কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হলে সে সম্পর্কিত বিক্ষিপ্ত ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকে তথ্য বলে। যেহেতু, ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকে তথ্য বলা হয়, সুতরাং আগে ডেটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ডেটা হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন হতে পারে। নিম্মোক্ত আর্টিকেলে উপাত্ত (Data) এবং তথ্য (Information) এর সংজ্ঞা ও পার্থক্য নিয়ে আলোকপাত করা হল।
ডেটাকে (Data) প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ অবস্থায় পাওয়া যায়, তাকে তথ্য (Information) বলে। তথ্য হল প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা, যা আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যকে প্রক্রিয়াকৃত, সংগঠিত, সুনির্দিষ্ট এবং কাঠামোগত উপাত্তের রূপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে এবং ডেটার নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করে। যে কোন তথ্য বা ইনফরমেশন থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়। তথ্য সম্পূর্ণভাবে ডেটার উপর নির্ভরশীল এবং ডেটা ছাড়া তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা যায় না।
ডেটা (Data) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘Detum)’ থেকে উদ্ভূত। উপাত্ত (DATA) হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি হতে পারে।
বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকা যে কোনো বর্ণ, চিহ্ন বা সংখ্যা হলো ডেটা। ডেটা হলো প্রক্রিয়াকরণের পূর্ব অবস্থা যা ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডেটা কোনো কিছুর পূর্ণাঙ্গ বা অর্থবহ ধারণা দিতে পারে না।
১. সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যদিকে ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায়, তাকে তথ্য বলে।
২. ডেটা হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পূর্বের অবস্থা। তথ্য হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা।
৩. উপাত্ত সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে তথ্য সরাসরি ব্যবহার করা যায়।
৪. উপাত্ত দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায় না। অন্যদিকে তথ্য দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায়।
৫. উপাত্ত তথ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর তথ্যে রূপান্তরিত হয়।
৬. সব উপাত্তই তথ্য নয়। অন্যদিকে সব তথ্যই উপাত্ত হতে পারে।
৭. উপাত্ত রূপান্তরের সময় সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান বাছাই করা হয়। কিন্তু তথ্য সবসময় তার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রত্যাশার জন্য সুনির্দিষ্ট।