পরিচিত বিষয় ও প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত এমন বিষয়বস্তু পড়তে ও লিখতে পারার দক্ষতা, গাণিতিক দক্ষতা অর্জন এবং দৈনন্দিন জীবনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে এই দক্ষতা সমূহ ব্যবহার করতে পারাই সাক্ষরতা।
সাক্ষরতা হল কার্যকরভাবে যোগাযোগ করার জন্য পড়তে, লিখতে এবং বুঝতে পারার ক্ষমতা। সাক্ষরতা একমাত্র হাতিয়ার, যা আপনাকে আপনার চারপাশের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করে।
সাক্ষরতা সবার জন্য মৌলিক শিক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। সাক্ষরতা শব্দটি দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারিক সাক্ষরতা ও আনুষ্ঠানিক সাক্ষরতা।
সাধারণ সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় তথ্য বা বিষয়সমূহ জানা এবং ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে সেটি প্রয়োগে উদ্যোগী হওয়াকে ব্যবহারিক সাক্ষরতা বলে। ব্যবহারিক সাক্ষরতায় মূলত জীবন দক্ষতা (Life skills) অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। উদাহরণস্বরুপ: চিঠি পড়তে ও লিখতে পারা, স্বাস্থ্য, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্যানিটেশন, ও পুষ্টি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করে তা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে পারার দক্ষতা।
অপরদিকে, আনুষ্ঠানিক সাক্ষরতা হল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যে দক্ষতা অর্জন করা হয়। বর্তমানে সাক্ষরতার আরো একটি উদাহরণ হচ্ছে বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা। আধুনিক যুগের সাথে এটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাই, বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা অর্জন করা অপরিহার্য বিষয় হিসেবে বিবেচিত।
বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা হলো একজন মানুষের চারপাশের প্রকৃতি ও পরিবেশকে বুঝতে পারার ক্ষমতা। এটির মাধ্যমে একজন নাগরিক যেকোন বৈজ্ঞানিক ধারণা, সূত্র, ও বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করতে পারবে। সহজ ভাষায়, বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার হল প্রাকৃতিক ঘটনাবলী (যেমন ভৌত, রাসায়নিক, জৈবনিক, পরিবেশিক, সামাজিক, ও অর্থনৈতিক) সম্পর্কে অনুসন্ধিংসু হবেন, ব্যাখ্যা করতে ইচ্ছুক হবেন, সম্ভাব্য সমাধান পরখ ও যাচাই করে দেখবেন এবং সর্বপরি বৈজ্ঞানিক তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রণয়নে উৎসাহিত হবেন।
১. কৌতুহল (curiosity), ২. মুক্তচিন্তা (Open min set), ৩. যাচাই-বাচাই প্রবনতা (skeptism), ৪. অবহিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ (inform decisin making), ৫. ব্যক্তির সুস্থ্যতা (well being of the individual), ৬. পরিবার ও প্রকৃতি (family and nature)
নিরক্ষরতা (Illiteracy)
কোন ভাষার বর্ণ ও শব্দ পড়তে ও লিখতে না পারা, এবং গণনা করার দক্ষতা না থাকাকে নিরক্ষরতা বলে। ফলে, এই দক্ষতাগুলো দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে না পারা।
নিরক্ষরতা হল পড়তে ও লিখতে অক্ষম। এটিকে পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাব হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। কখনও কখনও যারা প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছে, তারাও পড়া এবং লেখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।
নিরক্ষরতার অর্থ অজ্ঞতা বা নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের অভাবও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি স্কুলে যেতে পারে কিন্তু কম্পিউটার পরিচালনা করতে নাও জানতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তির কম্পিউটারে কোন সাক্ষরতা নেই এবং তিনি কম্পিউটার নিরক্ষর হিসাবে পরিচিত হবেন।