেসলা, রিভিয়ান, এনআইও’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।

 

প্রচলিত দ্রুতগতির গাড়ি প্রস্তুতকারক ভলভো, জিএম, নিশান এবং ফোর্ডও বাজারে এনেছে বৈদ্যুতিক গাড়ির পসরা। গাড়ির ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার জন্য মহাসড়কে ও বাসায় বসানো যায় চার্জিং স্টেশন । আর এটি ধোঁয়া তৈরি না করায় পরিবেশেরও দূষণ ঘটায় না।

বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও আধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুৎচালিত গাড়ির জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে । কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বাজারে আনার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এছাড়া ২০২৩ সালে দেশের বাজারে ‘পালকি’ নামের বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার ঘোষণা দেয় পালকি মোটরস।

5/5 - (7 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x